প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি।
হ্যালো..!
শুভ রাত্রি,
আজ ৩০ ই এপ্রিল,
মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
"আমার বাংলা ব্লগ পরিবার"। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
প্রকৃতিকে দোষ দিয়ে কি লাভ, আমরা যদি নিজেরা সংশোধন না হই। কিংবা সতর্কতা অবলম্বন না করি।
বেশ কিছুদিন ধরে প্রচুর গরম পড়েছে। যা রীতিমতো রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় আমরা দেখতাম এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড় হতো। এখন পুরোটাই উল্টে গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি চৈত্র মাসের দিকে আবহাওয়া অনেক গরম থাকে এবং রোদের তীব্র তাপমাত্রার জন্য মাটি ফেটে যায়। কিন্তু এখন চৈত্র মাসে আমাদের শীতল আবহাওয়া থাকে ধরতে পারেন শীতের মতই একটা পরিবেশ, সবকিছু এখন উল্টে পাল্টে গিয়েছে। কিছুদিন ধরে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য ঘরে কিংবা বাইরে কোন জায়গায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। যে দিকে তাকাই শুধু হাহাকার।
আমরা কি একবারও নিজেকে প্রশ্ন করেছি এসব কেন হচ্ছে?
সবকিছু হচ্ছে আমাদের কর্মকাণ্ড এবং আমাদের স্বার্থের জন্য। আমরা আমাদের সুবিধার জন্য নিজেরা বিপদে পড়ছি। যেখানে আমাদের গাছপালা লাগানোর কথা ছিল,তার পরিবর্তেতে আমরা গাছপালা কেটে পরিষ্কার করে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজ করছি। হয়তো বা বলতে পারেন আমরা তো অল্প কিছু পরিমাণে গাছ নিধন করে ফেলেছি এতে পরিবেশের উপর কি প্রভাব পড়বে?
পৃথিবীতে সবাই যদি অল্প কিছু পরিমাণ করে কেটে ফেলে, তাহলে একসময় দেখা যাবে পৃথিবী এক সময় মরুভূমিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আমরা কল্পনাও করতে পারি না কত বড় ক্ষতি আমরা করছি। তার কারণে পরিবেশের উপর অনেক প্রভাব পড়ছে। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে না। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মেরু অঞ্চলে বরফ গোলতে শুরু করছে। তাই যে কোন সময় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হাওয়ার সম্ভাবনা আছে । তাই আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। শুধু উন্নয়নের জোয়ার দেখলেই হবে না। সবুজ প্রকৃতি ও সবুজ বিশ্বায়ন আমাদের তৈরি করা একান্ত কাম্য।
বন উজাড় হওয়ার ফলে সমস্ত প্রাণীকুল এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ আমরা নিজেরাই। বন উজাড় করে বড় বড় কল কারখানা তৈরি করা হচ্ছে। হয়তো বা কলকারখানার দ্বারা আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু এর ফলে সকল প্রাণীকুল তাদের বংশবিস্তার থেকে শুরু করে বেঁচে থাকার আশা টুকু নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। শীতকালের সময় অতিথি পাখিদের দেখা যেত। এখন তাদের কোন অস্তিত্বই আমরা আর দেখি না। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পশুপাখি তাদের অভিযোজন প্রক্রিয়া হারিয়ে ফেলেছে।
আমাদের একটি প্রধান বড় সমস্যা হলো অতিরিক্ত ঘন বসতি। জনসংখ্যা অধিক বৃদ্ধি হওয়ার কারণে আমাদের বাসস্থানের প্রয়োজন হয়। তাই আমরা নিজেদের বসবাস করার জন্য গাছপালা কেটে বসত বাড়ি তৈরি করছি। এ কারণে গাছপালা রোপন করার মত পর্যাপ্ত জায়গা জমি নেই। মৃত্যুহার চাইতে জন্মহার অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন অতিরিক্ত বন উজাড় করে বসতবাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান। তাই আমাদের জন্মহার কমাতে হবে এবং সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তান যথেষ্ট। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকে সচেতন করতে হবে।
আমরা ইচ্ছে করলেই প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে কিছুটা রেহাই পেতে পারি। তার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। যাদের বাড়িতে গাছ রোপন করার মতো জায়গা নেই তারা তাদের বাসার ছাদে কিংবা বারান্দায় ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ রোপন করতে পারেন। এবং যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছপালা রোপন করার মত জায়গা রয়েছে, তাদের গাছ রোপন করে গাছের পরিচর্যা করতে হবে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে গাছ রোপন কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে আমরা সবাই মুক্তি পাব।
যাইহোক আজকে প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া কিছু কারণ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি নিজের মতো করে বলার চেষ্টা করেছি। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার জেনারেল রাইটিং আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://twitter.com/nazmulhasanbd01/status/1785014686330839097?t=wYEviXEhCKiOohmypq60Xg&s=19
ভাই আপনার পোস্টের টাইটেলের কথাটার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে সহমত পোষণ করছি। আমরা যদি প্রকৃতির সাথে অন্যায় করি তাহলে প্রকৃতিও সেই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়। বর্তমানে আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো এবং বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা। পুরো পৃথিবীকে আবার সবুজ প্রকৃতিতে ভরিয়ে তুলতে হবে। তবে এটা সত্যি বলেছেন আমাদের দেশের জনসংখ্যাটা নিয়ন্ত্রণে আনাটা বেশ জরুরি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি বাস্তবিক কিছু বিষয় তুলে ধরতে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি কথাটা একদমই ঠিক ভাই। প্রকৃতির সাথে আমরা বিভিন্ন ভাবে খারাপ আচরণ করে চলেছি। প্রকৃতি কখনো ছাড় দেয় না। প্রকৃতি তার হিসেব বুঝে নিচ্ছে। তবে আমরা চাইলে আবারো সব কিছু ঠিক করতে পারি। তবে আমাদের সকলের উদ্যোগ নিতে হবে। বেশি বেশি গাছপালা লাগাতে হবে। যেভাবে প্রকৃতিকে আমরা ভালো অবস্থানে রাখতে পারি। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই। আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন।
ঠিকই বলছেন প্রত্যেকে এরকম প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছি। আর তার কারণেই প্রকৃতি এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আপনার কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো। অতিরিক্ত ঘনবসতি আসলেই প্রধান একটা সমস্যা। তবে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল সমস্যায় সমাধান করা সম্ভব।
আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছি। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের সুন্দর লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে প্রকৃতি আমাদের সকলের উপর যেভাবে বিরূপ আচরণ করতে শুরু করেছে সেটা হয়তো আমাদের কর্মের ফসল। বিবেকহীনভাবে অতিরিক্ত বৃক্ষ নিধন করার ফলেই আমরা আজ প্রকৃতির বিরূপ আচরণের সম্মুখীন হয়েছি। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে এবং গাছের যত্ন নিতে হবে। যাতে সবুজ প্রকৃতি গড়ে উঠে।
আমার পোস্ট ভিজিট করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন।
বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতি নিয়ে আপনি দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমিও আপনার মত এটাই মনে করি যে বর্তমান এই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা নিজেরাই আসলে অনেক বেশি দায়ী। যেখানে আমাদেরকে গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করার কথা সেখানে আমরা অনেকেই গাছ কেটে ফেলছি সেই সাথে অনেক বেশি ঘনবসতি থাকার কারণেও এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদেরকে সবসময়ই সতর্ক হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি সতর্ক থাকলে এরকম অনেক সমস্যার সম্মুখীন থেকে আমরা খুব দ্রুতই উদ্ধার পাব। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করেছি ভাল কিছু উপহার দিতে। তাই পরিবেশের উপর নির্যাতন মূলক একটি পোস্ট তুলে ধরলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।
একদম প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা দায়ী ।যেটা এখন বুঝতে পারছি। আসলে বর্তমান যে পরিস্থিতি সেটা স্বাভাবিক করার সমাধান নেই বললেই চলে। খুবই কঠিন যেভাবে গাছ কেটে নিজেদের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। আগে দেখতাম দাদা গাছ লাগাতো বলতো আমার নাতি ছেলেপেলে এগুলো থেকে ফল খাবে। সেই ধরনের মন-মানসিকতা কারো মধ্যেই খুঁজে পাই না। সেজন্যই আজকের এই পরিস্থিতি।
প্রকৃতির মাঝে গেলে যতটা প্রশান্তি পাওয়া যায়, এ প্রশান্তি আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই আমাদের মানবিক হতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।