জেনারেল রাইটিং || অতিরিক্ত কেনাকাটা।
হ্যালো...!
আজ ২৪ই মার্চ,
রবিবার ২০২৪ খ্রিঃ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
"আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো জেনারেল রাইটিং - "অতিরিক্ত কেনাকাটা"। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
সকলের প্রতি পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুই কেনাকাটার দরকার হয়। কিন্তু কিছু বিষয় আছে যে গুলো দেখে অবাক কারার মতো। মানুষ নিজের প্রয়োজনের জন্য অতিরিক্ত কেনাকাটা করেন। দেখা যায় একজন মানুষের পরিধান করার মতো জামা কাপড় রয়েছে তারপরও অতিরিক্ত জামা কাপড় তার প্রয়োজন। এমনও মানুষ আছে তারা একটি শার্ট অথবা প্যান্ট এক দুই দিনের বেশি ব্যবহার করেন না। দরে নিলাম তাদের অনেক টাকা পয়সা আছে কিন্তু এই কাজ এক ধরনের অপচয়। আমাদের চাহিদার তুলনায় বেশি কোনো কিছুই কেনাকাটা উচিত নয়।
আমাদের পৃথিবীতে অনেক মানুষ বসবাস করে, তাদের পরিধান করার মতো কাপড় নেই। রাস্তার ধারে অনেক অসহায় মানুষ দেখা যায়,এক বেলা খেয়ে রাত্রি যাপন করে থাকে। আমরা যারা অতিরিক্ত কেনাকাটা করে থাকি তাদের একটা অংশ এই গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিলে অসহায় মানুষেরা ভালো খাবার এবং পরিধান করার মতো ভালো কাপড় পাবে। কিন্তু আমরা এ বিষয়গুলো লক্ষ করি না। আমাদের সকলের সাহায্য ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। যে মানুষ গুলো অতিরিক্ত শপিং এবং অতিরিক্ত কেনাকাটা করি তাদের এই অভ্যস্ত ত্যাগ করতে হবে। তাহলে সমাজের নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষেটা এই বিষয়গুলো লক্ষ করবে, ফলে তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে।
সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আমাদের শপিং এর কেনাকাটা অনেক টায় বৃদ্ধি পায়। লক্ষ করলে দেখা যায় এমন একটা ব্যাপার দাড়িয়েছে না খেয়ে হলেও আমাদের শপিং এর কেনাকাটা করতেই হবে। আমরা ঈদ উপলক্ষ্যে কম বেশি সবাই কিছু না কিছু কিনে থাকি। তার কারণ হলো বছরে দুইটি ঈদ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। তার জন্য অনেক ছেলে মেয়ে আছেন যারা কিনা শপিং করার জন্য বাবা-মায়ের উপর চাপ প্রয়োগ করেন। এ ধরনের কাজ এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। আমাদের চেষ্টা করা উচিত আমাদের আয়ের উপর নির্ভর করে ব্যয় করা। শপিং এবং কেনাকাটা আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। পরিবারের সঙ্গে সুখে শান্তিতে সাথে থাকাটাই মুখ্য বিষয়। অপচয় রোধ করে, যে জিনিস গুলো আমাদের একান্তই প্রয়োজন। সেই জিনিসগুলো কেনাকাটা করা দরকার।
আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে বাস্তবিক কিছু ঘটনা তুলে ধরার। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯ |
বিষয় | "অতিরিক্ত কেনাকাটা"। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01 |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
আপনার আজকের পোস্ট এর বিষয়বস্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বাস্তবতা সমস্ত একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন। অতিরিক্ত কেনাকাটা আসলেই ঠিক না। আমরা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ঈদের মধ্যে কোনা না কোন নতুন কাপড় পরে আমাদের ঈদ করা হয়। তবে আমাদের দেশে এমন মানুষ রয়েছে তারা কাপড় কিনবে তো দুরের কথা। দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে না। আমাদের সমাজে যারা বড় বড় টাকাওয়ালা রয়েছে। অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। তা হলে সবাই খুশি মনে ঈদ উদযাপন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনার লেখা গুলো ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে ভালো কিছু উপহার দিতে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশ এমন কিছু মানুষ দেখা যায় ভাইয়া যাদের অ্যাভেইলেবল পোশাক থাকা সত্ত্বেও নতুন করে পোশাক কিনতে তারা অভ্যস্ত যেগুলো তাদের প্রয়োজনের বাইরে। কিন্তু এটা বলা নিরর্থক যে কেন তাকে এত বেশি পোশাক কিনতে হবে, যার যেমন মানসিকতা সে সেভাবেই চলবে এটাই বাস্তব। টাকা পয়সা আছে এজন্যই নিজের ইচ্ছামত চলবে এটাই আসল কথা কিন্তু নিজের মন থেকে একটু হলেও ভাবা উচিত যারা রাস্তার দু ধরে একবেলা খেয়ে রাত্রি যাপন করে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের অবশ্যই কর্তব্য। আর ঈদ উপলক্ষে আসলেই পরিবারের উপর জামা কাপড় কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করা আসলে এটা একটা মানসিক নির্যাতন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আশা করছি আমরা সবাই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সব গরিব এবং অসহায় মানুষকে সাথে নিয়ে ঈদ করার প্রচেষ্টা চালাবো।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই। এই ধরনের মন মানসিকতা সবার হওয়া দরকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/nazmulhasanbd01/status/1771611573196378433?t=y3nJCVxBAcLuEG-M04mlsQ&s=19
খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন আজকের পোষ্টে।আসলে অতিরিক্ত কেনাকাটা করা ঠিক নয় তবে আমি নিজেও এই রোগে আক্রান্ত। অনেক ভাবি আর কিনবো না কিন্তুু পছন্দ হলে না কিনে থাকতে পারি না।পছন্দ জিনিস টি কিনতে না পরলে খুব খারাপ লাগে।তাই বলে আমি অনেক টাকার মালিক নই। তবে আপনার কথা গুলো খুব ভালো লাগলো অবশ্যই চেষ্টা করবো মেনে চলার।খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন না খেয়ে হলেও কেনা কাটা করতেই হবে এরকম একটা অবস্থা দাড়িয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অতিরিক্ত কেনাকাটা উচিত নয়। চেষ্টা করবেন পরিহার করতে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের কখনোই অপচয় করা ঠিক না। এমনও পরিবার আছে একবার কাপড় পড়লে, তারপরের বার পড়তে চায় না। আমাদের যেটা প্রয়োজন সেটাই কেনা উচিত। অনেক মানুষ আছে তারা একটা পোশাকের জন্য কত হাহাকার করে।আমরা বাবার অবস্থা না বুঝে, তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থাকি। এটা মোটেই আমাদের জন্য কাম্য নয়। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করতে হবে। বেশ সুন্দর আলোচনা করেছেন।
দারুণ কথা বলেছেন আপনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করতে হবে আমাদের। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
আসলে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ন্রওয়া দরকার৷ তার থেকে বেশি কখনোই নেওয়া উচিত নয়৷ আমরা যদি আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী না নিয়ে তার থেকে অতিরিক্ত কিছু নেওয়ার চেষ্টা করি তা অপচয় ছাড়া আর কিছু হতে পারে না৷ আমাদের যতটুকু প্রয়োজন আমরা সেটুকু নিয়েই যদি খুশি থাকতে পারি তাহলে আমাদের সকলেরই অনেকটা ভালো লাগবে৷ এর থেকে আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব৷ তবে অতিরিক্ত নেওয়া কখনো ঠিক নয়৷ যদি অতিরিক্ত নিয়ে সেগুলো আর পড়া না হয় অথবা কোন কারণে সেগুলো পছন্দ না হয় তাহলে সেগুলো অপচয় ছাড়া আর কিছুই না৷
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
আপনি আজকে একদম বাস্তব কিছু কথা নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা একবেলা ঠিক মতো খেতে পারে না। অথচ এমনো টাকা ওয়ালা লোক রয়েছে তার প্রতিদিনের তাদের প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ কেনা কাটা করে থাকে। অথচ সে এতো বেশি কেনা কাটা না করে বার্তি টাকা যদি গরিব অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিতো তাহলে তারা দুইবেলা ভালো খেয়ে বাঁচতে পারতো। যাইহোক বাস্তব কথা গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট ভিজিট কারার জন্য, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।
কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা কোনো কিছু দেখলেই কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা কেনার জন্য একেবারে পাগল হয়ে যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক মাত্রায় কেনাকাটা করা কিন্তু আমাদের কারো জন্যই উচিত না। প্রয়োজনের তুলনায় যদি অধিক মাত্রায় আমরা কেনাকাটা করি তাহলে এগুলো নষ্ট হয়ে থাকে। আর পরবর্তীতে আমরা সেই জিনিসপত্রগুলো ফেলে দিয়ে থাকি। আপনি কিন্তু একেবারে গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট লিখেছেন। আপনার এই লেখাটার মধ্যে শিক্ষনীয় ব্যাপার রয়েছে। যেটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই, আমি চেষ্টা করেছি বাস্তবিক বিষয় গুলো তুলে ধরতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।