চারিদিকে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি ||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য 🇧🇩
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের আমার পক্ষ থেকে প্রান ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
শারদীয় দুর্গোৎসব নিয়ে একটি প্রতিবেদন আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আমি আশাবাদী যে সকলেই আমার প্রতিবেদনটি পড়বেন।
প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব পোষণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য।কারণ, আপনি অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা না করলে তাঁরাও আপন ধর্মকে শ্রদ্ধা করবে না।এটাই স্বাভাবিক। আর মানবতা তো সবকিছুর উর্দ্ধে।কারণ, মানবতা ছাড়া ধর্ম ভিত্তিহীন। আর এমন মানসিকতা ছাড়া যদি অন্য একটি ধর্মের কথা বলি তাহলে রয়েছে হিংস্রধর্ম।আপনি যখন অপরের ধর্ম সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করবেন তখন কিন্তু আপনি আর নিজের ধর্মের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকলেন না।তখন আপনি স্বধর্ম থেকে দূরে অবস্থান করে চলে যাবেন সেই তৃতীয় ধর্ম হিংস্রধর্মের ভিতরে।কারণ, আপনার ধর্ম তো শেখায় নি অন্য ধর্মের প্রতি হিংসা পোষণ করতে?আর যদি তাই করে থাকেন তাহলে আমি বলছি হিংস্রধর্ম অবশ্যই মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই হলো বিশ্বের সকল ধর্ম সম্পর্কে এবং মানবতা নিয়ে আমার নিজস্ব মতামত। আমি এটাই বিশ্বাস করে থাকি।
মুল বক্তব্যঃ
যা-ই হোক, এবার মূল আলোচনা শুরু করছি। আর সেটা হলো আমি আজকে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব নিয়ে কিছু আলোচনা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। এবছরের শারদীয় দূর্গোৎসব খুব নিকটে। আসন্ন দূর্গোৎসবকে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মাঝে চলছে গিমগিম ভাব।সকলের মন যেন প্রফুল্ল চিত্তে পরিপূর্ণ। আরও তো কাছাকাছি সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে দেবীমাতা দূর্গার আগমন। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে মা দূর্গা আমাদের সামনে এসে হাজির হন নানা শুভবার্তা নিয়ে। মা দূর্গার আগমনকে ঘিরে রয়েছে নানা আখ্যান।দেবীমাতা দূর্গার আগমনে মুছে যায় জগৎের যত গ্লানি।আর শান্তি এবং কল্যাণে পরিপূর্ণ হয় পুরো জগৎখানি।মানুষের জন্য বহুরূপী প্রগতি নিয়ে আসেন তিনি বারোটি হস্তে ধরে। দূর্গার অশেষ কৃপায়ট সাফল্যমণ্ডিত হয় এ ভুবন। এমনটাই বিশ্বাস রাখেন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।আপনার বিশ্বাস সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আসক্তি আলাদা, পূজো আলাদা। আপনি প্রতিবছর শুধু পুষ্প,ধূপ,ফুল-চন্দন আর দুধকলা দিয়ে প্রতিমার ভক্তি করে যাবেন সেটা সম্পূর্ণই কিন্তু বৃথা।আপনি যদি দেবীমাতা দূর্গা আপনার জন্য কি শিক্ষা দিয়ে গেলেন সেটাকে যদি উপলব্ধি করতে না পারেন, আপনার ধর্ম কি শিক্ষা দিয়ে গেল সেটা যদি বুঝতে না পারেন এবং তদনুযায়ী আপনার জীবনকে সাজাতে না পারেন তাহলে আপনার পূজোর কল্যাণ হিসেবে আপনি কি সফলতা অর্জন করলেন? শুধু শুধু ফুল-চন্দন,ধূপ আর দুধকলা দিয়ে প্রতিমার ভক্তি করা তো একপ্রকার আসক্তি হয়ে গেল।অর্থাৎ, আমি বলতে চাচ্ছি যে মা দূর্গার বাণীকে আপনাদের বুঝতে হবে। আপনার ধর্ম কি বলে সেটাকে বুঝতে হবে। তাহলেই আপনি ভগবানের কাছ থেকে আশির্বাদ প্রাপ্ত হবেন। নতুবা বৃথা যাবে আপনার সকল কর্ম ও প্রচেষ্টা।
লোকেশনঃ
https://w3w.co/invariably.reminisces.redial
লোকেশনঃ
https://w3w.co/invariably.reminisces.redial
এবারের দূর্গা পূজা উপলক্ষে চারিদিকে শারদীয় দূর্গাপুজার প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষের দিকে। শিল্পীরা ব্যাস্ত সময় পার করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবীমাতা দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্তলোকে। এরই ধারাহিকতায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।শারদীয় দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পথে। দেবীমাতা দূর্গাকে স্বাগত জানাতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। আজকে আমি আমার এলাকার একটি মন্ডপ ঘুরে দেখেছি খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কোথাও কোথাও শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন মা দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব মূর্তি। ইতোমধ্যেই প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রঙ ও সাজসজ্জার কাজ বাকি রয়েছে। প্রতিমা শিল্পীরা বিভিন্ন মন্দিরের ভিতরে প্রতিমা তৈরি করছেন।একজন প্রতিমা শিল্পীর কাছে তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর থেকে এই বছর একটু কাজের চাপ বেশি। তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতিমা তৈরি করে যে মজুরি পান তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর। তাই অনেকেই এ পেশা ছেড়ে চলে গেলেও একান্ত ভালোবাসার সুবাদে এবং আন্তরিকতার বন্ধনের কারণে তিনি এই পেশা ছাড়তে পারেন নি।তবে তিনি বলেন এই পেশা দিয়ে কোনোরকমে স্ত্রী সন্তানসহ কাজ করে পরিবার চালান তিনি।এ বছরে তিনি নাকি ৩টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে,এবারের দূর্গাপূজোর প্রতিমা তৈরির কাজ চারিদিকে প্রায় শেষের দিকে এসেছে। মানে পুজো খুব সন্নিকটে। অন্যধর্মের মানুষ হিসেবে আমি আপনাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক কথা তুলে ধরেছি এমনকি সকল ধর্ম সম্পর্কে এবং মানবতাকে কেন্দ্র করে নানা অভিমত পোষণ করেছি এজন্য যদি কোনোপ্রকার ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাইকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য আমি একান্ত অনুরোধ করছি।
লোকেশনঃ
https://w3w.co/invariably.reminisces.redial
লোকেশনঃ
https://w3w.co/invariably.reminisces.redial
আর সারা বিশ্বে যেহেতু প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস বিরাজ করেছে তাই সেদিক বিবেচনা করে আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপনে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ হবো বলে আমি আশাবাদী।
আপনি লোকেশন লিংক দেননি। এডিট করে লোকেশন লিংক যোগ করুন। আর চেষ্টা করুন ডিসকর্ডে যতটুকু সম্ভব এ্যাকটিভ হওয়ার। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আমার ভুলটি শুধরে দেওয়ার জন্য। লোকেশন লিংক এডিট করে দিয়েছি।আর চেষ্টা করবো ডিসকর্ডে এ্যাকটিভ থাকার জন্য