ফিরে দেখা,আমার শৈশবের বর্ষাকাল।

ফিরে দেখা,আমার শৈশবের বর্ষাকাল।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি unsplash থেকে নেওয়া"}}

শুভ রাত্রি..🌃
আজ ২৬ শে আগস্ট,
সোমবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আমি শৈশবের দিনগুলোকে খুব মিস করি। বিশেষ করে বর্ষাকালের বৃষ্টির দিনগুলো এখনো আমার দিব্যি মনে আছে। মনে হচ্ছে চোখ বন্ধ করে সবকিছু বলে দিতে পারব। সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। চোখের পলকে সময় গুলো চলে গিয়েছে, মনে হয় এ তো সেদিন ছোটকালের বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে খেলা করেছিলাম। তাই আজকে বর্ষাকালের শৈশবের কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। মনের ভিতরে থাকা গুলো উপস্থাপনা করেছি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।

শৈশবের দিনগুলো এখনো আমার খুব মনে পড়ে, সময় কীভাবে কেটে গেল বোঝা বড় দায়। মনে হল এইতো সেদিন বৃষ্টির সময় কাদামাখা শরীর নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়ে ছিলাম। শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কি সুন্দর দিন ছিল, আমি ছোটবেলায় প্রচুর দুষ্টু ছিলাম। মায়ের কথা কানেই তুলতাম না। বাবাকে প্রচুর ভয় পেতাম,বাবা অনেক রাগী ছিল। খেলাধুলা আমার নিত্য দিনের সঙ্গী ছিল। খেলার ছলে খাওয়া দাওয়া ভুলে মাঠে সারাদিন কাটিয়ে দিতাম। যখন আমার বয়স সাত বছর ছিল, তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়তাম। আমার সবচাইতে বেশি ভালো লাগতো বর্ষাকালের বৃষ্টির দিন। বৃষ্টি এলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তাম ফুটবল নিয়ে, মাঠে অনেক কাদা পানি হতো। পরিষ্কার কাপড় কাদাময় পানির ভেতর নষ্ট করা আমার বদ অভ্যাস ছিল। মা যেখানে যেতে নিষেধ করতো সেখানে আরো বেশি করে যেতাম। তার ফলে ঘরে এসে বাবার হাতের পানিশমেন্ট খেতাম।

আমি ছিলাম নাছোড় বান্দা, এক কান দিয়ে শুনতাম অন্য কান দিয়ে সব কথা বের করে দিতাম। বৃষ্টি এলেই আমার সহপাঠী বন্ধুদের কে নিয়ে চলে যেতাম কাঁদার মাঝে পিছলি তৈরি করতে। সেখানে একজনের পিছনে অন্য জন করে ঠেলাগাড়ির মতো পিঠে ধাক্কা দিতো। আহ্ কি সুন্দর জীবন ছিল। বর্ষাকালের সময় ক্লাসে ম্যাডাম আসতো দেরি করে। সে সুযোগে বই খাতা রেখে মাঠে চলে যেতাম বৃষ্টিতে ভেজার জন্য। অতিরিক্ত ভেজার ফলে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি আমার শৈশবের জীবন সঙ্গী ছিল। আমার জন্য বাবা মাকে বকা দিতেন। আমি ভয়ে শুধু না বোঝার ভান করে শুনতাম। এখনকার মত ঘরে ঘরে মোটর এবং পানির ব্যবস্থা ছিল না। বড় পুকুর ছিল আমাদের সকাল সন্ধ্যা পানি সরবরাহের মাধ্যম। স্কুল ছুটি হওয়ার পর কোনো রকম ব্যাগ রেখে ঝাঁপিয়ে পড়তাম পুকুরে। গ্রামে ছিলাম তাই ছোটবেলা থেকে সাঁতার জানতাম।

কিন্তু আমার ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে বৃষ্টির সময় মাছ ধরতে যাওয়া। বৃষ্টির সময় যখন অতিরিক্ত পানি হতো, তখন আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে আমিও মাছ ধরতে যেতাম। মাছ ধরা আমার পেশা ছিল না, কিন্তু দুষ্টুমি করা আমার নেশা ছিল। আমি শুধু লাফালাফি করতাম, মাছ ধরতে অনেক ভয় পেতাম। মাঝেমধ্যে কাঁকড়া দেখে চোখ কপালে উঠে যেত। শৈশবকালের পিছনের সোনালি সময় গুলোর কথা মনে পড়লে অনেক কষ্ট লাগে। ছিল না আমাদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ, রাজনীতি এবং কূটনীতি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট পুজো করে, সামান্য লেখাপড়া ও দুষ্টুমি ছাড়া আর কিছুই বুঝতাম না। এখন পাপের রাজ্যে বাস করে সব কিছুই বুঝি, তাই এখনো শৈশবের স্মৃতিময় সোনালি দিন গুলো খুঁজি। এখন বর্তমান দেশের বন্যা পরিস্থিতি দেখে খুবই কষ্ট লাগে। সাধ্যমতো সাহায্য ও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় এই কামনাই করি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	ফিরে দেখা,আমার শৈশবের বর্ষাকাল।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।