ভ্রমণ:- ভাষা শহীদ সালামের জাদুঘর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত
ABB ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি মুহূর্তের কথা বলব। আসলে আমি ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। যখন সময় পাই তখনই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চলে যাই। আজ আমি সুন্দর একটি ঘুরাঘুরির মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আমাদের পাশেই রয়েছে ভাষা শহীদ সালামের জাদুঘর এবং ভাষা শহীদের বাড়ি। আসলে আমাদের খুব কাছেই তাদের বাড়ি অবস্থিত। কিন্তু আমরা কখনো যাওয়ার সময় হয় না। আসলে এজন্য চিন্তা করলাম কিছুদিন আগে ভাষা শহীদ সালামের এলাকাটা ঘুরে দেখব। এজন্য সোনিয়াকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি যখন সেখানে যাওয়ার কথা ভাবি তখনই সোনিয়াকে শেয়ার করি। সোনিয়া ও যাওয়ার জন্য রাজি হয়।
আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে যখন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা বলি। কারণ ঘুরাঘুরি করতেই আমি খুব ভালোবাসি। এজন্য সব সময় মোটরসাইকেল নিয়ে এবং এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায় যাই। এজন্য চিন্তা করলাম সোনিয়াকে নিয়ে সালাম নগর যাওয়ার কথা। আসলে ভাষা শহীদ সালামের গ্রামটির নাম সালাম নগর।
আসলে বিভিন্ন দিবসের সময় স্কুলে থাকাকালীন আমরা সবসময় যেতাম। কিন্তু দীর্ঘ অনেক বছরের মধ্যে কখনো যাওয়া হয়নি। বিশেষ করে একুশে ফেব্রুয়ারিতে বেশি যাওয়া হত ফুল দেওয়ার জন্য। আমাদের স্কুল থেকে প্রতি বছর নেওয়া হতো। এবং আমরা সবাই সেখানে খালি পায়ে ফুল নিয়ে যেতাম।
এ বিষয়গুলো অনেক মনে পড়লো। এজন্য চিন্তা করলাম সেখানে ঘুরার কথা। আমরা দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। মেয়েটাকে বাসায় রেখে আমরা দুজন বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম। সোনিয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু সালাম নগর যখন গিয়ে পৌঁছালাম তখন অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আমরা যখন যেতাম তখন একটি শহীদ মিনার ছিল অনেক ছোট। কিন্তু এখন অনেক বড় একটি শহীদ মিনার দেখলাম। এবং খুব সুন্দর করে একটি জাদুঘর তৈরি করেছে। জাদুঘরের ভিতরে অনেকগুলো বই-পুস্তক রয়েছে যেগুলোর মধ্যে স্বাধীনতা নিয়ে অনেক লেখালেখি রয়েছে। আমরা জাদুঘরের ভিতরে ঢুকে কয়েকটি বই পড়েছিলাম। রংবেরঙের অসংখ্য বই দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এছাড়াও জাদু ঘরের পাশেই একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। প্রাইমারি স্কুলটাও দেখতে খুব সুন্দর লেগেছিল। স্কুলটির মধ্যে হয়তো গ্রামের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে। এবং খুব ছোট করে একটি মসজিদ রয়েছে। হয়তো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন ওই মসজিদে। আমাদের দুজনের খুব ইচ্ছে ছিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য তাদের বাড়িটা দেখাতে পারলাম না। না হয় তাদের বাড়িটা ঘুরে আসতাম।
কিন্তু ইচ্ছা আছে তাদের পুরো গ্রামটা ঘুরে দেখার। জাদুঘরের সামনে আমি এবং সোনিয়া অনেকগুলো ছবি তুলি। সেই ছবিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে যেন সালাম এর সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। এ ধরনের ছবি সহ ছবি তুলতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সেখান থেকে ঘুরে আমরা একটি জায়গাতে নাস্তা করি। নাস্তা করে সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি আবার ফিরে আসি। সে সময়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | আর্ট |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1733492023372714403?t=rIv9KoE7WKRwpGfodg8WnQ&s=19
কিছুদিন আগেই সোনিয়া আপুর পোস্ট এর মাধ্যমে ভাষা শহীদ সালামের এই এলাকাটি সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারি। আজকে দেখেও বেশ ভালো লাগলো। ভাষা শহীদের স্মরণে স্মৃতি জাদুঘর, একটি সুন্দর লাইব্রেরী করেছে, পাশেই একটি মসজিদ আছে, শহীদ মিনারটি ছোট থেকে বড় করেছে এগুলো সবগুলোই কিন্তু পজেটিভ লক্ষণ। এভাবেই আরো অনেক মানুষ জানতে পারবে এমন মহান শহীদদের ত্যাগের মাহাত্ম্য সম্পর্কে।
জ্বী আপু এগুলো আসলেই পজিটিভ লক্ষণ। সবাই যেন জানতে পারে তাই সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই বিষয়টা।
আসলেই ঘোরাঘুরির মাঝে অন্যরকম শান্তি আর ভালোলাগা আছে ৷ কথাও ঘুরতে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায় ৷ আপুকে নিয়ে ঘুরতে গেছেন এবং সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ আসলে দিন দিন সব বদলে যাচ্ছে , পিছনের মতো সমানের দিন গুলো আসতেছে না ৷ অনেক সময় কাছের জায়গায় গুলোও ঘুরে দেখার সময় হয় না এখন ৷ যাই হোক আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ এটা কিন্তু ঠিক, কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতেই মনটা ভালো হয়ে যায়। আমার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
একমাত্র পৃথিবীতে ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক,ও জব্বার। তাদের জন্যই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি । সালামের স্মৃতি বিজারিত স্থলে আপনি এবং সোনিয়া আপু ঘুরতে গিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো। আসলে যে কোন জায়গায় ঘোরাঘুরি করার মধ্যে আলাদা একটি মজা রয়েছে ।আপনাদের ঘুরাঘুরির মাধ্যমে আমরাও উপভোগ করলাম ভালো লাগলো।
আমার আর সোনিয়ার কাছে অনেক কিছু ভালো লেগেছিল জায়গাটাতে ঘুরতে পেরে।
প্রথমে আমাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করি আব্দুস সালামের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণ করে চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। জাদুঘরের পাশেই একটি প্রাইমারি স্কুলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য রকি ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা সবসময় রয়েছে। আমার পুরো পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাষা শহীদ সালামের জাদুঘরে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আরো বেশি ভালো লাগলো যে আপনি সোনিয়া আপুকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন আসলে প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসে। বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে যেখানে খুশি সেখানে চলে যাওয়া যায় অল্প সময়ের মধ্যে। যাইহোক ভাষা শহীদ সালামের জাদুঘরে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছি। এটা ঠিক বলেছেন, প্রিয় মানুষটার সাথে ঘুরাঘুরি করতে সবাই ভালোবাসে।