চট্টগ্রাম বড় আপুর বাসার পাশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
মূর্তির ছবি , ফেসবুক থেকে সংগ্রহ
কয়েকদিন আগে বড় বোন আমাকে ফোন করে। তার সাথে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেছিলাম। কারণ কয়েকদিন যাবৎ তার সাথে কথা হয় না। অনেকক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎই আমাকে তার বাসার পাশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলল। ঘটনাটি শুনে খুবই অবাক হয়েছি। কিন্তু হাস্যকর ও ছিল।
তাদের বাসার পাশে একটি কবরস্থান রয়েছে। সেখানে একটি পুরুষ এবং একটি মহিলা কবরস্থানে বারবার ওঠা নামা করতেছে। সেখান দিয়ে হেঁটে যাওয়া একটি ছেলে এই বিষয়টি লক্ষ্য করল। এরপর ছেলে টি তার সকল বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফোন দিয়ে তাদেরকে সেখানে তাড়াতাড়ি আসতে বললো। এরপর ছেলেটির সকল বন্ধুরা তাড়াতাড়ি চলে আসলো। মহিলা এবং পুরুষটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরল।
এরপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু তারা কিছুতেই তা স্বীকার করতে চাইতেছে না। এরপর অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মহিলাটি বলতে লাগলো তার স্বামীর নাকি মাথায় সমস্যা আছে। এ কারণে সে কবরস্থানে উঠে বসে রয়েছে। কিন্তু ছেলেগুলো কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে চাইছে না।
একপর্যায়ে ছেলেগুলো একজন আরেকজনকে বলতে লাগল আশেপাশে খুঁজে দেখার জন্য কিছু আছে কিনা। সকল বন্ধুরা মিলে চারপাশ খুঁজতে লাগলো। হঠাৎ একটি ছেলের পায়ের নিচে কি যেন পড়েছে। এরপর ছেলেটি সকল বন্ধুদেরকে ডেকে বলল এখানে কি যেন রয়েছে। সবাই মিলে এসে দেখলো সেখানে একটি মূর্তি রয়েছে।
মূর্তিটি দেখে সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলো। অনেক ভয়ানক ছিল মুর্তিটি দেখতে। সোনালী রং হওয়ার কারণে সবাই ভাবলো যে , এটি হয়তো স্বর্ণের মূর্তি হবে। সকল বন্ধুরা মিলে এটি চুরি করার প্ল্যান করতে লাগলো। এরপর মহিলা এবং পুরুষটিকে একটি দোকানে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলো এটি কি স্বর্ণের মূর্তি।
এরপর মহিলাটিকে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মহিলাটি স্বীকার করল এটি হচ্ছে একটি পিতলের মূর্তি। এটি কোন স্বর্ণের মূর্তি নয়। ওরা মানুষকে স্বর্ণের কথা বলে টাকা আদায় করে নেয়। মানুষকে ধোকা দেয়। সকল বন্ধুরা এই কথাটি শুনে হতবাক হয়ে গেল। সকল বন্ধুরা আবার একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো।
এরপর সকলে মিলে পুলিশকে জানালো এই বিষয়টি। পুলিশ এসে মহিলাটি এবং পুরুষটিকে থানায় নিয়ে চলে গেল এবং সঙ্গে মূর্তিটিও নিয়ে গেল। আপুর কাছ থেকে এই বিষয়টি শুনে আমি নিজেও অবাক হলাম। বিষয়টা থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে এজন্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ভাই ফেসবুক থেকে যে নিজের না হলে নেয়া যাবেনা ।
এই ছবিটি আমার ভাগ্নি তুলেছে, আর ফেসবুকে দেওয়ার পর মোবাইলটি থেকে ছবিটি কেটে গেছে। এজন্য তার ফেসবুক থেকে ছবিটি নিয়েছি। তাহলে কি হবে না ভাই? না হলে ছবিটি আমি কেটে ফেলবো?
@rex-sumon
থাক তাহলে।
এমন ঘটনা গুলো মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। ছবিটি কি সেই পিতলের মুর্তি। আপনি ঠিকই বলেছেন এই পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু শিখার রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই ওই মুর্তি টাই আমি শেয়ার করেছি। অনেকের স্বর্ণের বলে অনেক ধোঁকায় ফেলে সাধারন মানুষকে।
আসলে আমাদের সকলকেই একটুও চোখ কান খোলা রেখে চলা দরকার। কেননা এখন আমাদের আশেপাশে এ ধরনের চক্র সবসময় ঘোরাফেরা করতে থাকে তারা সুযোগ পেলেই আমাদেরকে ঠকিয়ে দিতে পারে। তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে খুবই ভালো কাজ করেছে।
সাধারণ মানুষদের ঠকানোর মানুষের অভাব নেই এখন। আপনি ঠিকই বলেছেন চোখ কান খোলা না রাখলে দোকায় পড়তে হয়।
এই ঘটনাটি এর আগে আমি শুনিনি। আজকে আপনার লেখার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এমন অনেক মানুষ আছে যারা পিতলের মূর্তি দিয়ে ব্যবসা করছে। স্বর্ণের মূর্তি বলে বিক্রি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যাই হোক অবশেষে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলেই আপু এ ধরনের ধোকাবাজের অভাব নেই এখন আমাদের দেশে। ধোকাবাজ থেকে বাঁচতে হলে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আর অতি লোভেই সব নষ্ট হয়ে যায়।
এই ঘটনা থেকে এতটুকুনি শিখতে পারলাম যে আমরা মানব জাতি খুবই লোভী।। কবরস্থান এক ধর্মের জন্য সম্মানের একটি জায়গা মূর্তিটাও অন্য ধর্মের জন্য সম্মান সূচক একটি বস্তু।। রাতের বেলায় কবরস্থানকে অনেকেই ভয় পায় এজন্য তারা কবরস্থান কে পুঁজি করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছিল।।
তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে মূর্তিটা যদি স্বর্ণের হতো তাহলে মনে হয় ছেলেগুলো সেটা নিয়ে তাদেরকে আর জীবিত রাখত না।।
যাক শেষমেষ পিতলের হয়ে ভালই হয়েছে পুলিশের কাছে সবকিছু সোপর্দ করা হয়েছে।।
তাও হতে পারতো ভাই। অনেক জায়গায় অনেক খারাপ মানুষ রয়েছে যেগুলো স্বার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারে।
উফ বাবা প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক পরে সম্পূর্ণ কাহিনীটি শুনে বুঝতে পারলাম। এমন কত ধোঁকাবাজ সারাদিন মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। সহজ সরল মানুষ গুলো কত সত ধোঁকা খেয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে ধরে পুলিশে রিমান্ডে দেওয়া উচিত। আর এসব ক্ষেত্রে লোভে পড়া উচিত না।
যেকোনো জায়গায় অতি লোভ খুবই ভয়ানক। আর আমি বলি লোক যেখানে বেশি সেখানেই দোকানপাড়ার প্রবণতা ও অনেক বেশি
কি সাংঘাতিক ব্যাপার, মানুষ ধোকা দেওয়ার জন্য আরো কত কিছুই না পথ অবলম্বন করবে। শেষে পিতলের মূর্তি, স্বর্ণের মূর্তি বলে চালিয়ে দেয়া। আপনার বড় বোনের বাসার পাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি খুবই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তাই এসব ঘটনা থেকে সকলেরই উচিত সতর্ক থাকা। ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এ ধরনের ঘটনা প্রায় ভিন্নভাবে আমরা বিভিন্ন জায়গায় শুনি। কিন্তু এক্ষেত্রে টোকাই পড়ে সাধারণ সহজ-সরল মানুষগণ। যেকোনো সময় লোভে করা যাবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতারকের কোন অভাব নেই । প্রতারকেরা নতুন নতুন কৌশল বের করে মানুষকে প্রতারিত করার জন্য। আপনার কাহিনীটি অনেক কৌতূহল নিয়ে পড়েছি আমার অনেক ভালো লেগেছে। 🥀
এ ধরনের ঘটনা থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রায় অনেক জায়গায় শোনা যায়। প্রতারণা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে।
ওরে বাবারে এরকম বাটপার চিটার এখনো আছে নাকি। এরকম করে এইগুলো মানুষকে খুব ধোকা দিয়ে থাকে। আসলে আপনার পোস্টটি পড়ে প্রথমে আমিও মনে করলাম এটি স্বর্ণের মূর্তি। পরে দেখলাম যে এটি মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন। আমাদের দেশে চিটারের সংখ্যা অনেক বেশি। চিটারে অনেক ভরপুর। ধোকাবাজ থেকে বাঁচার জন্য সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।