কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় ঘোরাঘুরি । (চতুর্থ পর্ব)

কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় ঘোরাঘুরি।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"}}

শুভ রাএি
আজ ২৫ ই জুন ,
মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি

আমাদের ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা এবং শিল্প নগরীর দিক দিয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পার্ক ও খেলাধুলার মাঠ এবং পিকনিক স্পট সব কিছুই রয়েছে। তাই আমরা গর্ব করে বলতে পারি মোটামুটি সকল দিক দিয়ে সুযোগ সুবিধার মাঝে আছি। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে ওঠেছে শিল্পচর্চা জয়নুল আবেদীন পার্ক। যেখানে প্রতিদিন প্রায় শত মানুষের আনাগুনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়।

গত সপ্তাহে (বৈশাখী মঞ্চ ২) এর মাঠে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় আয়োজন করা হয়। এই মেলার আয়োজন করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাদের এই মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে পুষ্টিকর খাবার ও কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে। কিভাবে কৃষক ও সাধারণ মানুষ বিকল্প পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারেন। আমিও গত সপ্তাহে মেলায় ঘুরতে গিয়ে ছিলাম। দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছি। এবং দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আমরা যতটা সময় সেখানে ছিলাম সত্যি খুব অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। সেই চমৎকার অনুভূতি নিয়ে আবারও ফিরে এলাম কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার আরও একটি পর্ব নিয়ে, মেলায় ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।

---

_{^{"লোকেশন"}}

গত পর্বে আমি আলোচনা করেছিলাম, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, কৃষির নিরাপত্তা এবং খাটি পিওর মধু সম্পর্কে। সবুজ শাকসবজি ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো আমাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। আধুনিক কৃষি ও পুষ্টি মেলায় এই সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। উপরের ফটোগ্রাফিতে আপনারা ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বিভিন্ন রকমের বীজ ও মুড়ি, ভুট্টা, গম, কালোজিরা, ডাল, ঘি ইত্যাদি সম্পর্কে মেলার স্টলে গুলো সুন্দর ভাবে প্রদর্শনী করে রাখা ছিল। শুধু তাই নয় সবুজ শাকসবজি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং নাম সহকারে সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মানব দেহে পুষ্টি ও ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। তাই সকলেই যেন বুজে শুনে পুষ্টিকর খাদ্য ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শাকসবজি অধিক পরিমাণে গ্রহন করতে পারেন। তাই এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

_{^{"লোকেশন"}}

---

তারপর একটু পাশে আরও একটি কৃষি প্রযুক্তির স্টল দেখতে পেলাম। সেখানে সবুজ ও হলুদ রঙের ফল দিয়ে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একটি প্রদর্শনী রেক তৈরি করা হয়েছিল, দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ফল আলাদা আলাদা করে রাখা ছিল। আনারস, কাঁঠাল, কাঁচাকলা, পেপে, কাঁচাবেল ও নানা ধরনের অনেক ফলে ছিল ডেকোরেশন করা। সবাই সেখানে ঘুরে ঘুরে এই সকল স্টল গুলো পরিদর্শন করছিলো। প্রতিটি ফলের সঠিক গুনাগুন এবং পোষ্টি সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন ছিল। তখন আমি প্রতিটি স্টলের সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি।

---

_{^{"লোকেশন"}}

---

তারপরের স্টল ও প্রদর্শনী দেখে অনেক রীতিমতো অবাক হয়েছি। প্রায় ১০০টি ধান বীজ রাখা ছিল। প্রতিটি ধান বীজের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। আমি এর আগে কখনো এত ধান বীজ কখনো দেখি নি। কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার গিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন তিন বেলা ভাত খেয়ে থাকেন। প্রতি দিনের খাদ্য তালিকা ভাত থাকবেই। ভাত সব সময় গ্রহন করার কারণে শরীরে শর্করা পরিমান বেশি থাকে তাই আমিষ,পুষ্টি ও প্রোটিনের পরিমান মানব দেহে থাকছে না বললেই চলে। তাই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই নতুন ধরনের ধান উদ্ভব করেছে। এই ধরনের সকল ধরনের জিংক ও আয়রন মিশ্রিত আছে। তাই এই ধান সকল কৃষকদের চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

---

_{^{"লোকেশন"}}

---

আমি কিছু ধানের ফটোগ্রাফি খুব কাছে থেকে করেছি। আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ধান বীজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। আমিও নিজেও সব গুলো ধান বীজের সঙ্গে পরিচিত নই। যেমন মালা,বাদশাভোগ,বাশমতি, কাডিডিট,মহুলতা, DR-01,DS-07,আব্দুল হেকিম,লাল বড়ুই,সুবাশ সহ আরোও অনেক ধরনের ধান বীজের স্যাম্পল সেখানে রাখা ছিল। আমি নতুন করে অনেক ধরনের ধান বীজের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। সত্যি বলতে আমি কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় এসে অনেক ধরনের অজানা বিষয় এবং তথ্যবহুল অনেক কৃষি সম্পর্কে ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলের উপর জ্ঞান লাভ করেছি। যা আমাকে ব্যক্তি জীবনের সাহায্য করবে।

বিভিন্ন ধরনের মেলায় আমাদের সকলের যাওয়া উচিত। জানার ইচ্ছা শক্তি ও আগ্রহ থাকলে অনেক কিছুই জানা সম্ভব হয়। কথায় আছে শেখা ও জানার কোন শেষ নেই। আমি সাজেশন দিব, আপনার এই ধরনের মেলায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাইহোক পরবর্তী পর্বে আরও বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করতে চেষ্টা করবো। এ ছিলো আমার আজকের আয়োজন আশাকরি কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার আমার অনুভূতি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	ভ্রমণ।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় ঘোরাঘুরি।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ফটোগ্রাফার	@nazmul01।