অফিস কলিগদের সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি।
 |
|---|
%20(1).png)
শুভ রাত্রি
আজ ১৬ ই জুলাই,
মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম অফিস কলিগদের সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
আমরা অফিস কলিগরা মাঝেমধ্যে পরিকল্পনা করে অনেক আনন্দ ভ্রমণ ও মজা করে খাওয়ার আয়োজন করে থাকি। গত মাসে আমরা সবাই মিলে অফিসে বিরিয়ানি রান্নার আয়োজন করেছিলাম। সবাই মিলে মজা করে খেয়েছিলাম। আমাদের অফিসে স্টাফ সকলেই অনেক আন্তরিক। তাই আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। কর্মক্ষেত্র একটানা কাজ করতে থাকলে এক সময় কাজে অনিহা এসে যায়। তাই প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে প্রেষণা, অনুপ্রেরণা, এবং বিনোদন থাকা উচিত। সবাই যদি আন্তরিক থাকা যায় তাহলে সবকিছুই করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। আমাদের অফিসের প্রায় সকল কলিগরা অনেক আন্তরিক। তাই আমরা কাজ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করি এবং বিভিন্ন রকমের খাবার খেয়ে থাকি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
গতকালকে আমাদের কোন পরিকল্পনা ছিল না। আমরা ভালুকা সিডষ্টোর কাজ শেষ করে, সিডষ্টোর বাজার দিয়ে প্রতিদিনের মতো যাচ্ছিলাম। আমরা সব সময় দূরে কোথাও কাজ করতে গেলে কোম্পানির গাড়ি নিয়ে যাই। আমরা গাড়িতে মোট ছয় জন ছিলাম। তখন সিডষ্টোর বাজারে অনেক কাঁঠাল উঠেছিল। সিডষ্টোর বাজারের কাঁঠাল অনেক ভালো হয়। কেননা সিডষ্টোরে মানুষ তাদের নিজের গাছের কাঁঠাল বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। আমাদের নজরে একটি বড় কাঁঠাল পছন্দ হয়। আমাদের গাড়ির ডাইভার রাসেল ভাই ও আমার কলিগরা প্রচুর কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। তাই ১০০ টাকার মাজে ভালো একটি কাঁঠাল রাসেল ভাই কিনে এনেছিল। বর্তমানে কাঁঠালের দাম খুবই কম এবং সিডষ্টোর বাজারে আরও অনেক কম দামে ভালো কাঁঠাল পাওয়া যায়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।
আমরা তখন কাঁঠাল আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে নিলাম। কাঁঠাল গাড়িতে খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। গরমের মাঝে কাঁঠাল খাওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। তাই আমরা সবাই মিলে একটি ভালো জায়গা খুজতে ছিলাম কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। ভালুকা পার হয়ে মিলিটারি ক্যাম্পের সামনে সুন্দর একটি জায়গা খুঁজে পেলাম। তখন আমাদের ড্রাইভার রাসেল ভাই সুন্দর করে আমাদের অফিসের গাড়িটি পার্কিং করে নিয়েছিল। তারপর নিরিবিলি একটি পরিবেশে আমারা বসে পড়লাম কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। সবাই মিলে কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা। মৌসুমি সকল ফলের ভিতরে কাঁঠালে হয়েছে সবচাইতে বেশি পুষ্ট ও ভিটামিন এ।
আমার সকলেই মিলে মজা করে এবং এনজয় করে সম্পূর্ণ কাঁঠাল খেয়ে নিলাম। কাঁঠালটি খেতে অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু ছিল। সবাই মিলে কাঁঠাল খাওয়ার সময় আমার কেন জানি মনে হল আমি শৈশবে ফিরে গিয়েছি। আমি তখন কিছু সেলফি নিয়েছিলাম। সবাই কাঁঠাল খাওয়া অবস্থায় খুব সুন্দর ভাবে পোজ নিয়ে সেলফিতে যোগদান করেছিল। তারপর আমরা সবাই কাঁঠাল খাওয়ার পর, কিছু সময় রেস্ট নিয়ে অফিসের দিকে রওনা করি। যাইহোক আমি আজকে অফিস কলিগদের সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
| বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
|---|---|
| ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
| বিষয় | অফিস কলিগদের সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি। |
| লোকেশন | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
| ফটোগ্রাফার | @nazmul01। |
.gif)
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
| ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
|---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1813259362443637013?t=5t2yfVb-cUe7wZkexktF2A&s=19
বেশ দারুন একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে কাঁঠাল খাওয়ার মুহূর্ত দেখে। সাথে থাকা মানুষদের সাথে যদি এভাবে আনন্দ উপভোগ করা যায় তাহলে সত্যি খুবই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন।
এ বছরে তেমন কাঁঠাল খাওয়া হয়নি আমার। তবে আপনার কাঁঠালি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা খুবই মজা করে ও ইনজয় করে কাঁঠাল খেয়েছেন। এইরকম সবাই মিলে কাঁঠাল খেতে বসলে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার নিজের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য। আাশাকরি সব সময় পাশে থাকবেন।
অফিস কলিগদের সাথে জমিয়ে কাঁঠাল খেয়েছেন দেখছি ভাইয়া।এবছর কাঁঠাল খেয়েছি খুব বেশি প্রিয় না টাই এই ফল খাওয়া হয়না বললেই চলে।ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করবেন আপু অল্প অল্প করে খাওয়ার জন্য। কাঁঠাল অনেক পুষ্টি সম্পূর্ণ ফল। মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে আপু।