বিয়ের জন্য কেনাকাটা করার মুহূর্ত (পর্ব ২)
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
বিয়ের কেনাকাটার জন্য আজ দ্বিতীয় পর্ব করলাম। অনেকদিন পর বিয়ের কেনাকাটার মুহূর্তটা খুবই অন্যরকম কেটেছে। প্রথম পর্বে লেহেঙ্গা সহ শাড়ি কেনার মুহূর্ত শেয়ার করেছি।। ওই মুহূর্তটা খুবই বিরক্তকর এবং ধৈর্যের পরীক্ষা ছিল। অনেক ঘন্টা একটি দোকানের মধ্যে বসে থাকার সবার ধৈর্য ক্ষমতায় আসবে না। অনেক কষ্টের বিনিময়ে এতে সহ্য করেছিলাম। কারণ মেয়েরা কেনাকাটা করতে গেলে অনেক দেরি হয়। শাড়ির দোকানে কেনাকাটা করার পর তারা সবাই গিয়েছে কসমেটিক দোকানে।
কসমেটিক দোকানটি আমাদের খুবই পরিচিত একজন ছোট ভাইয়ের দোকান ছিল। দোকাটি অনেক বড় একটি দোকান। আমাদের বাজারের মধ্যে কসমেটিকের জন্য অনেক বড় দোকান এটি। এই সময়ে অনেক বেশি বিয়ের শপিং ওইখান থেকে করা হয়। কারণ সব ধরনের কসমেটিক এই দোকানে পাওয়া যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কসমেটিক দোকানে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছিল। সে দোকানে দাঁড়াতে দাঁড়াতে পায়ে ব্যথা উঠে গিয়েছিল। মাঝে মাঝে বসার সুযোগ হলেও সব সময় বসার সুযোগ থাকে না। কারণ দোকানটি অনেক চলমান দোকান। সব সময় কাস্টমারের বিড় থাকে।
কসমেটিক দোকানে , কসমেটিক কিনেছিল প্রায় ১১ হাজার টাকার। কারণ বিয়ের প্রত্যেকটি কসমেটিক একই দোকান থেকে নিয়েছিল। কসমেটিক দোকানের কেনাকাটা শেষ করার পর গিয়েছে একটি জুতা দোকানে। কিন্তু জুতা দোকানে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে জুতা কেনা হয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি একটি জুতা পছন্দ করে তা নিয়ে নিয়েছিল।
জুতা কিনার পর গিয়েছি একটি ব্যাগ কেনার জন্য। ব্যাক কেনার জন্য কয়েকটি দোকান ঘুরে ছিলাম কিন্তু ব্যাগ পছন্দ হচ্ছিল না। পরবর্তীতে একটি দোকান থেকে ব্যাগ ক্রয় করে নিয়েছিল। ব্যক্তি কেনার সময় অনেকগুলো মহিলা ছিল সেজন্য ছবি তুলতে পারেনি। অন্য আরেকটি দোকানের কিছু ব্যাগের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি এরপর বটে আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
কাকতালীয় ব্যাপার।আমিও আমার খালা মনির বিয়ের কেনাকাটা করছিলাম কাল।উনাদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে,আজ সকালে হাটতেই পারতেছি না ঠিকভাবে।আর কখনো মেয়েদের সাথে শপিংয়ে যাব না।আপনার অনুভূতিও দেখি প্রায় একই রকম।সুন্দর মহুর্ত গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই মেয়ে মানুষের সঙ্গে কেউ বিয়ের কেনাকাটা করতে যায়।আর যে যায় তার মানে সে অনেক ধৈর্যশীল একজন মানুষ হা হা। গত পর্বের পোস্ট টা দেখিনি। সেজন্য একটু অসুবিধা হলো। যাইহোক ঐটা দেখে নেব।
এটা সম্ভবত ভীড় হবে ভাই। ঠিক করে নিয়েন💕।
বিয়ে হবে আর শপিং হবে না তা কি হয়। তাইতো শপিং মানে কেনাকাটা ,খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
বিয়ের কেনাকাটার মধ্যে কসমেটিক টা অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। আর কসমেটিকে প্রত্যেকটা বিষয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কেনা লাগে। এইজন্য অনেক বেশি সময় লেগে যায়। আর সাথে ছেলেরা গেলে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মেয়েরা তো কেনাকাটা করতে ব্যস্ত থাকে এজন্য বেশি খারাপ লাগে না। বেশ সুন্দর কিছু জিনিসপত্র কিনল দেখলাম। প্রত্যেকটা জিনিস বেশ ভালোই লেগেছে।
আসলে ভাই মেয়েদের সঙ্গে মার্কেট করতে যাওয়া মানেই জাহান্নামের মধ্যে নিজেকে নিক্ষেপ করা হাহাহা। এরা মার্কেট করতে গিয়ে অনেকটা সময় নেয় যদিও ছেলেদের ধৈর্য অনেকটাই কম তবে আপনার ধৈর্য দেখে আমি সত্যিই অবাক। অনেকটা সময় দোকানের মধ্যে অতিবাহিত করেছেন, যাই হোক বিরক্তিকর কিছু মুহূর্তের পাশাপাশি সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যেটা আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে অনেক ডিজাইনের কিছু জুয়েলার্স দেখতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিয়ে মানেই কেনাকাটার ধুম।আর মেয়েদের কেনাকাটা তো এমনিই বেশী থাকে। সাধারণ অকেশনেই মেয়েদের কেনাকাটার শেষ নেই। আর তো বিয়ে! জীবনের এতবড় একটা পার্ট। খুব ভালো লাগছে দেখে। কেউ নতুন জীবনে পা রাখছে জানলে আমার খুব ভালো লাগে।
বিয়ের শপিং মানেইলম্বা লিস্ট। বিয়ের শপিং করতে খুবই ভালো লাগে। যদিও ছেলেরা শপিং করতে খুব একটা বেশি পছন্দ করে না। বিরক্ত হলেও অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। জুতা জোড়া ও বেশ সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা আমারও ধৈর্যের মধ্যে আসে না। আমিও মার্কেট করি তবে বেশি সময় নিয়ে মার্কেট করতে আমার কাছে ভালো লাগেনা। তবে আপনি ছেলে মানুষ হয়ে এত সময় ও ধৈর্য সহকারে বিয়ের মার্কেটিং করেছেন দেখে অবাক হয়ে গেলাম। মেয়েদের সাথে এভাবে মার্কেট করতে গেলে অনেক ধৈর্য নিয়ে মার্কেটে যেতে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে কিন্তু মার্কেটিং হবে না এটা তো হয় না। তার জন্য একটু সময় নিয়ে মার্কেট করলে অনেক কিছুই কেনাকাটি করা যায়। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।