স্বরচিত গল্প : সব সময় বড় সাজতে নেই (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
আজ আমি খুবই সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে। গল্পটির স্বরচিত গল্প। আমি কখনো নিজ থেকে গল্প লেখার চেষ্টা করিনি। আজ নিজ থেকে একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কেমন হয় অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন।
একটি পরিবারে পাঁচটি সন্তান ছিল। সবগুলো সন্তান বিবাহিত ছিল। পরিবারে সন্তানের বাবা এবং মা ছিল। সাথে বোন এবং বোনের জামাই ও একই পরিবারে থাকতো। পরিবারের সবাই একজন একজনকে খুবই হিংসে করতো। একজন চাইত না অন্যজন তার থেকে ভালো থাকবে। একজনের টাকা লস হলে অন্যজনরা খুবই খুশি থাকতো।
কিন্তু প্রত্যেক সন্তানরাই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ব্যবসা করত। কিন্তু কেউই বড় ধরনের কোন ব্যবসা করত না। কারণ তাদেরকে তাদের পরিবার থেকে কোন ধরনের ইনভেস্ট দেওয়া হয়নি। তাদের নিজ থেকে তারা পরিশ্রম করে এই ব্যবসা গুলো বড় করিয়েছে। কিন্তু একদমই বড় নয় ।
তাদের ছোট ছেলে বিনোদন প্রেমী ছিল। বিনোদন জগতের সবাইকে সে খুবই ভালোবাসতো। একদিন বিনোদনের একটি অনুষ্ঠানে ছোট ছেলে গিয়েছে। এই নিয়ে পরিবারের সবাই খুবই তিক্ততা দেখিয়েছে। কারণ তারা যেতে পারেনি ছোট ছেলে গিয়েছে এজন্য।
এরপর বাকি সবাই একটি পরিকল্পনা করে, বড় বড় কিছু সেলিব্রেটিকে তাদের বাসায় ইনভাইট করল। কিন্তু ছোট ছেলের সাথে সেলিব্রেটিদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অন্যরা কেউই এই বিষয়টা জানতো না।
সেলিব্রেটিরা যেদিন বাড়িতে আসলো সবাই অনেক খুশি। তাদের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করল। ছোট ছেলে একটি চালাকি করলো। সবার সামনে ছোট ছেলের স্ত্রীর অলংকার সেলিব্রেটি সবাইকে উপহার দিল। এই দেখে পরিবারের সবাই অনেক রেগে গেল। যে সেলিব্রেটিদের কাছে ছোট ছেলে অনেক প্রিয় হয়ে গেল। সেলিব্রেটিরা তার সাথে খুব ভালো আচরণ করতেছে।
এটা দেখে পরিবারের সবাই একে একে সেলিব্রেটিদের তাদের পরিবার থেকে বড় বড় গিফট দেওয়া শুরু করল। তাদের স্ত্রীগণের স্বর্ণালংকার সহ অনেক দামী দামী জিনিসপত্র তাদেরকে গিফট দিতে লাগলো। ছোট ছেলে বিষয়টা আগেই বুঝেছিল। এজন্য ছোট ছেলে আগেই প্রথমে গিফট দিয়েছিল। কিন্তু ছোট ছেলে খুবই অল্প দামের গিফট দিয়েছিল তাদেরকে।
যখন সবাই চলে গেল তখন পরিবারের সবাই হাই হুতাশ করতে লাগলো। কারণ তাদের পরিবারে দামি আর কোন জিনিসপত্রই নেই। পরিবারের সবাই এই নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গেল। বড় সাঁজতে গিয়ে তাদের অনেক বড় লস হয়ে গেল। পরিবারের লস হওয়ার কারণে সবাই অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। দ্বিতীয় পর্বে তার সমাধান পাবেন। দ্বিতীয় পর্ব টা খুবই ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। কিভাবে তাদের পরিবারের লস সমাধান হল কেউ বুঝতে পারলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। দেখি দ্বিতীয় পর্বে মিলে কিনা। যাদের মিলবে তাদের, নাম আমি পোস্টে শেয়ার করব।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
ভালো লিখেছেন ভাই। পরের পর্ব আসলে অবশ্যই পড়ব। অপেক্ষায় থাকলাম।
খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব পোস্ট করবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
আপনার স্বরচিত অনুগল্পটি সত্যি অসাধারণ লেগেছে। একেবারেই ভিন্ন ধর্মি। তবে আপনার গল্পে আকর্ষণ ছিল অনেক বড়। এবং কি আরো কিছু অংশ রেখে দিয়েছেন আকর্ষণ হিসেবে। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। আর বলার জন্য প্রস্তুত নয়। দেখি আপনার গল্প শেষ আকর্ষণ, মিল কিভাবে হয়। অপেক্ষায় থাকলাম বাকি অংশ পড়ার জন্য।
খুব শীঘ্রই পরবর্তী পোস্ট দেখতে পারবেন ভাই। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও খুব অসাধারণ আপনি খুব সুন্দর করে সব সময় বড় সাজতে নেই স্বরচিত গল্পটি লিখেছেন। গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সেলিব্রিটি লোককে ছোট ছেলে গিফট দেওয়াতে। ফ্যামিলির অন্যান্যরা আরো বড় বড় গিফট দিয়েছেন। তাদের অনেক লস করে ফেললেন। এই কারণে সব সময় বড় সাজতে নেই মনে হয়। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সময় দিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ । যেকোনো ক্ষেত্রেই অন্যকে দেখে নিজে বড় সাজতে গেলে সেখানে ছোট হতে হয়।
অনেক শিক্ষামূলক একটি গল্প।এজন্যই একটি প্রবাদ আছে,বেশি বড় হইও না,ঝড়ে ভাঙবে মাথা।আবার আমরা আপনার গল্প থেকে হিংসার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও জানলাম।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
একদামে ঠিক বলেছেন ভাই, এই গল্পে হিংসার ক্ষতিকর দুই একটা দিক রয়েছে। মানুষের জীবনে হিংসায় অনেক নিচে নামিয়ে ফেলে।