রেসিপি: পান্তুয়া পিঠা রেসিপি।
ABB ০৩ - ডিসেম্বর ২০২৩ ✅
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে রেসিপি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এটি হচ্ছে পান্তুয়া পিঠার রেসিপি। পিঠা খেতে তো বেশিরভাগ মানুষই খুবই পছন্দ করে। আমার নিজের কাছে ও পিঠা অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি হয় পান্তুয়া পিঠা তাহলে তো কোন কথা নেই। এই পিঠা একটা নতুন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিল। বিশেষ করে আমি অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলাম। মাঝে মাঝে সোনিয়া কোন কিছু তৈরি করার সময় আমি ওর পাশে বসে থাকি। কয়েকদিন আগে দেখছিলাম ও পান্তুয়া পিঠা তৈরি করছে। তাই ওর পাশে বসে আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যেন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। উপস্থাপনার মাধ্যমে সুন্দর করে এটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা চাইলে এটা তৈরি করতে পারেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক পান্তুয়া পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২ টা |
চিনি | হাফ কাপ |
আটা | ১ কাপ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি একটা বাটির মধ্যে পরিমাণ মতো আটা নিলাম এবং চিনি নিলাম। এরপর হালকা একটু পানি দিয়ে এগুলো মিক্স করে নিলাম।
ধাপ 2️⃣
তারপরে আরো পানি দিয়ে দিলাম এবং এগুলো পাতলা করে নিলাম।
ধাপ 3️⃣
এরপর ছোট একটা চায়ের কাপের মধ্যে একটা ডিম ভেঙে নিলাম। তারপরে একটা কাটা চামচ দিয়ে ডিমটা মিক্স করে নিলাম।
ধাপ 4️⃣
তারপর একটা পাইপেন চুলায় বসিয়ে নিলাম। তেল দিয়ে তেল গরম করে ডিমটা ছেড়ে দিলাম।
ধাপ 5️⃣
এরপর ডিমটা ভাঁজ করে নিলাম এবং মিক্স করা আটা তার উপরে দিয়ে দিলাম।
ধাপ 6️⃣
এভাবে কয়েকবার দেওয়ার পরে এই পিঠ ওপিঠ ভালোভাবে জ্বাল করে নিলাম।
ধাপ 7️⃣
এরপর আবারও একবার আর একটু আটা দিয়ে দিলাম।
ধাপ 8️⃣
এভাবে কয়েকবার দেওয়ার পরে এটা একটু জ্বাল করে নিলাম চুলার হালকা আঁচে। এরপর পরিবেশনের জন্য এটা ভালোভাবে কেটে নিলাম। এভাবেই পান্তুয়া পিঠা তৈরি করা শেষ হয়। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার পান্তুয়া পিঠা তৈরি করার রেসিপি টা দেখতে খুব ভালো লাগবে।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | #narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
ভাইয়া আপু পিঠা তৈরি করার সময় পাশে বসে থাকলে তো হবে না সাহায্যও করতে হবে। যাই হোক আপু অন্যসব কাজের মতো খুবই মজাদার পিঠাও তৈরি করতে পারে। একলা এত মজাদার পিঠা খেলে হবে না। একবার দাওয়াত দিতে পারতেন। এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পরবর্তীতে কখনো তৈরি করলে অবশ্যই দাওয়াত দিব।যেহেতু খাওয়া হয়নি তাহলে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে।
পিঠা রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় যেমন চিন্তা করেছিলাম ঠিক তেমনি দেখতে পাচ্ছি। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর আনকমন পিঠ রেসিপি শেয়ার করছে। আপনার পিঠার সাথে নামটিও খুবই আনকমন। পান্তুয়া পিঠা। সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে আপনি অসাধারণ এক প্রকার পিঠা তৈরি করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমি এটা প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করিনি। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এ পিঠাটা খেয়েছি ভাইয়া তবে আমাদের দিকে অন্য নামে চিনে। নামটা সঠিক মনেও নেই। সোনিয়া আপুর সহায়তায় আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সেটা আবার ধাপে ধাপে সুন্দর করেও দেখালেন
আসলে একেক জায়গায় হয়তো এক এক নামে চিনে এই পিঠাকে।
পান্তুয়া পিঠা আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
পান্তুয়া পিঠা আপনার খুব পছন্দ, এটা শুনে আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে।
পান্তুয়া পিঠার নাম তো আসলে এর আগে কখনো শুনিনি। তাই পুরো ইউনিক একটি রেসিপি ছিল এটি আমার কাছে। পিঠে খেতে আসলে সকলেই কমবেশি অনেক ভালোবাসে। সোনিয়া আপু দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছে , সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল ভাই । রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে । সবমিলিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল এটি।
হয়তো আপনার কাছে এটা ইউনিক ছিল। তবে আমাদের এলাকায় এটার প্রচলন কিন্তু খুব ভালো। আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এটা।
পানতোয়া পিঠা রেসিপি টা আমি অনেকের কাছ থেকে দেখেছি। আমার কাছে বেশ ভালই লাগে এই পিঠার রেসিপি। তবে রেসিপি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ভাবছি একদিন তৈরি করে খাব। মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। এটা অনেক সুস্বাদু একটি পিঠা।
পান্তুয়া পিঠা অনেক সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো খুব লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
উপস্থাপন সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যেন কেউ চাইলে এটা তৈরি করতে পারে।
ডিমের পান্তুয়া পিঠা আমার ভীষণ পছন্দ। বিভিন্ন ধরণের পিঠা খেতে আমিও খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন ধরনের পিঠের বিভিন্ন ধরনের টেস্ট পাওয়া যায়। পান্তুয়া পিঠার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনি এটা খেতে খুব ভালোবাসেন এবং আপনার পছন্দের এটা শুনে খুব ভালো লাগলো।
https://twitter.com/NARocky4/status/1731486644597916052?t=hEYYj9WemYDPLXWGv5P1jw&s=19
পান্তুয়া পিঠাগুলো কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছিল খেতে। আসলে আমি একটু নতুন পদ্ধতিতে চেষ্টা করলাম রেসিপিটা তৈরি করার জন্য। সব সময় একই রকম ভাবেও খেতে ভালো লাগে না। তবে এই পদ্ধতিতে তৈরি করার কারনেও কিন্তু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাই হোক তুমি উপস্থাপনাটা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছো, যেটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কেউ চাইলেই তৈরি করে নিতে পারবে।
আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল এটা খেতে।