অহংকার এক নিমিষেই শেষ।

অহংকার এক নিমিষেই শেষ।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি unsplash থেকে নেওয়া"}}

শুভ রাত্রি..!
আজ ২২ ই আগস্ট,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।

কিসের এতো অহংকার, আমাদের আশেপাশে আমরা নানা ধরনের ঘটনাগুলো দেখতে পাই। অট্টালিকায় বসে চাক চিক্যের মাঝে বসে থাকা মানুষগুলো এখন আর এই দুনিয়াতে নেই। শুধু রয়ে গেছে তাদের কর্মের ফল। টাকা পয়সা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। বিবেক এবং মনুষ্যত্ব যে মানুষগুলোর মাঝে নেই, তারা সব সময় সমাজের মাঝে অপদস্ত এবং লাঞ্ছিতের শিকার হয়। তাই অহংকার করা ভালো মানুষের গুনাগুন নয়। অহংকার ধ্বংসের পতন। মানুষের জীবন রঙিন ফানুষ,ধম ফুরালেই ঠুস। এই কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো কতজন আমরা এই কথার উপর বিশ্বাস রেখে চলি। এক নিমিষেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে। ব্যাংকে অগণিত টাকা, অট্টালিকার মাঝে থেকে অনেক মানুষ সুখের দেখা পায় না। সত্যিকার অর্থে সুখ এগুলোর মাঝে নেই। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আছে তবে সবার ক্ষেত্র এক নয়। যারা নৈতিকতা মানে চলে, চাহিদা সীমিত রাখে তারা খুব সহজেই সুখের দেখা পায়।

একটি সুস্থ সবল মানুষ দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে এক নিমিষেই দুনিয়া থেকে হারিয়ে যায়। আমরা সকলেই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করি, কিন্তু আমাদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো মৃত্যু। এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। যে মানুষগুলো মৃত্যু নামক ভবিষ্যৎ কে স্মরণ রাখবে, তার দ্বারা কখনো খারাপ কাজ সংগঠিত হবে না। যে রাজা রাজ্য শাসন করতো, লক্ষাদিক প্রজাকে জুলুম এবং শাসন করতো সে রাজা আজ হাসপাতালের বেডে সামান্য একটি ছোট মশা তাড়ানো শক্তি নেই। তাই লোভ লালসা এবং সম্পত্তির অহংকার করা বোকামো ছাড়া আর কিছুই না। নিঃশ্বাস চলে গেলেই সবাই তাড়াহুড়ো করে সমাধান করার চেষ্টা করে। ন্যায্য সম্পত্তির উপর সন্তানের ভাগ বসাতে শুরু করে। তাই অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। সবাই যেন মন খুলে বলতে পারে, মানুষটি খুবই ভালো ছিল এবং তাকে হারানোর পরেও তার কথা সবাই মনে রাখতে পারে।

আজকে আমি মন্ত্রী ও বাদশাহ হতে পারি, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইশারায় এক নিমিষেই রাস্তার ফকির হয়ে যেতে পারি। তাই ক্ষমতার জোরে অত্যাচার এবং জুলুম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থ আছে তারপরেও খাওয়ার মতো শক্তি নেই। নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে খেতে পারিনা, কারণ হলো ডাক্তার নিষেধ করেছে। মুখে অক্সিজেন নাকে নল দিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে হয়। জেলখানা ও হাসপাতালে কেউ ঘুরতে যায় না, বরং বিপদে পড়ে যায় এবং সবাই সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারে না। অনেকেই লাশ হয়ে ফিরে আসে। কেননা একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না এই বাক্যের সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। দুর্ঘটনার কোন হাত-পা নেই, দুর্ঘটনা আগাম বার্তা দিয়ে কখনো আসে না। ভূমিকম্পের মতো এক নিমিষেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়।

তাই আমাদের সকলের উচিত সর্বদা সব সময় প্রস্তুত থাকা। ভালো কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হবে। দোয়া এবং আশীর্বাদ শুধু হাত তুলে করলেই হয় না। মানুষের মন থেকে যে দোয়া আসে তা সফলতা পেতে সাহায্য করে। আসুন আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করি। চাহিদা সীমিত রেখে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া হায়াত টুকু ভালো কাজে ব্যয় করি। তাহলেই আমাদের মানব জীবন সার্থক হয়ে উঠবে। আজ আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধর্মী পোস্ট শেয়ার করেছি এবং মনের অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে প্রকাশ করেছি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	অহংকার এক নিমিষেই শেষ
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।