স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি।
শুভ রাত্রি,
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
ছবির অবস্থান :- মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর , বাংলাদেশ।
গত রবিবারে আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিল তাই তাকে নিয়ে স্বদেশ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। একটি খুশির খবর হলো আমি বাবা হতে চলেছি। আমার স্ত্রীর প্রেগনেন্সি টেস্ট ও পরীক্ষা করে আমি আরও চার মাস আগেই জেনেছি। সে সময় আমি খুশির খবর জানতে পারি। যেহেতু প্রেগনেন্সি সময় চার মাস চলছে হঠাৎ করে আমার স্ত্রীর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার খাবারে খুব সমস্যা হচ্ছে। আরও বেশ কিছু লক্ষণ তার মাঝে প্রকাশ পেয়েছে। তাই দ্রুত আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। আমার এক স্কুল বন্ধু বর্তমানে স্বদেশ হাসপাতালের আইটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন। আর মাধ্যমে আমি গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জন ও অধ্যাপক ডক্টর লুৎফুন নাহারকে ম্যাডামকে দেখিয়েছি। তিনি আমার স্ত্রীকে দেখে ও তার শারীরিক অবস্থা যাচাই করে কিছু টেস্ট দিয়েছিল। আমার বন্ধু মানিক আইটি ইঞ্জিনিয়ার থাকার কারণে মোট ৩৮৭০ টাকার মধ্যে ১২০০শত টাকার মতো পরীক্ষার ডিসকাউন্ট পেয়েছিলাম।
ছবির অবস্থান :- মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
তারপর আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে রক্তের সেম্পল দেওয়ার জন্য ল্যাবে চলে যাই। আমার স্ত্রী সুই দেখে অনেক ভয় পায়। সাধারণত অনেক মেয়েরাই রক্ত নেওয়ার সুই দেখে ভয় পেয়ে থাকেন। আমি আমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললাম সামান্য পিঁপড়ে কামড়ের মত মনে হবে। এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তবে একটি জিনিস আমি লক্ষ্য করলাম বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক আপডেট হয়েছে। প্রতিটা পরীক্ষার মাধ্যমে আধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে। রক্ত নেওয়ার সময় সিরিজের ব্যবহার করেনি। অটোমেটিক ভাবে রক্ত প্রতিটি টিউবে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। তারপর রক্তের স্যাম্পল নেওয়া শেষ হলে আমরা আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ৩১২ নাম্বার রুমে চলে যাই। সেখানে সূক্ষ্মভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম টেস্ট করানো হয়। আমার বন্ধু স্বদেশ হাসপাতাল (প্রাইভেট লিমিটেডে) আইটি ইঞ্জিনিয়ার থাকার কারণে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমি খুব দ্রুততার সহিত করতে সক্ষম হই।
ছবির অবস্থান :- মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর , বাংলাদেশ।
সদেশ হাসপাতালের পরিবেশ খুবই ভালো ছিল। এই হাসপাতাল প্রথম অবস্থায় খুব ছোট ছিল। এখন নতুন করে নিজস্ব ভবনের মাধ্যমে রোগীদের উচ্চ মানের চিকিৎসা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটি ময়মনসিংহ জেলায় মাসকান্দা বাস স্টেশনের কিছুটা সামনে অবস্থিত। আমি হাসপাতালের ভিতরের পরিবেশের কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর , বাংলাদেশ।
আমার বন্ধুর রেফারেন্স থাকার কারণে। আমি সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি হাতের মাঝে পেয়ে যাই। তারপর রিপোর্ট দেখানোর জন্য ডক্টর লুৎফুন নাহার ম্যাডামের কাছে রিপোর্টগুলো নিয়ে দেখা করি। আমি মনে মনে অনেকটা টেনশনে ছিলাম। এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছিলাম,রিপোর্ট গুলো যেন খুবই ভালো হয়। ডাক্তারের কথা শুনে মনটা আনন্দে ভরে উঠল। তিনি বলে উঠলেন বাচ্চা এবং মা সুস্থ আছেন। কিছু ছোটখাটো সমস্যা রয়েছে তার জন্য কিছু মেডিসিন লিখে দিয়েছেন। এই মেডিসিন গুলো নিয়মিত খেলে মা এবং শিশু দুজনই সুস্থ থাকবে। এবং সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ দিয়েছেন সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ। আপনারা সবাই আমার স্ত্রী এবং আমার বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন। আমার সন্তান যেন সুস্থ অবস্থায় দুনিয়ার আলো দেখতে পারেন।
ছবির অবস্থান :- মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর , বাংলাদেশ।
তারপর আমি এবং আমার স্ত্রী কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে বাসার দিকে রওনা করি। সে সময় আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। যাইহোক যে ভয় নিয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছিলাম তেমন কিছুই হয়নি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি। |
লোকেশন | মাসকান্দ, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1795884908352778750?s=19
খুশির খবর পেয়ে সত্যি খুব খুশি হলাম। অভিনন্দন আপনাদের দুজনকেই। প্রথম সন্তান আপনার ওয়াইফ এর যন্ত্র নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এখন একটু মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়টিতে বেশ ভালো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার ওয়াইফ এর জন্য দোয়া রইল। সত্যি ভাই বাবা হওয়ার মধ্যে চমৎকার অনূভুতি কাজ করে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মাধ্যমে বাবা হওয়ার অনুভূতি শুনতে পাবো। আপনার বন্ধু থাকার কারণে কম টাকা লেগেছে। সর্বোপরি আপনাদের জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আমি আমার ওয়াইফের যন্ত নিব ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে চেষ্টা করবো। আপনার সাজেশন মূলক মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি হলাম ভাই। সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পরিবার অসুস্থ থাকায় তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে এসেছেন। সেখানে ডাক্তার বেশ কিছু টেস্ট করেছেন। আপনি আপনার পরিবারের প্রতি সজাগ দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কখন কার কি হয় সেটা তো কেউ বলতে পারে না তবে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। দোয়া করি আপনার পরিবার যেন সুস্থ থাকে আপনিও যেন সুস্থ থাকেন এবং সুস্থ অবস্থায় আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন।
আপনার গুছানো মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম খুব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া আপনি প্রথম বাবা হচ্ছেন শুনে খুশি হলাম। অভিনন্দর রইল। আর ডাক্তার ম্যাডাম অনেক ভালো,নরমাল কিছু ঔষুধ লিখেছেন। টেনশনের কিছু নেই। ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করলে আর ঔষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। দুই তিন মাস পরে আরেকটা টেষ্ট করবেন। ধন্যবাদ।
জি ভাই তিন মাস পরে আরেকটা টেষ্ট করাবো। আপনার সাজেশন মূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
বাহ দারুন একটি খুশির খবর পড়লাম। বন্ধুর মাধ্যমে টেষ্ট সহ অনেক কিছুতে ডিসকাউন্ট পেলেন। আপনার অনুভূতি পড়ে বুঝলাম অনেক খুশি হয়েছেন। ভাবির খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ।
আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো, আশাকরি সব সময় পাশে থাকবেন। জি ভাই আমার স্ত্রীর খেয়াল রাখার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।