রেসিপি: কচুপাতা ভর্তা রেসিপি।
ABB 17-7-23 - জুলাই ২০২৩ সোমবার ❤️
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে কচুপাতা ভর্তা রেসিপি ভালো লাগবে।
আজকে আমি কচু পাতার ভর্তার খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছি। যদিও জানিনা এই রেসিপিটা আপনাদের খাওয়া হয়েছিল কি না। তবে এই রেসিপিটা কিন্তু অনেক বেশি মজাদার একটা রেসিপি। এই ধরনের মজাদার খাবারগুলো খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর আমাদের বাড়িতে এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো বেশিরভাগ সময় তৈরি করা হয়। কচু আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি চোখের জন্য একটু বেশি কার্য করি বলে আমরা সবাই জানি। আমি বেশিরভাগ সময় আম্মু অথবা সোনিয়াকে বলে থাকি কচুর পাতা দিয়ে রেসিপি তৈরি করার জন্য। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক কচুর পাতার ভর্তা রেসিপি টা।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কচু পাতা | পরিমাণ মতো |
শুকনা মরিচ | ৬/৭ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি কিছু কচুর পাতা এবং ডাটা কুঁচি কুঁচি করে কেটে ধুয়ে একটা পাতিলের মধ্যে নিলাম।
ধাপ 2️⃣
তারপরে পাতিলটি চুলায় বসিয়ে পরিমাণ মত পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেওয়া কচুর পাতা এবং ডাটা।
ধাপ 3️⃣
এরপর আরেকটি কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে গরম করে নিলাম। তারপর তেলের মধ্যে শুকনো মরিচ কয়েকটা দিয়ে দিলাম।
ধাপ 4️⃣
এরপর সিদ্ধ করা শাক গুলো ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
ধাপ 5️⃣
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে শুকনো মরিচ গুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। তারপরে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ 6️⃣
এরপর ভাজা শুকনো মরিচ গুলো ভেঙ্গে নিলাম।
ধাপ 7️⃣
তারপরে সিদ্ধ করার শাকগুলো এই কড়াইটির মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপ 8️⃣
তারপরে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত চুলায় ভাজা করতে লাগলাম। এভাবে কিছুক্ষণ ভেবে নেওয়ার পরে তৈরি হয়ে গেল এই রেসিপিটা। আশা করছি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবো আমার তৈরি রেসিপি।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি ৭আই |
পোস্ট তৈরি | #narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। কচু পাতার ভর্তা অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়না। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পাতা কচু বার্তা রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
এ ধরনের রেসিপি আপনাদের বাসায় মাঝে মাঝেই তৈরি করেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আসলে কচু পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা চোখের জন্য খুবই উপকার। ভাই আপনার রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। কচুর পাতা দিয়েও যে, ভর্তা তৈরি করা যায় এটা অবশ্য প্রথম দেখলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কচু পাতা ভীষণ পুষ্টিকর একটি খাবার। এটা ভাজি কিংবা ভর্তা যেভাবেই তৈরি করে খাওয়া হয়, সেটাই স্বাদের লাগে। বেশ চমৎকার একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন।
@tipu curate
যে কোন ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কচুপাতা ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই অসাধারণ হয়েছে। ভর্তা তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কচুপাতা ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি পরিবেশন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া কচুপাতা ভর্তা করে খেলেন আর আমাকে একটু দিলেন না । এটা তো ঠিক হলো না। আমি কিন্তু কচু পাতার ভর্তা খেতে বেশ পছন্দ করি। আর আপনি যে সুন্দর করে রেসিপি করেছেন তা দেখে তো আর নিজেকে ধরে রাখা যাচেছ না। বেশ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন । ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার কচুপাতার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। কচু পাতার ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে ঠিক বলেছেন কচু পাতা খেলে আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকারী। আপনি অনেক সুন্দর করে কচু পাতার ভর্তা রেসিপি করেছেন। এবং রেসিপি দেখে আমার মুখে জল এসে গেল। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।
কচু পাতা ঘন্টো বা ভর্তা আমার খুব ফেভারিট।
যেমন পুষ্টিকর খেতে তেমন সুস্বাদু।
সব থেকে বেশি ভালো লাগে যদি ইলিশ মাছ অথবা চিংড়ি মাছ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় রেসিপিটি।
আপনি শুকনা মরিচের সাথে দারুন ভাবে প্রস্তুত করেছেন দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।