বোন আর ভাগ্নিকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
বেশ কিছুদিন যাবত বোন এবং ভাগ্নি ঘুরতে যাওয়ার জন্য বলতেছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বের হতে পারতে ছিলাম না। কিছুদিন আগে খুব বেশি জোর করল ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমি বলছি ফ্রি হয়ে তোমাদেরকে বলব কখন যেতে পারি। কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করে ২-১ দিন আগে ঘুরতে বের হব। বড় আপুকে ফোন দিলাম ভাগ্নিকে বলার জন্য। ভাগ্নি শুনে মহা খুশি। কিন্তু তার মাদ্রাসা এবং কোচিং দুইটাই খোলা। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম শুক্রবারে যাওয়ার কথা।
সকালে একটু লেট করে বের হলাম। মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা তিনজন বের হলাম। অনেকক্ষণ পর্যন্ত যাওয়ার পর অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছালাম। এরমধ্যে চিন্তা করলাম নদীর পাড়ে যখন এসেছে। দুপুরের খাবার আজ বাড়িতে খাব না। শালিকে কল দিয়ে বললাম আজ দুপুরে তোমাদের বাসায় আসব। জিজ্ঞেস করল কে কে। তখন ছোট বোন আর ভাগ্নির কথা বললাম। সে শুনে মহা খুশি হল। সে বিশ্বাস করতে পারছিল না দুপুরের সময় তাদের বাসায় যাব। পরে তাকে নিশ্চিত করলাম দুপুরে তাদের বাসায় যাব।
শালিকে কল দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, আমরা যে নদীটা দেখতে যাব সেটা শালির শ্বশুরবাড়ির কিছুটা কাছে। এরপর আমরা ঘোরার জন্য নদীতে চলে গেলাম। এমন সময় গেলাম মানুষই নেই। আমরা তিনজন অনেকক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের ছবি তুললাম। যে ছবিগুলো তুলেছি সেখান থেকে কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি ছবিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
নদীতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর, নদীর পাশে খুব সুন্দর একটি ফুচকা দোকান ছিল। প্রথমে তিনজন একসাথে ফুচকা খেলাম। কারণ ফুচকা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ফুচকা খাওয়া শেষে তিনজন ছোট প্লেটে তিনটি বিরিয়ানি খেলাম। বিরিয়ানির কথা আমার ছোট বোন বলেছিল। বিরিয়ানি তার খুবই পছন্দের। তার উসিলায় আমরা তিনজনই খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে নদীতে আবার গেলাম। নদীর পাড়ে খুব ছোট ছোট গাছ লাগিয়েছিল। গাছগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল।
আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় কাটিয়েছি নদীর পাড়ে। দুজনের রিকোয়েস্টে নিজের ও ছবি তুললাম। সবার সাথে শেয়ার করে ভীষণ ভালো লাগলো। বেশ কিছুদিন আগেও আমি তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমরা তিনজন যখন ঘুরতে বের হই তখন অনেক মজা করে। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যায়। আজকের এই দিনটাও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তিনজন একসাথে অনেক মজা করেছিলাম।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1617154040932229122?t=gJfrAmvK_J7k-aCJaaiRnw&s=19
ছোট বোন আর ভাগ্নিকে নিয়ে বেশ ভালই একটা ভ্রমন করে আসলেন। শালী কাছে থাকার কারণে দুপুরের খাবারটাও সেখানে খেয়ে আসতে পারলেন। আমাদেরকে বললে আমরাও একটু ঘুরে আসতে পারতাম নদীর পাড়ে। তবে তিনজনে মিলে বেশ ভালো উপভোগ করেছেন ছবিতে দেখছি। জান্নাতকে খুব বেশি সুন্দর লাগছে নৌকায় বসে ছবি তুলল যে।
ফটোগ্রাফার কে দেখতে হবে না। ছোটখাটো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আপনাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাই আছে না
বোন আর ভাগ্নিকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। নিশ্চয়ই আপনার ভাগ্নি অনেক খুশি হয়েছে। দুপুরে শালির বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন তাহলে তো খাবার অনেক মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভালো লেগেছিল। ব্যস্ততার কারণে তাদেরকে নিয়ে ঘুরা হয় না। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
জান্নাত এবং সাদিয়া কে নিয়ে ওই দিন বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। তাদেরকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে দুই জন অনেক খুশি হয়েছে।জান্নাত তো নৌকায় বসে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে দেখছি। সত্যি বলতে আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম ওই দিন। যখন আপনারা আসবেন বলেছিলেন। আপনাদের ঘোরাঘুরির সেই মূহুর্ত টি আজকে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
সেদিন তোমাদের বাসার খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এখনো যেন জিভে লেগে আছে।
নদীর ধারে গিয়ে অনেক মজার করে ঘোরাফেরা করেছেন বোন এবং ভাগ্নিকে নিয়ে দুইজনে অনেক খুশি হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে।তবে আরো মজার সময় কাটিয়েছেন শালিকার বাসায় গিয়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেছেন।বোন আর ভাগ্নির আবদার রাখতে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। এই ধরনের আবদার মাঝে মাঝে রাখতে হয় তাহলে তাদের মন অনেক খুশি হয়।
ঠিক বলেছেন আবদার রাখতে পারলে ভালো লাগে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে রাখতে পারি না। আমি প্রচুর ব্যস্ত থাকি।
বোন আর ভাগনী নিয়ে তো দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ সেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো ৷ সত্যি বলতে নদী আমার অনেক প্রিয় ৷ আর তাই সময় পেলেই নদীতে যেতে ভুলি না ৷
যা হোক সব মিলে অনেক ভালো লাগলো বোন আর ভাগনীর সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো ৷
ঠিক বলেছেন ভাই খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। তারা দুইজন অনেক খুশি হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগেও গিয়েছিলাম তাদেরকে নিয়ে অন্য আরেকটি জায়গায়।
তিনজনে মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরিয়ে করেছেন। সেই সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। ওরা আপনার কাছে একটু বেশি আবদার করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরার জন্য। শেষে আপনার যে ফটোগ্রাফি ছিল তাও খুবই সুন্দর হয়েছে। সেই দিনের খাবার কেমন লেগেছে।
ঠিক বলেছেন। অনেক মজা করেছিলাম তিনজন। আপনাদের এলাকাটা খুব সুন্দর।
বোন ভাগ্নিকে নিয়ে নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাই। ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর জায়গা অসাধারণ দৃশ্য। সত্যিই প্রকৃতির মধ্যে যেন হারিয়ে গিয়েছেন।
ঠিক বলেছেন ভাই যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছে। ভীষণ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম
বোন ভাগ্নীকে সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার বিশেষ একটি সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং বর্ণনা পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক ভালোলাগার একটা মুহূর্ত ছিল আপনাদের জন্য।
ভীষণ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে