ধর্ম যার যার উৎসব সবার,চলছে দূর্গোৎসব || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য 🇧🇩

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)
আজ-২৭ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | ১২অক্টোবর | ২০২১ খ্রিস্টাব্দ |৫ রবিউল আউয়াল |১৪৪৩হিজরি |মঙ্গলবার |শরৎকাল


আমি নাজমুল-সাকিব। আমার স্টিমিট আইডির ইউজার নেম @nazmul-sakib আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের প্রতি আমার প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার পক্ষ থেকে হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসা রইলো। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।


আজকের পোস্টটি ভিন্ন ধরনের মন্তব্য নিজের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরলাম। "ধর্ম যার যার উৎসব সবার ও চলছে দুর্গোৎসব" এই বিষয়ে আশা করি সকলের ভালো লাগবে।



পুরো পৃথিবীতে জুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্মে বিশ্বাসী।
যদি আমাদের বাংলাদেশের কথা বলি,তাহলে বলা যায় যে আমাদের দেশে প্রধানত চারটি ধর্মের লোক বাস করে। ধর্মগুলো হচ্ছে, ১.ইসলাম ২.সনাতন ৩.বৌদ্ধ ৪.খ্রিস্টান।এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে এবং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গারো,সাঁওতাল, মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, মনিপুরী ইত্যাদিসহ নানা জাতির মানুষ। সংখ্যায় এরা কম হওয়ায় এদেরকে আমরা উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ইত্যাদি নানা ভাবে অভিহিত করে থাকি।তবে, আমাদের দেশে এই সমস্ত উপজাতিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। যাইহোক,
আজকের আলোচনা হলো 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার 'এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে। এই কথাটির প্রবর্তন হয়েছে তার পিছনে একটি গুরুত্ববহ তাৎপর্য রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা কিনা নিজের ধর্মের প্রতি অতি-আবেগের বশবর্তী হয়ে অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে থাকে। মানতেই চায় না যে,অন্যজন যেটা পালন করে সেটাও ধর্ম।সত্যি কিন্তু তাই। ব্যাক্তির মননশীলতার ওপর নির্ভর করে তাঁর রুচিশীলতা। এ পৃথিবীতে অসংখ্য পথ এবং মত বিরাজমান। যার কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য সে সেটাই গৃহীত হিসেবে মনোনীত করে। অন্য ধর্মের রীতিনীতির সাথে আপনার ধর্মের রীতিনীতির অমিল থাকতেই পারে। মতপার্থক্য থাকবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনার মতকে সাধুবাদ জানিয়ে অন্যদের মতাদর্শের বিরুদ্ধাচরণ করবেন। সেটা নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন। অন্যকে তার ধর্ম পালন করতে দিবেন না।শুধু আপনার ধর্ম সঠিক দেখে সেটাই প্রতিষ্ঠিত থাকবে। আর বাকি ধর্মগুলোকে উৎখাত করবেন। এটা কেমন হয়?এজন্য আমি একটা কথা আগেই বলেছি যে, "ব্যাক্তির মননশীলতার ওপর নির্ভর করে তার রুচিশীলতা।"আপনার ধর্ম কিন্তু শিক্ষা দিবে সবসময় যে,অন্যের ধর্মকে শ্রদ্ধা করুন। কারণ, যেখানে শ্রদ্ধায় নেই-ভক্তি নেই, সেখানে ধর্ম কিভাবে স্থান পাবে?আর মানবতা তো অনেক দূর অবস্থান করছে।

এরপরেও যদি আপনি সেই নিন্দিত কাজগুলো বহাল রাখেন তাহলে তো একটি রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। যেটা মূলত একটি ধ্বংসাত্মক কাজ। পৃথিবী জুড়ে থাকবে সবাই। সবারই সাম্যবাদকে গ্রহণ করা উচিৎ। যে যেই ধর্মই অনুসরণ করুক না কেন সবাইই তো চায় আপন সত্তায় নিজেদের প্রভুর সাধন করতে। তাহলে অসুবিধা কোথায় আমার জানা নেই।

লোকেশনঃ
https://w3w.co/enrolling.pursue.opaque

ডিভাইসঃ
স্যামসাং এম ২২
ছবি তোলার সময় দুপুর ১২টা

আর উৎসব সবার জন্য। মুসলমানেরা ঈদ পালন করবে তাদের ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতার সাথে। ঠিক আছে। কিন্তু ঈদ যে একটি উৎসব সেই উৎসবের সৃষ্ট আনন্দটা কিন্তু সবার মাঝেই ভাগাভাগি হবে। চারপাশে যত মানুষ রয়েছে সবাই এর আনন্দের ভাগিদার। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন পূজা পালন করবে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় নিয়ম-নীতির মাধ্যমে। কিন্তু পূজা যেহেতু একটি উৎসব সেহেতু এই উৎসবের আমেজ কিন্তু সবার মাঝেই ভাগাভাগি হবে। তবে হ্যাঁ,সবকিছুই হবে শালীনতার সাহায্যে।এভাবেই প্রত্যেক জাতির মানুষ তাদের নিজস্ব ধর্ম এবং উৎসবগুলি পালন করবে।

কারণ, উৎসব এমন একটি বিষয় যেখানে মানুষের মনের খোরাক জোগায় খুব সহজেই। তাই ধর্মীয় ব্যাপারেও যদি মত-পার্থক্য থাকে তাহলে সেটাকে সীমাবদ্ধ রেখে মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলেই একই সুরে চলবে। আপনার ধর্ম আপনি স্বাধীনভাবে পালন করবেন।অন্যকেও স্বাধীনতা দিবেন। উৎসব মানেই হলো সম্প্রীতি।আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চয়ই একটি রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শান্তির ধারা অব্যাহত রাখবে সবসময়ই।



আজকের মূল আলোচনাঃ


প্রতিবছরের মতো শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব। দূর্গোৎসবকে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের মাঝে আনন্দঘন এক বিশেষ মুহূর্ত। সকলের মন যেন প্রফুল্ল চিত্তে পরিপূর্ণ। ইতিমধ্যেই ঘটেছে দেবীমাতা দূর্গার আগমন। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে মা দূর্গা আমাদের সামনে এসে হাজির হন নানা শুভবার্তা নিয়ে। মা দূর্গার আগমনকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী।দেবীমাতা দূর্গার আগমনে মুছে যায় জগৎের যত গ্লানি।আর শান্তি এবং কল্যাণে পরিপূর্ণ হয় পুরো জগৎখানি।মানুষের জন্য বহুরূপী প্রগতি নিয়ে আসেন তিনি বারোটি হস্তে ধরে। দূর্গার অশেষ কৃপায়ট সাফল্যমণ্ডিত হয় এ ভুবন। এমনটাই বিশ্বাস রাখেন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।আপনার বিশ্বাস সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আসক্তি আলাদা, পূজো আলাদা। আপনি প্রতিবছর শুধু পুষ্প,ধূপ,ফুল-চন্দন আর দুধকলা দিয়ে প্রতিমার ভক্তি করে যাবেন সেটা সম্পূর্ণই কিন্তু বৃথা।আপনি যদি দেবীমাতা দূর্গা আপনার জন্য কি শিক্ষা দিয়ে গেলেন সেটাকে যদি উপলব্ধি করতে না পারেন, আপনার ধর্ম কি শিক্ষা দিয়ে গেল সেটা যদি বুঝতে না পারেন এবং তদনুযায়ী আপনার জীবনকে সাজাতে না পারেন তাহলে আপনার পূজোর কল্যাণ হিসেবে আপনি কি সফলতা অর্জন করলেন? শুধু শুধু ফুল-চন্দন,ধূপ আর দুধকলা দিয়ে প্রতিমার ভক্তি করা তো একপ্রকার আসক্তি হয়ে গেল।অর্থাৎ, আমি বলতে চাচ্ছি যে মা দূর্গার বাণীকে আপনাদের বুঝতে হবে। আপনার ধর্ম কি বলে সেটাকে বুঝতে হবে। তাহলেই আপনি ভগবানের কাছ থেকে আশির্বাদ প্রাপ্ত হবেন। নতুবা বৃথা যাবে আপনার সকল কর্ম ও প্রচেষ্টা।

লোকেশনঃ
https://w3w.co/enrolling.pursue.opaque

ডিভাইসঃ
স্যামসাং এম ২২
ছবি তোলার সময় দুপুর ১২টা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবীমাতা দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্তলোকে। এরই ধারাহিকতায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।তাছাড়া চারিদিকে, দেবীর বোধন এর মধ্য দিয়ে পূজোর আয়োজন ধারাবাহিকভাবে চলছে। আজ সপ্তমীর পালা। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা নিজেদের মতো করে নানাভাবে পালন করছে তাদের পূজো-পার্বণ।

আমরা সকলেই সাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোৎসব পালন করব। নিজে সচেতন থাকব, অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করব এবং ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64768.36
ETH 3436.88
USDT 1.00
SBD 2.51