ভ্রমণ : বিজয় সিংহ দিঘি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত
Abb ২৯ জানুয়ারি 2024 সোমবার ✅
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই তোমাদের জানেন আমরা ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। সপ্তাহে একদিন ঘুরাঘুরি করার জন্য বরাদ্দ থাকে। কিন্তু অনেক সপ্তাহে এটাই মিসটেক হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সব সময় যাওয়ার চেষ্টা করি। কয়েকদিন আগে ঐতিহাসিক ফেনী বিজয় সিংহ দিঘী দেখতে গিয়েছিলাম। ফেনীর মধ্যে এটি ঐতিহাসিক একটি দিঘী। ফেনীতে আসলে এই দিঘীটা দেখতে যায় না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। ফেনীর ঐতিহ্য হিসেবে রয়েছে এই বিজয় সিংহ দিঘী।
এই দিঘীটা অনেক বড়। যার চারিপাশ দিয়ে হেঁটে আসতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগবে। দীঘির এ পাড় থেকে ওই পাড়ে তাকালে ওই পাঁচটা খুবই সুন্দর দেখায়। আর বিশেষ করে ওই পাড়ের মানুষগুলো অনেক ছোট দেখায় । এ বিষয়টি আমি অনেকবার খেয়াল করেছি। বিশেষ করে শীতের মোহশুমে এই দিঘী দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ এই দিঘির মধ্যে অনেক অতিথি পাখি আসে। এবং সারাক্ষণ এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ায়। কিন্তু আমরা যখন গিয়েছি তখন অতিথি পাখি দেখি নাই। তখন অতিথি পাখি ছিল না।
আমাদের খুবই ইচ্ছে করেছিল অতিথি পাখি দেখার জন্য।
কারণ শীতকালীন সময় বিজয় সিংহ দিকে দেখতে যায় শুধু অতিথি পাখির দেখার জন্য। আমরা অনেকটা সময় সেখানে কাটিয়েছি। অনেক খাওয়া দাওয়া করেছি। বিশেষ করে মজার বিষয় হল নাশিয়া অনেক বেশি মজা করেছিল। সে তো যেন আনন্দে আত্মহারা। সারাক্ষণ এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করলো। এই বিষয়টা আমি অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছি। কারণ বাচ্চারা যখন হাসিখুশি থাকে তখন তাদের মেধাবিকাশে অনেক বেশি সহযোগিতা করে।
এজন্য যেকোনো বাচ্চারা এই দুষ্টামি করলে আমি নিষেধ করি না। আর বাচ্চারা দুষ্টামি করলে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নাশিয়া যখন আমাদের সাথে দুষ্টামি করতেছে তখন অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম আমি এবং সোনিয়া। সোনিয়া তো মেয়ের দুষ্টুমি দেখে অনেকক্ষণ হেসেছিল। সে মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফিও করেছি আপনাদের সামনে। যখন ছবি তোলার জন্য মোবাইল বের করলাম তখন বিভিন্ন স্টাইল করে করে ছবি তুলতেছে। এ বিষয়টা ও আমরা অনেক বেশি উপলব্ধি করেছি।
বিশেষ করে বিজয় সিংহ দিঘির পাড়ে অনেকগুলো ফুচকা চটপটির দোকান রয়েছে। এবং তাদের আশেপাশের চেয়ার দিয়ে ফুচকা বিতরণ করে। সেখানে আমরা বসে অনেকক্ষণ ফুচকা খেয়েছিলাম। বিশেষ করে আমি চটপটি খেয়েছিলাম। সেখানে চটপটি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। মাঝে মাঝে খোলা আকাশের নিচে বসে কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। এ বিষয়টা উপলব্ধি করেছিলাম সেদিন।
আমি আশা করি আপনাদের সবার বিজয় সিংহ দিঘিতে যাওয়ার এই মুহূর্তটি অনেক ভালো লাগবে। আমাদের অনেক ভালো লেগেছিল। এজন্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। মাঝে মাঝে যখন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করি তখন এই বিষয়টা অনেক বেশি ভালো লাগে। এক কাজে যেন দুই কাজ। একটা হল আমরা ঘুরতে পারি এবং আনন্দ পেতে পারি। বাকিটা ব্লগিংয়ের কাজেই লাগে। এ বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এজন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে যেকোন জায়গায় যেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকের মত এখানে শেষ করলাম পরবর্তীতে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন। মানবিক মানুষ হয়ে মানবতার পক্ষে থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1751969718968496591?t=-AXwcNRRCA0omnVGPrb5_g&s=19
ভাই আপনাদের মতো আমিও ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি। যদিও সব সময় সুযোগ হয়ে উঠে না, তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই কোথাও ঘুরতে বের হয়ে যাই। আসলে আমাদের সবার উচিত মাঝেমধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করা। এতে করে মনের মধ্যে প্রশান্তি কাজ করে। যাইহোক বিজয় সিংহ দীঘি তো দেখছি বিশাল বড়। এমন জায়গায় হাঁটাহাঁটি করতে খুবই ভালো লাগে। দীঘির আশেপাশে অতিথি পাখি থাকলে, দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগতো। নাশিয়া তো দেখছি বেশ মজা করেছে। আসলেই ভাই খোলামেলা জায়গায় বসে ফুচকা, চটপটি এবং এই জাতীয় খাবার খেতে দারুণ লাগে। সব মিলিয়ে আপনারা সেখানে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই এরকম জায়গায় হাঁটাহাঁটি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনি ঘুরতে অনেক পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আমার মনে হয় ঘুরতে সবারই অনেক পছন্দ। আর বাচ্চাদের দুষ্টুমি সত্যিই অনেক ভালো লাগে। নাশিয়া বাবুকে বেশ কিউট লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি আসলেই ঘুরতে খুব ভালোবাসি। ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের দুষ্টামি আসলে ভালো লাগে।
বিজয় সিংহ দিঘি ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। কিছুদিন আগে আমরাও তো ওখানে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করেছিলাম কিন্তু একটা ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্যই যাবো ভাবতেছি। কিন্তু আপনারা তো দেখলাম আমাদেরকে ছাড়াই একা একা ঘুরে ফেললেন। আসলে নাশিয়া অনেক দুষ্টামি করতেছিল দেখে ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু আবার ছবি ও তুলেন আপনারা। বিশেষ করে নাশিয়ার ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টে পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আর এরকম ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট দেখতে চাই আপনার কাছ থেকে।
যেহেতু ব্যস্ততার কারণে আপনাদের যাওয়া হয়নি, তাই অবশ্যই আবার প্ল্যানিং করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। জায়গাটা অনেক সুন্দর।