শীতের বিকেলে চিতই পিঠ খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ১৫ ই ডিসেম্বর,
রবিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ জেলা, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম শীতের রাতে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
শীতকাল মানেই বিভিন্ন পিঠা খাওয়ার আমেজ পড়ে যায়। শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে গরম গরম চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা সবচাইতে অন্যতম। তাছাড়া আরো রয়েছে খেজুরের গুড়ের বিভিন্ন নকঁশি পিঠা। প্রতিটি পরিবারের কমবেশি সবাই পিঠা তৈরি করতে ব্যস্ত। শীতকালে বিভিন্ন পিঠা উৎসবে পরিবারের আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যায়। তাদেরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিভিন্ন ডিজাইনের পুলি পিঠা। বাংলাদেশ ছয় ঋতু দেশ।তার মধ্যে আমার কাছে উন্নতম গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল। তাই এই দেশে প্রচুর পরিমাণে খেজুরের রস, আখের গুড় এবং কলা উৎপাদন হয়। দাম হাতের নাগালে থাকায়, সবাই চেষ্টা করে মুখরচর খাবারগুলো তৈরি করতে। তবে বেশির ভাগ জায়গায় দেখা যায় ছোট বড় বিভিন্ন পিঠা তৈরীর দোকান বসে। সেই দোকান গুলোতে শীতের বিকেলে ও সন্ধ্যা সাধারণ মানুষের খাওয়া দাওয়া পরিপূর্ণতা এসে যায়। সকলেই চেষ্টা করে হালকা নাস্তা হিসেবে বিভিন্ন পিঠা খাওয়ার জন্য। গতকাল আমি গিয়েছিলাম ত্রিশাল উপজেলায়। ত্রিশাল বাজারে বেশ কিছু বড় বড় পিঠার দোকান রয়েছে। তাই আমি অফিসের কাজ শেষ করে চলে যাই সোজা পিঠা খাওয়ার জন্য। সেই অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আমি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরি করি। তাই অল্পতেই বিভিন্ন খাবার খেতে হয়। অনেকদিন আগে থেকেই আমি ফাস্টফুড জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে অনেক পছন্দ করতাম৷ এখন আস্তে আস্তে সেগুলো খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। তেলেভাঁজা খাবার কম খাওয়া উত্তম। যাইহোক আমি সোজা চলে গেলাম পিঠার দোকানে। পিঠার দোকানে মানুষের ভিড় ছিল। তাই সবাই গরম পিঠার জন্য অপেক্ষা করছিল। এই পিঠার দোকান সকাল আটটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত একটানা চলতে থাকে। একসঙ্গে সাতটি করে চিতই পিঠা তৈরি করা হয়। সে সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষায় বলে মেরা পিঠা অথবা গুডা পিঠা, সেগুলো তৈরি করা হচ্ছিল। পিঠা তৈরি করা মাত্রই শেষ হয়ে যায়। আমি তখন বেশি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম,আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে।
পিটার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ভর্তা। যেমন আলু ভর্তা,শুটকি ভর্তা, সরিষা ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা, স্পেশাল কালোজিরা ভর্তা ইত্যাদি। ভর্তার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। সবাই মনের আনন্দে পিঠা খাওয়ায় ব্যস্ত। আমিও তখন দুইটি পিঠা মামাকে দিতে বলি। প্রতি পিছ চিতই পিঠার মূল্য ১০ টাকা। তবে দশ টাকার মূল্য অনুযায়ী পিঠার সাইজ অনেক বড়। বর্তমান বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে কোথাও এত বড় পিঠা তৈরি করা হয় না। আমি অনেক জায়গায় পিঠা খেয়েছি কিন্তু ত্রিশাল বজারের মতো এত বড় বড় পিঠা কোথাও খাইনি। এখানেই শেষ নয় সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ডিম পিঠা। ডিম পিঠার মূল্য ২৫ টাকা।
অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকার পর পিঠা হাতে পেলাম। পিঠা হাতে পেয়ে আমি অনেক খুশি। কেননা সবাই লাইনে বসে পিঠা খাওয়ায় ব্যস্ত। প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট বসে থাকার পর আমার পিঠা প্রস্তুত। তারপর চিতই পিঠা হাতে নিয়ে দুই একটি ছবি তোলার চেষ্টা করি। পাশে একটি মুরুব্বি ভদ্রলোক বসেছিল সে আমাকে বলছিল আগে খাও তারপর ছবি তোলো। আমি কালোজিরা এবং সরিষা ভর্তা বেশি পছন্দ করি। যেহেতু আমার ঠান্ডা লেগেছে তাই এই দুইটি উপকরণ আমার জন্য উপকারে আসবে। যাইহোক ভর্তা দিয়ে পিঠা মুখে দেওয়ার সময় সেই স্বাদ অনুভব করি। যেমন নরম ছিল, তেমন কেমন গরম। সঙ্গে ভর্তা সেটা আবার শীতের বিকেলে সব মিলে একদম জমে গিয়েছিল। আমি নিমিষেই দুটি পিঠা খেয়ে নিয়েছিলাম। পিঠা খাওয়ার ছলে আমি সেলফি নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। শীতের বিকেলে ভর্তা দিয় গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই মজা। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | শীতের বিকালে চিতই পিঠ খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | ত্রিশাল বাজার, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
দারুন সুন্দর লোভনীয় চিতই পিঠে খেয়েছেন। এমন সুন্দর পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি যেভাবে আপনার সুন্দর অনুভূতির ব্যাখ্যা করলেন তা পড়ে খুব আনন্দ লাগলো। না খেয়েও যেন মনে হল আপনার সঙ্গে আমরাও দাঁড়িয়ে একসঙ্গে পিঠা খেয়েছি। দোকানটিতে প্রতিদিন প্রচুর পিঠে বিক্রি হয় তা দেখেই বুঝতে পারছি।
জি ভাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা পিঠা বিক্রি হয়। তার পরও পিঠা খাওয়ার বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মতামত শেয়ার করার জন্য।
X-Promotion
শীতকাল বলেই বিভিন্ন রকমের পিঠা খাওয়া।বিশেষ করে শীতকালে চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম।আমার সাথে যদি থাকে বিভিন্ন রকমের ভর্তা তাহলে তো কোন কথাই নেই।খুব মজা করেছি চিতই পিঠা খেয়েছেন। আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির আলাদা একটা আমেজ। পিঠা খাওয়ার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে তেলে ভাজা ফাস্টফুড জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এই খাবারগুলো যতদূর সম্ভব এভোয়েড করা উচিত।
জি ভাই অবশ্যই,
তবে চিতই পিঠা বিকেলে এবং সন্ধ্যায় খেতে খুবই মজা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শীতের বিকেলে এইরকম চিতই পিঠা খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে।তবে এই দোকান গুলোতে সিরিয়াল নিয়ে কিন্তু খেতে হয়।যাইহোক অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকার পর আপনি নিজের হাতে পিঠা পেয়েছেন।আপনার সুন্দর এই অনুভূতি পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই অনেক ভিড় ছিল এবং সিরিয়াল ধরে খেতে হয়েছে। যুক্তিযুক্ত মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অধির আগ্রহের পর চিতই পিঠা খুব মজা করে খেয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। শীতকাল মানে পিঠা পুলি খাওয়ার সময় ।শীতের চিতই পিঠা এভাবে ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ মজা লাগে। খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার অনুভূতিটা জানতে পেরে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেও উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গত কয়েকদিন আগে আমি আমার আম্মুর হাতের তৈরি করা চিতই পিঠা খেয়েছিলাম।চিতই পিঠ আমার খুবই প্রিয় একটি পিঠা। তবে, শীতকালে এই চিতই পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি দেখছি বিকাল বেলা কোন এক জায়গা থেকে চিতই পিঠা খেয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
বাহ দারুণ, মায়ের হাতের পিঠার তুলনা হয় না। তবে আমি চেষ্টা করি বিকেল বেলায় গরম চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
শীতের সময় চিতই পিঠা ভাপা পিঠা এগুলো কম বেশি সবারই খাওয়া হয়। চিতই পিঠার সাথে অনেক রকম ভর্তা দেওয়া হয় তাই খেতে আরো ভালো লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে খেয়েছি। এর মধ্যে খাওয়া হচ্ছে না। আপনার পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার অন্যরকম স্বাদ। আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপু।