lifestyle:- হঠাৎ করেই প্রিয় ভাইয়ের সাথে ইফতার
ABB 8 এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার ✅
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
প্রত্যেক বছর অনেক বেশি বাহিরে ইফতার করা হতো। কিন্তু এ বছরটা বাইরে খুবই কম ইফতার করা হচ্ছে। হঠাৎ করেই বাহিরে ইফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে হঠাৎ ডিসিশন গুলো খুব ভালো লাগে। চিন্তা করেছিলাম মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক দূরে ঘুরতে যাবো। ভাইকে নিয়ে বের ও হয়েছিলাম। আমার মোটরসাইকেলটি রেখে ভাইয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম।
অনেকদূর চলেও গিয়েছিলাম। কিন্তু পথেই বৃষ্টি বলতেছে আর যাইস না! কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, আকাশ বলতেছে বৃষ্টি আসবোই। তখনই আমরা অনেক দূর যাওয়ার পরে আবার পুনরায় স্থানীয় বাজারের দিকে রওনা হলাম। যে আশেপাশে থাকতে হয়। না হয় বৃষ্টিতে ভিজতে হবে। যার কারণে দূর থেকে আবার রওনা দিয়ে দিলাম। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে, যখন সন্ধ্যা হবে তখন ওই জায়গায় বসে ইফতার করব এমনটাই আশা ছিল।
বৃষ্টির জন্য সে আসাটা বরবাদ হয়ে গেল। যাই হোক তার পরেও সিদ্ধান্ত নিলাম কোথায় ইফতার করা যায়। আমাদের পাশেই মনপুরা কাবাব হাউস রয়েছে। চিন্তা করলাম সেখানেই চলে যাই। প্রথমে ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম সেখানে ইফতার করলে কেমন হয়। ভাইয়া বলল ঠিক আছে ভালো। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা মনপুরা কাবাব হাউজে চলে আসলাম। এসেই কাবাব অর্ডার করে দিলাম।
এরপর কিছুটা সময় মনপুরার ভিতরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সেখানে অনেক বড় এক অবস্থা। আমরা যেখানে বসবাস করি সেখানে আসলে কোন পার্ক বা বিনোদন কোন কেন্দ্র নেই। এজন্য মাঝে মাঝে অনেক বেশি খারাপ লাগে। দেখলাম সেখানে খুবই সুন্দরভাবে কিছু জায়গা রেডি করতেছে। মনে হচ্ছে যেন ঈদের মধ্যে চালু করবে।
এরপর সবাই অনেক মজা করতে পারবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল। যা দেখে নাশিয়াকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদের সময় তাকে নিয়ে আসলে অনেক মজা করতে পারবে। এটি খুবই দারুণ হবে। কিছুক্ষণ ভিতর দিকে ঘুরাঘুরি করলাম। এবং বসে অনেকটা সময় আড্ডা দিয়েছি। অনেক মজার মজার কথাও বলেছিলাম দুইজন।
পরবর্তীতে তাকে নিয়ে @nevly123 কাবাব হাউজের
ভিতরে চলে আসলাম । আসার পর কাবাব আসার আগ মুহূর্তে দেখলাম একটি বিড়াল এসে আমার পাশে বসলো। তার গায়ে যখন হাত দিতেছি তখন খুবই ভালো লাগতে ছিল। তাকে বললাম এই বিড়াল আমার দিকে তাকা- তোর সাথে একটা সেলফি তুলি। সে তো মহা খুশি, বিড়াল নিজেকে সেলিব্রেটি মনে করতে লাগলো। আমিও তার সাথে ছবি তুলে নিলাম। সে অনেক কিউট ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এই বিষয়টা আবার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। পরবর্তীতে তাকে কোলে নিয়ে ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। ভিডিও নিজের কাছেই রেখে দিলাম আপনাদের মাঝে আর শেয়ার করলাম না। এরপরে ইফতারের সময় হয়ে গেল এবং ইফতার করে নিলাম। অর্থাৎ কাবাব দিয়ে ইফতার করলাম। বিষয়টা অনেক মজার ছিল। একটা সময় আমার খুবই প্রিয় ছিল কাবাব। কিন্তু বর্তমানে একদমই খাওয়া হয়না। প্রিয় খাবারের তালিকা থেকে মুছে যাচ্ছে যেন কাবাবের নাম আরো একটি খাবার প্রিয় হয়ে উঠতেছে। সেটা পরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিন্তু আজকের দিনটি আসলে খুবই স্পেশাল ছিল এবং খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1777553708534075417?t=3bJMP0GCNR04g_htwoD5Gg&s=19
আপনারা দুজন বেশ ভালো একজন ব্লগার। দুইজন একসাথে ইফতারি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছেন আপনারা। বৃষ্টির মাঝেও বেশ সুন্দরভাবে আপনারা ইফতার এটি সম্পূর্ণ করেছেন। এমন মুহূর্ত যেন সব সময় আপনাদের জীবনে আসে। আশা করি মুহূর্তগুলো আরো সুন্দর কাটবে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
চেষ্টা করলাম ভাইয়ার সাথে ভালো সময় কাটানোর জন্য ইফতারের মুহূর্তে।
ভাইয়া আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে সারাদিন রোজায় থেকে নিবলু ভাইয়ের মত প্রিয় মানুষের সাথে একত্রে বসে ইফতার করার মজাই আলাদা। আর এভাবে প্রিয় মানুষের সাথে ইফতার করলে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা আরো বৃদ্ধি পায়। যাহোক চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়ার মত মানুষের সাথে ইফতার করার মজাটাই আলাদা হয়।
প্রিয় ভাইয়ের সাথে দারুন একটা মধু উপভোগ করেছেন। ইফতারি খাওয়ার এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমারও আপনাদের সাথে যোগ দিতে ইচ্ছা করতেছিলো।আসলেই খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দুজনকে একসাথে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়ের সাথে ইফতার করার সময় ভালো মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
বিড়ালটাকে তো বেশ কিউট লাগছে দেখতে। আপনি এবং নেভলু ভাইয়া মনপুরা কাবাব হাউসে ইফতার করেছেন। এই কাবাব হাউস টা সম্ভবত এর আগে আপনাদের কারো পোস্টে আমার দেখা হয়েছিল। সম্ভবত বৃষ্টি আপুর পোস্টে দেখেছিলাম। যাইহোক আপনাদের সুন্দর মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। বিড়াল টাকে দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো।
বিড়ালটা আসলেই খুব কিউট ছিল। আমাদের ইফতার করার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে বাহিরে ইফতার করতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া প্রিয় মানুষদের সাথে ইফতার করতে তো আরও বেশি ভালো লাগে। নিভলু ভাইকে দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনারা দু'জন বেশ মজা করে ইফতার করেছেন। বিড়ালটি দেখতে তো ভীষণ কিউট। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন প্রিয় মানুষদের সাথে ইফতার করতে আরো ভালো লাগে।
ভাই, আমারও এক সময় কাবাব অনেক প্রিয় খাবার ছিল। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। যাইহোক, আপনাকে এবং @nevly123 ভাইকে একসাথে দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আপনারা একসাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং ইফতারিতে কাবাব খেয়েছেন, জেনে অনেক খুশি হলাম। তাছাড়া আপনার সাথে বিড়ালের সেলফি গুলোও কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে ভাই। হা হা হা...🐈🐈
বিড়ালটা অনেক কিউট লেগেছিল। তাই তার সাথে কয়েকটা সেলফি তুলেছিলাম।
সব বিড়ালই দেখতে কিউট লাগে ভাই। তবে বিড়াল রেগে গেলে খুব ডেঞ্জারাস হয়ে যায়। একবার একটি বিড়াল রেগে গিয়ে আমার হাতে আঁচড় কেটে দিয়েছিল। তারপর থেকে আমি বিড়াল অনেক ভয় পাই।