ভ্রমণ : শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
Abb 3 মার্চ 2024 ✅ ররিবার
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই ইতিমধ্যেই জেনেছেন কিছুদিন আগে আমি এবং সোনিয়া শিশু পার্কে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে সোনিয়া এ পোস্টটি করেছিল। আসলে ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। আমরা সবাই ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি এবং সোনিয়া সপ্তাহে কোথাও না কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবলাম। পরে সোনিয়ার সাথে শেয়ার করলাম। এক কথাতে এসেও রাজি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোথায় যাবো তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
পরবর্তীতে ভাবলাম ফেনীতে কোথাও যাব। যেতে যেতে ভাবছি কোথায় যাব তা সিদ্ধান্ত না নিয়েই রওনা দিয়ে দিলাম। আমরা যখন কলেজের সামনে গিয়ে পৌঁছালাম কিছুক্ষণ নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর পরপরই হঠাৎ করেই শিশু পার্কে যাওয়ার কথা বলে। কারন ফেনী লালদীঘির পাড়েই খুব সুন্দর একটি শিশু পার্ক রয়েছে। আমার এবং সোনিয়ার কখনোই এখানে যাওয়া হয়নি। যখন আমরা এই ছোট পার্ক দেখেছি তখন ভীষণ ভালো লেগেছিল।
কিন্তু অবাক হয়েছিলাম যে আমরা কখনো এ পার্কে আসলামই না। অবাক হলেও সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাওয়ার কথা ভেবেছি। টিকেট মূল্য নিয়েছিল ১৫ টাকা। দাম অনুযায়ী খুবই ভালো লেগেছিল। ভিতরে প্রবেশ পথেই দেখলাম ছোট জায়গা মধ্যে খুব সুন্দর একটি পার্ক তৈরি করেছে। কিন্তু মেয়েটাকে খুবই মিস করতেছিলাম। তাকে নিয়ে আসলে সে অনেক বেশি দুষ্টামি করতে পারতো। কারণ তার খেলার অনেক জায়গা ছিল। আসলে দূরে কোথাও গেলে তাকে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না। তারপরেও প্রায় সময় সব জায়গায় নিয়ে যাই।
কিন্তু যখন ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতেছে তখন মেয়েটাকেই মিস করছি। কিছুক্ষণ হেটে দেখার পর অনেকগুলো ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সোনিয়ার অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম। অনেকগুলোর ছবির মধ্য থেকে কয়েকটি ছবি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। এজন্য সোনিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে ছবি তুলেছি। জায়গাটি একটি হওয়ার কারণে খুবই বাতাস আসতেছিল। বাতাসের কারণে অনেক বেশি ভালো লাগছিল।
দিঘীরপাড়ে থেকে যখন দিঘী দেখা যাচ্ছিল তখন বেশ সুন্দর লাগছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন হালকা দুপুর হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে একটু গরম লাগছিল আমাদের কাছে। এজন্য দিঘিরপাড়ের বাতাস গুলো গায়ে যখন লাগতেছিল তখন অনেক বেশি ভালো লাগলো। এই মুহূর্তটা খুবই মজার ছিল। কারণ আশেপাশের জায়গা যখন সুন্দর থাকে তখন মনটাও সুন্দর হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমি সোনিয়ার সাথে কথা বলতেছিলাম , পরবর্তীতে কখনো আসলে নাশিয়াকে নিয়ে আসব। তাকে নিয়ে আসলে সে অনেক বেশি খেলাধুলা করতে পারবে। আর যখন বিভিন্ন খেলনা গুলোর মধ্যে উঠবে তখন অনেক বেশি আনন্দিত হবে। আর তার আনন্দিত আমাদের আনন্দ। এ মুহূর্তগুলো সবার কাছে বিশেষ হয়ে থাকে। আমরা যখন ঘোরাঘুরি করতেছি এবং বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ সেখানে অনেক মানুষই ছিল। ছোট পরিষদে অনেক কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কতৃপক্ষ।
যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এটি যখন শিশু পার্ক যার কারনে শিশুদের জন্য অনেক কিছু রেখেছিল। ভিতরে খুব সুন্দর একটি দোকানও ছিল। এবং পার্কের মধ্যে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক লোক যদি বেশি ছিল। যেমন আমরা হাহাহা 😅😅😅। তখন শিশু পার্কের মধ্যে মনে হচ্ছিল আমরা এই শিশু। আসলে যে কোন শিশু পার্কের মধ্যেই বয়স্করা বেশি থাকে। শিশু খুবই কম থাকে।
আমি আশা করি আপনাদের কাছে আজকের এই শিশু পার্ক অনেক বেশি ভালো লাগবে। শিশু পার্কে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যার কারণে আমি চেষ্টা করেছি খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। দেখা হবে পরবর্তী কোনো ব্লগে নতুন কিছু নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
একটু আগে আমাদের ভাবির পোস্ট দেখলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। আজকেও আপনি শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলি তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল আর বাচ্চাদের জন্য এই পার্ক টি অনেক সুন্দর এবং চমৎকার লাগতেছে চারিদিকে পরিবেশটা। আমি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আসলেই বাচ্চাদের জন্য এটা একেবারে সুন্দর এবং পরিষ্কার একটা পার্ক। আপনি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শুনেই ভালো লাগলো।
https://twitter.com/NARocky4/status/1764263819151651106?t=GVLMvI4880orwVg8tPdMtA&s=19
শিশু পার্কে গিয়ে আসলেই অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনারা যখন ওখানে গিয়েছিলেন তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল ।অনেক গরম পরছিল ।আসলেই কোথাও ঘুরতে গেলে মনটা যেন ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন কোথাও ঘুরতে গেলে মনটা ভালো হয়ে যায়।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া বাচ্চাদের রেখে ঘুরতে গেলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। তবে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে রেখে যাওয়ায় উত্তম। তবে পার্কের ভেতরে অনেক সুন্দর কিন্তু সেই তুলনায় টিকিটের মূল্য অনেক কম নিয়েছে।যাইহোক আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই আপু টিকিটের মূল্য কম নিয়েছে। আর ভেতরে ঢোকার পর খুব ভালো লেগেছিল।
আপনারা শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়ে বেশ চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন মাঝে মধ্যে এভাবে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আপনাদের শিশু পার্কে ঘুরার মুহূর্ত পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শিশু পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
মাঝে মাঝেই ভ্রমন করলে মনে প্রশান্তি জাগে।শিশু পার্কে শিশুর সংখ্যা কম দেখে খারাপ লাগলো।তাছাড়া এখানে বাচ্চাদের অনেক রাইড রয়েছে যা বাচ্চাদের অনেক আনন্দ দিতে সাহায্য করবে।আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ বাচ্চাদের অনেক রাইড রয়েছে, যেখানে বাচ্চারা ভালো সময় অতিবাহিত করছিল।
আপনারা দুজনে তো শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়ে বেশ মজা করলেন দেখলাম। আমাদেরকে রেখে একা একা ঘুরে আসলেন দেখে কিন্তু এমনিতে ভালই লাগলো। তাছাড়া আপনারা বেশ সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন। এই ধরনের জায়গায় ঘুরতে গেলে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া আপনারা নাশিয়া কেউ ঘুরতে নিয়ে গেলেন না জেনে খুবই খারাপ লাগলো। এমনিতে নাশিয়াকে সব জায়গায় গেলে বেশ দুষ্টামি করে। তাছাড়া সুন্দর একটা সময় সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পোস্টটি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নাশিয়াকে না নিয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের কাছেও খারাপ লেগেছিল। পরবর্তীতে গেলে অবশ্যই নাশিয়াকে নিয়ে যাব।
ফেনী লালদীঘির পারে সুন্দর এই শিশু পার্কের ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। আর সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে আপনারা ভ্রমণ প্রিয় মানুষ, যার কারণে ভ্রমণ আপনাদের নেশা এবং পেশা হয়ে গেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আসলেই শিশু পার্কে গিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।
সোনিয়া আপুর পোস্টের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছিলাম যে, আপনারা দুজন একটি শিশু পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আসলে শিশু পার্ক গুলোর মধ্যে শিশু দের খেলা ধুলা করার জন্য বেশ অনেক গুলো খেলনার জিনিস পত্র সাজিয়ে রাখা হয়।আর ছোট বাচ্চারা এগুলোতে খেলা করতে অনেক বেশি ভালোবাসে।
হ্যাঁ বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য অনেক রাইড রয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। যাইহোক শিশু পার্কে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। নাশিয়াকে নিয়ে গেলে আসলেই খুব আনন্দ করতে পারতো। এটা ঠিক শিশু পার্কে বাচ্চাদের চেয়ে বড়দেরকে বেশি দেখা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই নাসিয়াকে নিয়ে গেলে ভালোই আনন্দ করতে পারতো।