টাকার অভাবে চিকেন চপ ভাগ করে খাওয়ার মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। একটি রাত এবং একটি দিন খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল । সবাই তাকে নিয়ে খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। আমরা সবাই বুঝতে পারলাম আসলে তার কি সমস্যা। মূলত সোনিয়ার লো প্রেসার। অনেক আগ থেকেই তার প্রেসার একেবারেই কম। কিন্তু ডাক্তার বলেছে প্রতিনিয়ত সবকিছু ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। আসলে খাওয়া দাওয়া ও মোটামুটি করে কিন্তু মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই প্রেসার একেবারে লো হয়ে যায়।
একটি রাত এবং একটি দিন যখন অসুস্থ তখনই জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর একটা কথা হল সে ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না। কোন প্রকার ওষুধ খেতে চায়না। ওষুধ খাওয়ার জন্য অনেক বকাঝকা করতে হয়। কিন্তু ওষুধ খেতে চায় না। জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার যখন প্রেসার চেক করল দেখল প্রেসার একেবারেই কম। তাকে একটি স্যালাইন দেওয়ার কথা বলেছিল।
স্যালাইন দিতে আমি নিষেধ করি। কারণ প্রেসার কম হলে কিছু খাবার খেলে প্রেসার ঠিক হয়ে যায়। সব সময় প্রেসার লো হলে স্যালাইন ব্যবহার করলে তা পরবর্তীতে অভ্যাসে পরিণত হয়। এজন্য আমি নিষেধ করেছিলাম। এই খাবারগুলো খেলে বিশেষ করে দুধ এবং ডিম যদি খাওয়া হয় তাহলে প্রেসার নরমাল হয়ে যায়। আমি ডাক্তারের কাছ থেকে চলে আসি কিছু পরামর্শ নিয়ে। ডাক্তার বললেন দু'একদিন দেখো, যদি ঠিক না হয় স্যালাইন দিতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে।
ডাক্তারের কাছ থেকে আসার সময় সোনিয়াকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টের গেলাম। প্রথমে মনে করেছিলাম নরমাল কিছু খাব। কিন্তু পরে আমরা চিকেন চপ খাওয়ার চিন্তা করলাম। কিন্তু রেস্টুরেন্টে আসার আগ মুহূর্তে আমরা পরিবারের জন্য কিছু জিনিসপত্র ক্রয় করেছিলাম। এজন্য আমাদের কাছে খুবই কম টাকা ছিল। আমি বললাম টাকা কম থাকলে সমস্যা নাই আমরা দুজন ভাগাভাগি করে খাব।
পরে দুজন ভাগাভাগি করে চিকেন চপ খেলাম। আসলে আমার আর সোনিয়ার চিকন চপ খুবই পছন্দের। প্রায় সময় আমরা রেস্টুরেন্টে গেলে চিকেন চাপ খেয়ে থাকি। সপ্তাহে দুই একবার যাই। এমনিতে আমরা দুজন অনেক ঘুরাঘুরি করি বিভিন্ন জায়গায়। আর যেখানে যাই খাওয়া-দাওয়া তো থাকেই। সবার কাছে সোনিয়ার জন্য দোয়া চাই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আজকের মত ব্লগ এখানে শেষ করলাম।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/NARocky4/status/1620999231862632448?t=VJO4vZan0cE42m96zM3JZg&s=19
প্রথমেই আমাদের সবার প্রিয় সোনিয়া আপুর জন্য রইল প্রাণ ঢালা দোয়া। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সে সুস্থ্য হয়ে যাবে। তারপর বলবো ভাইয়া আমি অনেক সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কথায় কথায় শরীরে কোন ভাবেই সেলাই পুষ করা ঠিক না। বরং ভাল খাবার হলেই তা কেটে যাবে। তবে টাকা পয়ঁসা যাই থাকুক না কেন ভালবাসা থাকলে ক্ষুদের বোয়াও একপ্লেট এক সাথে খাওয়া যায়। ভাল ছিল আপনার ব্লগটি।
আপু আপনার কমেন্টের এই লাইনটি ভুল হয়েছে। । আপনাদের দোয়ায় যেন সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ! দারুন জিনিস যে কোন কিছু ভাগাভাগি করে খেলে সে খাবারের স্বাদ অনেক বেশি পাওয়া যায়। টাকার কোন ব্যাপার না যেখানে ভালোবাসা থাকে সেখানে ভাগ করে খেলেই পেট ভরে যায়।আপনি ঠিক বলছেন প্রেসার এর কারণে যদি স্যালাইন দেওয়া হয় তাহলে সেটা একটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। দুধ ডিম খেলে আশা করি ভালো হয়ে যাবে।সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন দুজনে মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার অনুভূতি।
হ্যাঁ যে কোন জিনিস ভাগাভাগি করে খেলে খাবারের স্বাদ অনেক বেশি পাওয়া যায়। আশা করছি এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন মন্তব্য করে।
ব্লগটি পড়ে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। আপুর জন্য দোয়া রইলো। আর আপুকে বলেছি কি করতে হবে। যাক আপনারা ডাক্তার দেখিয়ে কেনাকাটা করে টাকা কম হওয়াতে আপনাদের দুজনের পছন্দের চিকেন চাপ একটাই ভাগ করে খেয়েছেন, জেনে ভাল লাগলো। ভাগ করে খাওয়াটা ও অনেক মজার। দুজনের জন্য রইলো অনেক শুভকামনা। ভাল থাকবেন ভাইয়া।
টাকা কম হলেও দুজনে ভাগাভাগি করে খেয়েছিলাম সেই মুহূর্তটি আমার এখনো মনে পড়ছে খুব। এভাবে খাওয়ার মজাটা অন্যরকম। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
প্রথমে আপুর জন্য অনেক দোয়া রইল যেন আল্লাহ তাআলা আপুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। চিকেন চপ আমারও অনেক প্রিয়। তবে কোন কিছু ভাগ করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে অনেক সময় দেখেছি আপুর প্রেসার একদম লো হয়ে যায়। ভাইয়া আপুকে ঠিকমতো খানাদানা খাওয়াবেন। আপুর অসুস্থতার কথা শুনে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। ভাবতেছি আপুকে গিয়ে দেখে আসব।
অসুবিধা নাই। আসার সময় দামী দামী কিছু ফল ফ্রুট নিয়ে আসেন। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার টাইটেল পড়ে কিছুক্ষণ হাসলাম 😁। টাকা আছে তাই তো চিকেন চপ খেয়েছেন। দুইজনে একসাথে খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম। আসলে কোন জিনিস ভাগাভাগি করে খাওয়ার আনন্দটাই খুব অসাধারণ হয়ে থাকে। চিকেন চপ খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাই অনেক অভাবে আছি আসলে। কিন্তু মনের ইচ্ছেতে খাইতে হয়। পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দোয়া করি আপু যেন খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া প্রেসার লো হলে একটু ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করলে আমার মনে হয় ঠিক হয়ে যায়। আমার মনে হয় টাকা কম থাকায় আরো ভালো হয়েছে কারণ দুজনে একসাথে খাবারটি শেয়ার করে খেয়েছেন তাতে আরো বেশি মজা পেয়েছেন।
আসলে টাকা কম থাকায় ভালোই হয়েছে। এভাবে কখনো একসাথে খাবার শেয়ার করে খাওয়া হয়নি। বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছি।
আসলে প্রিয়জনের সাথে অল্প কিছু খাবার ভাগাভাগি করার আনন্দটাই অন্যরকম।
যদি খুব ভাল বিষয় বা কোন ভালো মুহূর্ত উপভোগ করা যায় সেখানে অল্প খাবারও অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন প্রিয়জনের সাথে অল্প কিছু খাবার ভাগ করে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আপা মন্তব্য দেখে অনেক খুশি হয়েছি আপু। অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার জন্য।