রেসিপি: তেলাপিয়া মাছের রেসিপি।
ABB 1-2-2024
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে তেলাপিয়া মাছের রেসিপি ভালো লাগবে।
আমার খুবই পছন্দের একটা মাছ হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ। আর তেলাপিয়া মাছের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আর এজন্যই আমি বেশিরভাগ সময় বাজারে গেলে চেষ্টা করি তেলাপিয়া মাছ কিনে আনার। কয়েকদিন আগে তেলাপিয়া মাছ এনেছিলাম। তেলাপিয়া মাছ যদি এভাবে আলু দিয়ে তৈরি করা হয় তাহলে কিন্তু খুব ভালো লাগে। এই তেলাপিয়া মাছ যখন রান্না করা হয়েছিল আলু দিয়ে তখন অনেক বেশি ভালো লেগেছিল খেতে। শীতের সময় এমনিতে টমেটো দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। তবে আমাদের ঘরে টমেটো না থাকার কারণে এই রেসিপিটার মধ্যে টমেটো দেয়নি। টমেটো না দিলেও কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আমি আপনাদের মাঝে এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই মজাদার তেলাপিয়া মাছের রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি।
উপকরণ
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| তেলাপিয়া মাছ | ৬ পিচ |
| আলু | ৪ টা |
| পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
| রোসন বাটা | ১ কাপ |
| কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
| লবন | পরিমাণমতো |
| তেল | পরিমাণমতো |
| হলুদ | পরিমাণমতো |
| মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি একটি প্লেট এর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে নিলাম
ধাপ 2️⃣
এরপর হলুদের গুলো এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম। তারপরে এগুলো হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মেখে নেওয়া হলো।
ধাপ 3️⃣
তারপর একটা কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে তেলটা গরম করে নেওয়া হলো। এরপর মাছের পিজ গুলো তেলের মধ্যে দিয়ে মাছগুলো ভাজি করে নেওয়া হলো।
ধাপ 4️⃣
তারপর আরেকটা পাতিলের মধ্যে তেল দিয়ে তেলটা গরম করে নেওয়া হলো। এরপর পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 5️⃣
এরপর আলু কুঁচি, মরিচের গুঁড়ো, লবণ, হলুদ সবকিছু দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 6️⃣
তারপরে এগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নেওয়ার পর, পরিমাণ মতো কিছু পানি দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 7️⃣
এরপর মাছ ভাঁজা গুলো দিয়ে দেওয়া হল। এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল করে নেওয়া হলো। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চুলার আঁচের মধ্যে রাখার পর ঝোল একটু কমে আসলে তুলে নিয়ে অন্য একটা পাতিলে নিয়ে নেওয়া হলো। এরপর একটা প্লেটে পরিবেশন এর জন্য নিয়ে নেওয়া হল। এভাবে পুরো রেসিপিটা তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | রেসিপি |
|---|---|
| ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
| পোস্ট তৈরি | narocky71 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
তেলাপিয়া মাছ আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপির কালারটা অনেক সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনারও তেলাপিয়া মাছ তাহলে পছন্দের। আমি তো খুব ভালোবাসি তেলাপিয়া মাছ খেতে ❤️।
আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের গরম গরম রেসিপি তৈরি করে খেতে দারুণ লাগে। শীতকালীন সময়ে গরম খাবার সবারই প্রিয়। আপনার রেসিপি খুবই পছন্দ হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো আপনার আজকের রেসিপি তৈরি।
আমার নিজের কাছে ও তেলাপিয়া মাছের গরম গরম রেসিপি খেতে ভালো লাগে।
তেলাপিয়া মাছ সত্যি খুব সুস্বাদু একটি মাছ।তেলা পিয়া মাছ আমারও অনেক পছন্দের। এভাবে তেলাপিয়া মাছের রেসিপি খেতে খুব ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু তেলাপিয়া মাছ সত্যি খুবই সুস্বাদু একটি মাছ। অনেক বেশি ইয়াম্মি লাগে খেতে তেলাপিয়া মাছের রেসিপি 😋।
তেলাপিয়া মাছ আমার বরাবরই প্রিয় মাছ। তেলাপিয়া মাছের ভাজিও খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনি যেভাবে তেলাপিয়া মাছ আলু দিয়ে রান্না করেছেন খেতেও ভালো হয়েছে নিশ্চয় 🌼
আমার নিজের কাছেও তেলাপিয়া মাছের ভাজিও খেতে ভালো লাগে। তেলাপিয়া মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন অনেক সুস্বাদু হয়।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা মজার হবে খেতে। কারণ তেলাপিয়া মাছ এভাবে ফ্রাই করে ভুনা করে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়াও আপনি আলু সবজি কেটে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। আর খুব মজা করে খেয়েছিলাম 😋।
চমৎকার মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান,শীতের সময় মাছের রেসিপি খেতে কার না ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে মাছ রান্না করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন আপনি। খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপি ব্লগ।
চেষ্টা করেছি এই রেসিপিটা সুন্দরভাবে তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করার।
তেলাপিয়া মাছের রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। তেলাপিয়া মাছ খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। এভাবে আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্না করলে সত্যিই অনেক মজার হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু খুব লোভনীয় ছিল এটা 😋। আমার তো এখনো মনে উঠলে জিভে জল চলে আসে 🤤।
আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। তেলাপিয়া মাছ খেতে আমার ও অনেক ভালো লাগে। শীতের সময় এই ভাবে তেলাপিয়া মাছ রান্না করে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। রেসিপি কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
তেলাপিয়া মাছ খেতে আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম 😊।
দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার রেসিপি উপস্থাপন খুবই অসাধারণ হয়েছে। আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে রন্ধন প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে নিশ্চয়ই বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে মজাদার এবং সুস্বাদু তো হয়েছে বটেই। তেলাপিয়া মাছ হওয়ার কারণে দারুণ লেগেছে খেতে।
জি ভাইয়া যথেষ্ট বলেছেন কারণ যে কোন রেসিপিতে এই টমেটো ব্যবহার করলে স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়৷ যাইহোক কিছু করার নেই ঘরে টমেটো উপস্থিত ছিল না। তবে রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে ভালই সুস্বাদু হয়েছে। মাছের ঝোল দিয়েই অনেকগুলো ভাত খাওয়া সম্ভব হবে।
হ্যাঁ আপু টমেটো না থাকার কারণে দিতে পারিনি। তবে টমেটো দিলে আরো সুস্বাদু হত। এমনিতেও কিন্তু কম সুস্বাদু হয়নি।