আমার জীবনসঙ্গী (২)
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
আজ আমি খুবই অন্যরকম একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। অনেকেই আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, সোনিয়াকে নিয়ে একটি পোস্ট করার জন্য। অনেকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে সোনিয়াকে জানেন না। আজ আমি @tasonya সম্পর্কে আপনাদের অজানা কিছু কথা শেয়ার করব। যারা আমাদের সম্পর্কের কথা জানেন না তারা আজকের পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটির ৭০% ব্লগার আমাদের সম্পর্কের কথা জানেন। গত ২১.১১.২০২২ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম। সেখানে আপনারা সবাই অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। অনেকে বলেছেন তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছে। বিষয়গুলো জেনে তারা অনেক খুশি হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করতেছেন অনেকেই। এজন্য আজ পোস্ট করে দিয়েছি।
কিছু অজানা তথ্য আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম:::-
গত পর্বের শেষ মুহূর্তে আমি একটি কথা বলেছিলাম, সোনিয়া যদি আমার জীবনে না আসতো তাহলে আমি এবং আমার পরিবার হয়তো ধ্বংসের মুখে পড়তাম। আগের পর্বে আমি বলেছিলাম, আমার বিয়ের দুই বছর আগে আমার বাবা মারা যায়। ২০১৫ সালে মারা গিয়েছিল আমার বাবা। আমার পরিবারের সকল দায় দায়িত্ব আমার কাঁধের উপর পড়ে। এর আগে আমি কখনো কোন ধরনের কাজ করতাম না। হাতের কোন কাজও শিখা ছিল না। পরিশ্রমের কোন কাজও করতে পারতাম না। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে অনেক হাসিখুশি একজন ছেলে ছিলাম। কোথায় আছেনা বড় বৃক্ষ মাথার উপরে ছায়া দিলে দুনিয়াটা কেমন তা বুঝা যায় না। যখন বৃক্ষটা থাকে না তখন বুঝা যায় দুনিয়াটা কত কঠিন।
তেমনি বাবাকে হারিয়ে একদমই শূন্য হয়ে পড়েছিলাম। কোনদিকেই স্বস্তির ছায়া দেখতেছিলাম না। সে মুহূর্তেই আমার জীবনে কয়েকজন মানুষ আসে, যাদের কারণে হয়তো আজ আমি বেঁচে আছি পরিবার নিয়ে। এরমধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে কলিজার ভিতরের একজন বড় ভাই , তাকে আপনারা সবাই খুব ভালোভাবে চিনেন। তিনি আমাদের সবারই খুব প্রিয় nevlu123 ভাই। আর্থিক শারীরিক মানসিক সব ধরনের সহযোগিতা করেছিল আমাকে। বুদ্ধি পরামর্শ আদর ভালবাসা সবই পেয়েছি তার কাছে। তাকে নিয়ে একটি পোস্ট করব খুব শীঘ্রই। আমার জীবনে তার ভূমিকা কতটুকু। আশা করি ১.১২.২২ তারিখ রবিবার সকালে তাকে নিয়ে পোস্ট করব। সেখান থেকে বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
বাবা মারা যাওয়ার দুই বছর পরেই বিয়ে করি @tasonya কে। বিয়ে করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার সাথে আমার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সোনিয়া। অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতাম তখন। অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টাও করেছি। সব সময় শুধু ব্যর্থ হয়েছিলাম। এরমধ্যে সোনিয়া বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আমাকে সহযোগিতা করত। এর মধ্যে একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অনেকদিন সেখানে শিক্ষকতা করেছিলেন।
বাড়িতে সব কাজ করে আবার স্কুল শিক্ষকতা করার কষ্টটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতাম। কিন্তু পায়ের নিচে মাটি না থাকার কারণে কিছুই করার ছিল না। এরপরও বাড়িতে এসে সেলাইয়ের কাজ করতো। অনেক আগ থেকেই সে সেলাইয়ের কাজ করতে পারতো। তখন বিভিন্ন মহিলাদের জামা কাপড় সেলাইয়ের কাজ করতো। সারাক্ষণ বসে বসে সেলাই করার কষ্টটাও আমি খুব বেশি বুঝতাম। তার উপরে একজন বড় ভাইয়ের দায়িত্ব যেন পড়েছে। আমি এক দিকে কাজ করতাম সে অন্যদিকে কাজ করতো। দুজনে টাকা দিয়েই আমার পরিবার চলত।
এছাড়াও আরো অনেক পরিশ্রম করতো সে। কিন্তু কখনো কষ্টটা জিদে পরিণত করেনি। মুখ বুঝে নিজের পরিবার ভেবেই কষ্ট করেছিল। এখন হয়তো ওই কষ্টগুলো নেই। আমরা যখন এস্টিমেট প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি তখন অন্য সব কাজ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে, ব্লগিং করতে শুরু করি। এখনো আমাদের ইনকাম থেকেই আমাদের পরিবার চলতে হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে, আত্মীয়স্বজন থেকে টাকা নিয়ে আমরা এ প্লাটফর্মে ইনভেস্ট করেছিলাম। ইনভেস্ট করেই পুরোপুরি মনোযোগী হয়ে কাজ শুরু করি। আজ দুই বছরের মধ্যে এমন কোন দিন নেই যে আমরা ব্লগিং করিনি।
আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটিতে জয়েন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত, পুরো এক সপ্তাহ কাজ করিনি এমন দিন নাই। আজ এখন পর্যন্ত দুজনের সাথে থেকে এ প্লাটফর্মে কাজ করে যাচ্ছি। এবং পরিবার আমরা দুজনই চালিয়ে নিচ্ছি। আর এখন আমাদের পরিবারটা অনেক সুখের। হাসিখুশি ভাবে থাকি আমাদের পরিবারের সবাই। এক কথায় আমরা দুজন সহ পুরো পরিবারটা সুখে আছি।
২৭.১১.২০২২ তারিখ আমার পরিবার নিয়ে একটি পোস্ট করব। সেখানে আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে পারবেন। পরিবার নিয়ে কখনো পোস্ট করা হয়নি। ইনশাআল্লাহ ওই তারিখ পরিবার নিয়ে পোস্ট করব।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
আপনাদের এত পরিশ্রম সার্থক হয়েছে শুধু ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধের কারণে। আপনাদের বিয়েটা সম্ভবত ২০১৭ তে হয়েছে। কিন্তু ভাবি দেখিয়ে দিয়েছে মেয়েরা কোন কিছুতে পিছিয়ে নেই। মেয়েরা পারে একটা সংসার কে সুন্দর নির্দেশনা দেখাতে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনাদের গল্পটি পড়ে। আপনার গল্প পড়ে আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন আপু। মেয়েরা চাইলে সব কিছুই করা সম্ভব। সংসারে সুখ এবং দুঃখ বয়ে আনে মেয়েরাই।
স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে যদি যে পরিবারে পরামর্শ করে কাজ করে সে পরিবারে কখনো কষ্ট থাকতে পারে না।আপনার জীবনের গল্পটা পড়ে যেমন কষ্ট লেগেছে তেমনি আবার ভালো লেগেছে কারণ আপনারা কখনো হেরে যাননি সফল হয়েছেন।ধন্যবাদ আপনারা দুইজনের জন্য নিশ্চয়ই আপনাদের আরও সফলতা আসবে এই কামনা করি।
আমরা দুজন একসাথে না থাকলে হয়তো আমার অনেক কষ্ট হতো। ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে দুনিয়াটাও জয় করা সম্ভব।
আসলে ভাইয়া মাথার উপর থেকে যখন বটবৃক্ষের ছায়া সরে যায় পৃথিবীটা কত কঠিন তখন উপলব্ধি করা যায়। আপনি আসলে একজন ভাগ্যবান মানুষ, না হলে এত ভালো একজন জীবনসঙ্গী কেউ পায়। আপনার অর্ধাঙ্গিনী আপনার চলার পথে সুখে দুখের সাথী হয়ে আছে। হাজার পরিশ্রমের পরেও সে আপনার পাশেই রয়েছে। আমি ষ্টিম প্লাটফর্মে আসার কিছুদিন পরেই জানতে পারি আপনাদের সম্পর্কের কথা। আসলে ভাবির এত যে মহৎ তা জানা ছিল না। আপনাদের দুজনের জন্য রইল শুভকামনা।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই ভাগ্যবান না হলে তার মত একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতাম না। আর তার জন্য একমাত্র কৃতিত্ব আমার বাবার। সোনিয়া মহতের চেয়েও হাজারগুন উদ্ধে।
শ্রম ছাড়া জীবন চলেনা ভাই,আপুর কথা জেনে ভালো লাগলো।এমন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আপনি আসলেই সুখের জীবন পেয়েছেন।
আপনারা ভালো থাকুন,জীবন সুখের থাকুক।নেভলু ভাই সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলা।।
আপনার কথায় কোন সন্দেহ নেই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েই আজ আমি সুখী। ভালোবাসা রইলো ভাই আপনার জন্য
জানেন তো ভাই অনেক ভাগ্য করে বিপদের সময় এমন ভালো মানুষদের কাছে পাওয়া যায়। নেভলু ভাইকে আমারও খুব ভালো মনের একজন মানুষ মনে হয়েছে। আর আপুর কথা কি বলব নতুন করে! এমন জীবনসঙ্গী কয়জন পায়!! সারা জীবন আপনারা যেন হাসি খুশি থাকতে পারেন এই দোয়াই করি ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন এই দুজন মানুষ আমার জীবনের একটি অংশ। একজনের কৃতিত্ব এক জায়গায় রয়েছে। জীবন প্রাণে সব জায়গায় মিশে আছে দুইজন
আমার জীবনে এই দুজন মানুষের দায়িত্ব অনেক ছিল। দুজনের ভালোবাসার জন্যই হয়তো আজ আমি টিকে আছি। সামনের দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি
ভাই আপনার জীবনসঙ্গীর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্বটি দেখে প্রথম পর্বটি দেখার আগ্রহ জেগে বসলো, আর তাই প্রথম পর্বটিও ঘুরে আসলাম। সত্যিই ভাই খুব কপাল করে এত ভালো জীবনসঙ্গী পেয়েছেন। সবার কপালে হয়তো এরকম ভাগ্যবতী জোটে না। তবে ভাই আমার কপালেও আপনার মতই একজন ভাগ্যবতী আছে। যাইহোক ভাই, বিবাহিত জীবনের প্রথম দিকে কিছুটা ঝরঝাপটা গেলেও এখন আপনারা দুজনে মিলে খুব ভালো আছেন, এটাই বড় শান্তির ব্যাপার। আর আপনারা ভালো আছেন, ভালো থাকেন, সুখে-শান্তিতে একে অপরের পরিপূরক হয়ে সারাটি জীবন একসঙ্গে অতিবাহিত করুন এই কামনা করছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার জীবনেও এমন একটি ভাগ্যবান সঙ্গী রয়েছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। মুরুব্বীদের দোয়া না থাকলে এমন জীবনসঙ্গী পাওয়া কোনদিনও সম্ভব নয়। অনেক ভালোবাসা রইলো