🇧🇩 স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাতিক্রমী মানুষের তারতম্য || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের জন্য 🌻
আজ-১৬,কার্তিক |১৪২৮ বঙ্গাব্দ |পহেলা নভেম্বর |সোমবার |হেমন্তকাল
আসসালামুআলাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের আমার পক্ষ থেকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মূলত ব্যাতিক্রমী মানুষদের পক্ষে স্বাভাবিক মানুষদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে যে তারতম্য ঘটে থাকে সেটিই হচ্ছে আজকের আলোচনার মূল বিষয়।
তবে, তার আগে আমাদের বোঝা উচিৎ যে, এখানে ব্যাতিক্রমী মানুষ বলতে একটি শব্দ লেখা হয়েছে। এই ব্যাতিক্রম শব্দের যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে বোঝা যায় যে, ব্যাতিক্রম একটি শব্দ। এই ব্যাতিক্রম শব্দটাকে একটু আলাদা করলে দেখা যায়, এই শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ক্রম শব্দ থেকেই।ক্রম শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, ধারাবাহিক। ধারাবাহিক মানেই নিয়মতান্ত্রিকতা।একের পর দুই। এখানে ব্যাতিক্রম বলতে বোঝায় অধারাবাহিকতা।অর্থাৎ স্পষ্ট হয় যে, ব্যাতিক্রম মানে হলো নিয়মের বিপরীতার্থকতা।
এখন আসবে স্বাভাবিক মানুষ এবং ব্যাতিক্রমী মানুষের তারতম্য নিয়ে আলোচনা।
স্বাভাবিক মানুষঃ
স্বাভাবিক মানুষ বলতে বোঝা যায় যে, যাদের জীবন প্রকৃতিগত বা সৃষ্টিগত দিক থেকে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত বা
তাঁরা পরিপূর্ণ জীবনের অধিকারী মানুষ। পৃথিবীতে তাঁরা বিচরণ করে কোনোপ্রকার অসুবিধা, অস্বাভাবিকতা আর প্রতিবন্ধকতা বা বাধা ছাড়াই।জীবনের প্রয়োজনে সকল চাহিদা তাঁরা সহজেই পূরণ করতে পারে। এতে তাঁদের তেমন কোনো অপূর্ণতা থাকে না।
ব্যাতিক্রমী মানুষঃ
সৃষ্টিগত বা প্রকৃতিগত দিক থেকে যাঁরা ত্রুটিময় জীবনের অধিকারী তাঁরাই পৃথিবীতে ব্যাতিক্রমী মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই বিবেচনার সৃষ্টি করে থাকে স্বাভাবিক মানুষেরা।ব্যাতিক্রমী মানুষদের জীবন যেন জীবন নয় অভিশাপের বিষাক্ত আঁধার। কারণ হচ্ছে যে,ব্যাতিক্রমী মানুষেরা এমন একটি জৈবিক বিপর্যয়ের স্বীকার যে,জীবনে প্রত্যেকটি কাজ সম্পণ্ণ করতে গিয়ে তাঁরা চরম বিষাদগ্রস্ত হয়।এর কারণ কি জানেন? কারণ হলো ২টি।
১.ব্যাতক্রমী মানুষদের জীবনের অপরিপূর্ণতা।
২.স্বাভাবিক মানুষদের কাছে ব্যাতিক্রমী মানুষদের প্রতি অনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
অতএব, ব্যাতিক্রমী মানুষদের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আমি তুলে ধরেছি মনে করি।
উভয় জীবনের তারতম্যতাঃ
তারতম্য সৃষ্টি হয় মানুষের চিন্তাধারা থেকে। স্রষ্টার পক্ষ থেকে কারো ওপরে জুলুম করা হয় নি।কারণ, তিনি সকলকেই সৃষ্টি করেছেন ওনার ভালোবাসা এবং ভালোলাগা থেকে। আর জুলুমের সৃষ্টি করেছে মানুষ। মানুষের প্রতি মানুষ জুলুম করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বিনা কারণেই।না।বিনা কারণ নয়।কারণটা হচ্ছে, নিজেদের স্বার্থ। এই স্বার্থের কাছে জিম্মি হয়েছে বিকৃত মানুষিকতা।যার কারণেই এতো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বাভাবিক মানুষদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। থেমে নেই কোনো কারণ ছাড়াই। কারণ, জীবনটা তো তাদের পরিপূর্ণ।
অন্যদিকে,ব্যাতিক্রমী মানুষদের জীবনযাত্রার পথটা কাঁটাযুক্ত। এর ফলে তাঁরা হাঁটতে চাইলেও সহজে পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয় না। তাঁদের কাছে জন্মটাই যেন এক আজন্ম পাপ।
হ্যা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।আজকাল মানুষ পশুর চেয়েও খারাপ হয়ে গিয়েছে।মানুষ হয়ে মানুষকে ক্ষতি করতে একেবারেই পিছপা হচ্ছে না।যখন যেভাবে পারে সেভাবেই জুলুম, নির্যাতন করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষ ভাইয়া সত্যি দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে 🥺🥺🥺।
আসলে কিছু বলার নাই। শুধু এটাই বলতে চাই এই পৃথিবিকে আমরাই ধংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সবার আগে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।সত্যিই আপনি একটি বাস্তব লেখা লিখেছেন। আমরা স্বাভাবিক মানুষরা তারতম্য সৃষ্টি করি। আমরা যারা স্বাভাবিক মানুষ আছি তারা ব্যতিক্রম মানুষগুলোকে যেনো মানুষ মনে করি না' সৃষ্টিকর্তার কাছে যদি তারা ভালো হতে পারে আমাদের কাছে কেন হবেনা?এটা আমাদের অস্বাভাবিক চিন্তাভাবনা, নষ্ট মানসিকতা।
ভাইয়া, আপনার লেখার মধ্যে এই লেখাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
স্রষ্টার পক্ষ থেকে কারো ওপরে জুলুম করা হয় নি।কারণ, তিনি সকলকেই সৃষ্টি করেছেন ওনার ভালোবাসা
ধন্যবাদ,ভাইয়া এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন😊
আপনাকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে জানাই শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা, সশ্রদ্ধ সালাম এবং ভালোবাসা।
আপনার নামের পাশে Under Surveillance লেখা। আপনি Discord এ যোগাযোগ করছেন না কেন .?