আমার স্বরচিত কবিতা "পথ শিশু " র আবৃত্তি || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য 🇧🇩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা সকলেই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালোই আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগ
কবিতা আবৃত্তি
কবিতাঃ"পথ শিশু "
কবিঃ নাজমুল -সাকিব
আবৃত্তিঃনাজমুল-সাকিব
- আবৃত্তির ভিডিও,সংক্ষিপ্ত সারমর্ম নিজস্ব মতামত
- ভিডিও লেখাঃনাজমুল-সাকিব
আমি 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটিতে আমার স্বরচিত একটি কবিতা আবৃত্তি করেছি। শুধু আবৃত্তি নয় কবিতা আবৃত্তির ভিডিওর পাশাপাশি কবিতাটি লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছি এবং নিচে কবিতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু নিজস্ব মন্তব্য ব্যাক্ত করেছি।
🌼 কবিতার নামঃ"পথ শিশু "
🌼আবৃত্তি ও লেখকঃ নাজমুল -সাকিব
পথ শিশু
নাজমুল সাকিব
আমি দেখেছি শহরের রাস্তার ধারে,
ধুলোবালির মাঝেই কত শিশু থাকে।
কারো যদি বাবা থাকে নেই তবে মা,
মা থাকলে তাঁর নেই তবে বাবা।
ছোট থেকে তেমন কোনো যত্ন পায় না,
তাই তাঁহাদের জীবন কখনো স্বার্থক হয় না।
নেই বাড়ি, নেই ঘর,নেই যে স্থান,
দুনিয়া তাদের জন্য কবরস্থান।
কারো কাছে আহারের জন্য পাঁতলে দু হাত,
সবাই বলে হতভাগা এখান থেকে ভাগ।
হোটেলে পড়ে থাকে খাবারের বিষ্টা,
সেগুলো চেঁটে পুঁটে মেটায় যে ক্ষুধা।
শিশু থেকে কিশোর হলে অর্থের দরকার,
কোথায় পাবে অর্থ সে যে চাঁদের পাহাড়।
ইট ভাঙে,ফুল বেঁচে, করে মুটেগিরি,
এভাবে কি আর চলে, সংসার নামের তরী?
সুযোগ বুঝে কাজে লাগায় এদের অসৎ ব্যাবসায়ী,
ফলে তাঁরা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে মাদক পাঁচারকারী।
অল্প বয়সে দেখে চোর,গুণ্ডা, বদমাশ, ছিনতাইকারী,
অভাবে তাঁরা হয়ে ওঠে পশুর মতনি।
সমাজে যাঁরা ক্ষমতাবান সবল লোক আছে,
এই আহ্বান রাখছি আমি তাঁহাদের তরে।
যখন দেখিবে পথশিশু রাস্তার ধারে,
স্নেহ করিয়া তাঁহাদের যতন করিবে।
তাঁহাদের যদি শিক্ষার সুযোগ দেয়া যায়,
তাঁহাদের জীবন পরিণত হবে কাঞ্চা সোনায়।
ফলে তাঁরা হবে না আর গুণ্ডা, বাটপার,
কাঁধে নিবে আগামী দিনে দেশের দায়িত্বভার।
সংক্ষিপ্ত সারমর্মঃ
কবিতাটি মূলত পথশিশুদেরকে নিয়ে। আমরা সকলেই শহরে চলতে ফিরতে গিয়ে অনেক সময় পথশিশুদেরকে দেখে থাকি।আর পথশিশুরা মূলত শহরেই থাকে। কারণ, শহরে তাঁদের জীবন-যাপন করাটা অনেক সহজসাধ্য একটি ব্যাপার।যদিও আমরা পথশিশুদের প্রতিনিয়তই দেখতে পাই শহরের রাজপথে। কিন্তু, তাঁদের জীবন-যাপনের কষ্টটা কতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি? আসলে এরা মূলত রাস্তাতেই বসবাস করে থাকে। এদের অনেকেই আছে যাঁরা নিজেদের জন্ম পরিচয়টুকু পর্যন্ত জানে না।জন্মটাই যেন তাঁদের কাছে এক আজন্ম পাপ।এটার পিছনে অনেক কারণ আছে। আমি সেদিকে যাবো না।যাইহোক, এদের কারো কারো হয়তো বাবা আছে কিন্তু মা নেই। সাংসারিকভাবেই তাঁরা একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। সেকারণেও হয়তো তাঁদের খোঁজ-খবর রাখার মতোও কেউ নেই। জীবনটাই তাঁদের কাছে এক নির্মম পরিহাস।ফলে, জীবীকার তাগিদে তাঁরা বেঁচে নিচ্ছে বিভিন্ন পথ।হোক সেটা সৎ কিংবা অসৎ। এদেরকে লালন-পালন করার মতো কেউ নেই। তাঁরা বড়ই মানবেতর জীবন-যাপন করে থাকে। এদের জীবনকে কিভাবে স্বপ্নময়ী করে সাজানো যায় তার রয়েছে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান শ্রেণির মানুষদের সীমাহীন কর্তব্য।এজন্য মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার মাধ্যমে পথশিশুদের জীবনের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করাটাই আজকের কবিতাটির আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
❤️ সকলেই আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেন ❤️
আপনার কবিতাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাই হোক আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার কবিতা সম্পর্কে একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম।