শৈশব মানে জীবনের পাতায় স্মৃতির আল্পনা, পরিপূর্ণতার প্রতীক || ১০% প্রিয় লাজুক -খ্যাকের জন্য 🇧🇩
আজ-০৯ কার্তিক |১৪২৮ বঙ্গাব্দ |২৫ শে অক্টোবর |সোমবার |হেমন্তকাল
আসসালামুআলাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের আমার পক্ষ থেকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালোউ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।৷
আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার নিজের মন্তব্য থেকে শৈশব নিয়ে লিখেছি আশা করি ভালো লাগবে পোস্টটি।
শৈশবঃ
প্রতিটি মানুষ জন্মগ্রহণ করে একেকটি শিশু হিসেবে। আর এটাই তো হলো প্রাকৃতিক নিয়ম-শৃঙ্খলা। প্রথমে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয় সুন্দর এই ভুবনে। অতঃপর এখানে এসে প্রকৃতির হাওয়া-বাতাসে এবং মায়ের দুগ্ধপানের মাধ্যমে ক্রমে বেড়ে উঠতে শুরু করে শিশুটি।শুরু হয় জীবনের পথচলা। আসলে শৈশবকালটা সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি সময় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে। কারণ, শৈশবকালটা মানুষের জীবন বিকাশের একটি যুগান্তকারী সময়ের নাম।
এই সময়ে মানুষের জীবন কোনো বাধা মানে না। এজন্যই মানে না যে,শৈশবকালে প্রত্যেকটি শিশুর মনটা অত্যান্ত কোমল থাকে। তাঁরা প্রকৃতি এবং সমাজ থেকে বিভিন্ন জ্ঞান আহরণ করতে শেখে।এজন্য শৈশবকে শিক্ষাগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে মনে করে বিশ্লেষকরা। তাছাড়া শৈশবকালে প্রত্যেকটি শিশু কৌতূহলপ্রবণ থাকে এবং অনুকরণপ্রিয় থাকে। এসময়টাতে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে তাঁরা মনের ভিতরে জানার জন্য আগ্রহ পোষণ করে সহজে এবং অন্যরা মানে বড়মানুষেরা যা করে শিশুরা সেটা করতে শিখে যায়।এর ফলে শিশুরা পরবর্তী সময়ে বড় হয়ে নৈতিক অথবা অনৈতিক চিন্তাধারায় লালিত হয়। আর এটা নির্ভর করে শৈশবের পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে।তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ যে,শিশুদের সামনে যথাযথ ভালো ব্যাবহার করা,শিশুদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা, তাদেরকে স্নেহ এবং মমতায় লালন-পালন করা।এতে করে একটি শিশু সহজে শালীনতাকে গ্রহণ করতে শিখবে বলে আমি বিশ্বাসী।
শৈশবের বিনোদনঃ
শৈশব বিনোদনের জন্য এক মহা সুযোগ। কারণটা আমি আগেই বলেছি। তবুও বলছি, শৈশবকালটা সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই সময়টাতে কোনো বারণ নেই। আপন সত্তায় নিজেদের লালন করা যায় সহজেই। "মনে যা চাহে করিতে কোনো বাধা নহে।"
সত্যি সত্যিই তাই তো। নিজের খেয়াল-খুশি মতো সবকিছু করা যায় শৈশবের সময়টাতে। যেমনঃছোট শিশু। শিশু মনে থাকে হাজারো কল্পনা। কখনো পুলিশ হবে।তাই মেতে ওঠে চোরপুলিশ খেলায়।কখনো বিয়েবাড়ি খেলা করে, তাই কেউ কেউ বরবউ সাজে আর কেউ বিয়ে আনতে যায়। কখনো গাড়ির ড্রাইভার হবে, তাই ছোট প্লাস্টিকের বোতল ছিদ্র করে তার মাঝখানে একটা চিকন খোঁচা দিয়ে দুই পাশে দুইটি বোতলের খাপা দিয়ে চাকা তৈরি করে অতঃপর গাড়ির ড্রাইভ করে। এভাবে গোল্লাছুট, মারবেল ছুড়ানো, কুতকুত, দৌড়াদৌড়ি ইত্যাদি নানা খেলায় মতে ওঠে। আর শৈশবে তেমন কোনো জৈবিক চাহিদা না থাকায় খেলাধুলার মাধ্যমে বিনোদন উপভোগ করে শিশুদের বিকাশ ঘটে।
স্মৃতিঘেরা শৈশবঃ-শৈশব থেকে কৈশোরে, কৈশোর থেকে যৌবন আর যৌবন থেকে প্রড়ৌত্বে বা বৃদ্ধকালে।এভাবেই ক্রমবর্ধমান মানুষের জীবন।ক্রমে মানুষের জীবন বর্ধমান হওয়ার পরে কালের বৃদ্ধি পাওয়ায় আর জীবনের তাগিদে চাপা পড়ে যায় ছোট্ট সোনালী অতীত। কিন্তু চাপা পড়ে গেলেও নিঃস্ব হয়ে যায় না সেই অতীতের অস্তিত্ব বলতে এখানে শৈশবকে বোঝানো হচ্ছে। কারণ, মানুষের বয়স যতই বৃদ্ধি পাক না কেন তাকে ফিরে আসতেই হবে শৈশব স্মৃতির কাছে। আসতে হবে। এটাই স্বাভাবিক, স্বাভাবিক নয় বরং বাস্তবতা। কারণ, শৈশব জীবনকে যেভাবে তৃপ্ত করায় অন্য কোনো সময়ে কোনোকিছুই জীবনকে তৃপ্ত করতে পারে না। শৈশবের বিনোদন মানে নতুনত্বের উদ্ভব।
নেতিবাচক মনোভাবে শৈশবের অবক্ষয়ঃ
পৃথিবীতে সবচেয়ে ক্ষতিকর একটি দিকের নাম হলো নেতিবাচক মনোভাব। আর তা যদি হয় সরলমনা শৈশবের শিশুদের ওপর তাহলে তো মহাসমস্যা।কারণ, শিশুদের কোমলমতি মনে এর তীব্র আঘাত বিরুপ প্রভাব ফেলে। ফলে, ব্যাহত হয় শিশুদের বিকাশের ধারা। বঞ্চিত হয় তারা স্বাধীনতা থেকে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই প্রত্যেকেরই উচিৎ, শিশুদের স্বাধীনতার বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকা। তাহলে শিশুদের আগামীর দিনগুলো আরো সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে উঠবে।
জাতিগত উন্নয়নে শৈশবের অবদানঃ
শৈশব মানেই জীবন চলার প্রথম ধাপ।আর আজকের শিশুরা আগামী দিনে বাবা হবে। এটা সকলেরই জানা কথা। তবে কথাটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৃথিবীতে আজ আমি আছি এবং তুমিও আছো।একদিন এমন হবে আমিও থাকবো না,তুমিও থাকবে না। কিন্তু তোমার আমার জন্য কি পৃথিবী থেমে থাকবে? না।কখনোই নয়।পৃথিবী তার গতিবেগ অনুযায়ী চলতেই থাকবে।কারণ, আমাদের আগে এরকম অনেকগুলো প্রজন্ম ছিলো। আজ তাঁরা নেই। আমরা এসেছি। আমাদের ওপর দায়িত্ব পৌঁছেছে।এভাবে প্রজন্ম পরম্পরায় চলতে থাকবে। তাদের ওপরও ঠিক এভাবেই দায়িত্বভার পৌঁছে যাবে। কাজেই আমাদের শিশুদের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যেভাবে তাদের বিকাশ সাধন হয় সেটাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তারা যেন পরবর্তী সময়ের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, শিশুদের উন্নয়ন মানেই জাতির উন্নয়ন। কারণ, আগামী দিনে শিশুরাই হবে জাতির কর্ণধার।


মার পেট থেকে কেউ ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/শিক্ষক হয়ে বের হয় না।
জন্মাবার পর শিশুরা নির্বোধ অবস্থায় পৃথিবীতে আসে তার শৈশব,কৈশোর,যৌবন ও বার্ধক্য এগুলোই জীবনের ধারা।
খুব ভালো লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে লেখাটি। হারিয়ে গেছে শৈশব, এখন আর আগের মত দিনগুলো কাটে না। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে একটি সুন্দর মূহুর্ত তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
যতবার শৈসব নিয়ে পোস্ট দেখি ঠিক ততোবারি আমার ছেলে বেলার কথা মনে পরে যায়। ছেলে বেলা মানে সৃতি যা সুধু কল্পনা করা যায় এখন কিন্তু বাস্তবে আর পাওয়া যায় না।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চাদের উপর নেতিবাচক মনোভাব টা আসলেই খুব বেশি খারাপ ভাবে কাজ করে যা আমাদের সকলেই বুঝা উচিত। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার এই ব্যাপারটা অনেকেই একদমই বুঝেনা অথবা বুঝেও মানতে চায় না। আপনি খুব সুন্দর টপিকস নিয়ে আজকে লেখালেখি করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আরো অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা আমরা দেখব এটাই কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শৈশব নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি প্রতিপাদন রচনা করেছেন। আপনার পোষ্ট দেখে আমার শৈশব এর কথা মনে পরে গেলো। কতোই না ভালো ছিলো সেই দিন গুলো এখন খুবই মিস করি। সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শৈশবের দিন গুলো খুব বেশি মিস করি।
সেই দিন গুলো খুব ভালো ছিলো সবার সাথে মিলে স্কুলে যাওয়া খেলাধুলা করা খুব মিস করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা ও দুআ রইলো ভাইয়া।