রেসিপি: পাঙ্গাস মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি।
ABB ৬ জানুয়ারি ২০২৪ ✅
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে রেসিপি ভালো লাগবে।
পাঙ্গাস মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের। শুধু আমার না আমার ফ্যামিলির সবারই পাঙ্গাস মাছ খুবই পছন্দের। আমি মনে করি বেশিরভাগ মানুষ পাঙ্গাস মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছের মধ্যে বেশি কাটা না থাকার কারণে, বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ। আর বিভিন্নভাবে যদি পাঙ্গাস মাছের রেসিপি তৈরি করা হয় তাহলে খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি তৈরি করলে, আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে খেতে। আজ এই মজাদার রেসিপিটা যখন তৈরি করা হয়েছিল, তখন আমার ফ্যামিলির সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল। আর আমি নিজেও খুব মজা করে খেয়েছিলাম। এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাস | ৬ পিচ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদ | পরিমাণমতো |
মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি একটি পাতিল চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার পরে হলুদ এবং লবণ দিয়ে মাখা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ 2️⃣
একপাশ ভাঁজ হওয়ার পরে আমি অন্য পাস আরো ভালোভাবে ভাঁজা করে নিলাম।
ধাপ 3️⃣
এভাবে বেশ ভালোভাবে মাছের টুকরো গুলো ভাঁজা করে নিলাম। তারপরে টিস্যু পেপারের মধ্যে নিয়ে নিলাম যেন তেল কিছুটা কম হয়।
ধাপ 4️⃣
তারপরে পাতিলের মধ্যে আরো কিছু তেল দিয়ে দিলাম এবং মরিচ এবং পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম।
ধাপ 5️⃣
তারপরে লবন, মরিচ এবং হলুদের গুঁড়া দিয়ে দিলাম। তারপরে ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ 6️⃣
তারপরে পরিমাণ মতো কিছু পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ 7️⃣
তারপরে ভাজি করা মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং কিছুক্ষণ পর্যন্ত আগুনের আঁচ দিতে লাগলাম।
ধাপ 8️⃣
তারপরে ধনিয়া পাতার কুঁচি গুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়েছেড়ে নিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ চুলায় রাখার পর রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেল এবং পরিবেশন এর জন্য অন্য একটা পাতিলে নিয়ে নিলাম। এরপর পরিবেশন করে নিলাম। এভাবেই পুরো রেসিপিটা শেষ করলাম। সবাই পছন্দ করবেন আশা করছি।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
পাঙ্গাস মাছের রেসিপি গুলো বেশ ভালো হয়। যদি এভাবে ভুনা করে একটু ঝাল বাড়িয়ে দিয়ে রান্না করা হয় খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আপনি যেহেতু দোপেঁয়াজা করলেন এভাবে খেতে অনেক ভালো লাগবে। এই মাছ বাচ্চারা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। যেহেতু পাঙ্গাস মাছের মধ্যে কাটা অনেক কম তাই। রেসিপিটি আপনি দারুন শেয়ার করলেন।
আসলেই পাঙ্গাস মাছের রেসিপি অনেক ভালো হয়। খেতে তো জাস্ট অসাধারণ লাগে। আসলে আমার মেয়েও অনেক পছন্দ করে।
https://twitter.com/NARocky4/status/1743621169570251262?t=GWZ-E5mjMFdbZhuqpSOQ9Q&s=19
https://twitter.com/NARocky4/status/1743621169570251262?t=r8DMRj2uAiFxAPiE7M4jUA&s=19
পাঙ্গাস মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। অনেকদিন হলো মায়ের হাতের পানাস মাছ রান্না খাওয়া হয়নি। কাজের চাপে অনেকদিন বাসায় যাওয়া হয় না। তবে আপনার পাঙ্গাস মাছের দোপেয়াজা রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন যা যে কেউ এটা শিখে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পাঙ্গাস মাছ আপনারও পছন্দের এটা শুনে ভালো লাগলো।
পেঁয়াজের যে দাম এত পেঁয়াজ কিভাবে ব্যবহার করব বলেন। তবে রেসিপি দেখে একদম লোভ লেগে গেলো ভাইয়া। কালার টা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ঠিক বলেছেন পেঁয়াজের অনেক বেশি দাম।
আসলে ভাইয়া আমাদের প্রতি দিন খাদ্য তালিকায় অনেক ধরনের তরকারি রান্না করি তবে দোপেয়াজা করাই হয় না। আপনার পাঙ্গাস মাছের দোঁপেয়েজা দেখে সত্যি লোভ লেগে গেল। অনেক দিন হলো আমি দোপেয়াজা খায়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি দো পেঁয়াজা খাওয়ার লোভ লেগে গেল।
অনেকদিন যেহেতু দোপেয়াজা খাননি, তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন তৈরি করে খাওয়ার।
নদীর পাঙাস মাছ আমার খুব পছন্দ। আর এই মাছ দোপেঁয়াজা করে খেতে ভীষণ মজার হয়। আপনার রেসিপি দেখে ভীষণ লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।আপনি খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করলেন।দেখে লোভ লেগে গেলো।ধন্যবাদ মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন মাছের দোপেয়াজা সত্যি অনেক বেশি মজার হয়।
আমারও তাই মনে হয় ভাইয়া পাঙ্গাস মাছে কাটা কম থাকার কারণে সবাই বেশি পছন্দ করে। আপনি যেভাবে দোপেয়াজা রান্না করেছেন দেখেই তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া। ধনিয়া পাতা দেয়াতে আলাদা একটা স্মেলের জন্য খেতেও মজা হয়
ঠিক বলেছেন ধনিয়া পাতার আলাদা স্মেলের জন্য খেতে বেশি মজা লাগে।
আমাদের বাড়িতেও পাঙ্গাস মাছ অনেক বেশি ভালো খায় আমার বাবা। তবে মা এবং আমি খুব একটা খেতে পছন্দ করি না। কেমন যেন একটা লাগে আমার কাছে। তবে এই ধরনের মাছগুলো ভুনা করে খেতে ভালো লাগে বেশি। পাঙ্গাস মাছের দোপেঁয়াজা খুব সম্ভবত আমি ১ থেকে ২ বার খেয়েছি। তবে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার শেয়ার করা পাঙ্গাস মাছের তরকারিটা দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় লাগছে ভাই। তাছাড়া আপনার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল।
যেহেতু বেশ ভালোই লেগেছিল তাই অবশ্যই খাবার চেষ্টা করবেন দেখবেন ভালো লাগবে।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না।রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
টেস্ট করার ইচ্ছে থাকলে তৈরি করেই খেয়ে দেখেন।