"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৩৮: কাল্পনিক হ্যাংআউট স্টেজ শো তৈরি।
পুরো হ্যাংআউট স্টেজ শো এর ভিডিওগ্রাফি। আপনারা অবশ্যই দেখবেন
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব DIY । তবে আজকে ডাই প্রজেক্ট এর জন্য আমি সবার প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রিয় দাদাকে। কারণ দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে আমাদের জন্য খুবই সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আর এই ধরনের কাজগুলো করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। প্রতিযোগিতা দেখার পর আমি ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম যে, কি তৈরি করব, কিভাবে করব। আমি ভিন্ন কিছু তৈরি করার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। তাই জন্য ভাবলাম এমনিতে আমাদের হ্যাংআউট ভার্চুয়ালি ভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু যদি সামনাসামনি কিংবা বাস্তবে হ্যাংআউট স্টেজ শো টা কি রকম হবে, এরকম একটা কাল্পনিক স্টেজ শো তৈরি করব। আমি চোখ বন্ধ করেই নিজের মত করে একটা হ্যাংআউট স্টেজ ভেবে নিয়েছি। তারপর ওইরকম ভাবেই তৈরি করা শুরু করি। তবে আসলে এই কাজটা আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল। বিশেষ করে দর্শকদের জন্য অনেকগুলো চেয়ার তৈরি করতে হয়েছে। তাছাড়াও স্টেজ তৈরি করার অনেক কাজ ছিল। কিন্তু তারপরেও আমি অনেক কষ্ট করে পুরো কাজটা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছি। যখন আমি পুরো কাজটা সম্পন্ন করলাম আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। কিন্তু এটা কিভাবে উপস্থাপন করব এটাই বুঝতে পারছিলাম না। কারণ সামনাসামনি দেখতে যতটা সুন্দর লাগছিল ফটোগ্রাফিতে আমি কোন ভাবেই উপস্থাপনটা মিলাতে পারছিলাম না। কারণ এক দিক থেকে ফটোগ্রাফি করলে অন্য দিকের অংশ দেখা যায় না। তাই জন্য আমি একটা ভিডিও করেছি। আপনারাও অবশ্যই ভিডিওটাও দেখবেন। তাহলে আমার মূল কাজটা অন্তত বুঝতে পারবেন। যাইহোক আশা করি আপনারা আমার কাল্পনিক স্টেজ শো পছন্দ করবেন।
উপকরণ
ককশীট
কার্ডবোর্ড
রঙিন কাগজ
জলরং
রং করার ব্রাশ
কাটার
গ্লু গান
গাম
কাঁচি ✂️
স্কেল
কলম
পেন্সিল
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি একটা ককশিট নিলাম। এরপর পেন্সিল এবং স্কেল দিয়ে মাঝখান বরাবর দাগ দিয়ে ককশিট দুইটি সমানভাবে কেটে নিলাম।
ধাপ 2️⃣
তারপরে একটা ককশিটের ভেতর পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে দিলাম। তারপরে বড় একটা ককশিট এর ভেতরে পেন্সিল এবং স্কেল দিয়ে সমানভাবে দাগ দিয়ে দিলাম। এরপর দাগ বরাবর ককশিট কেটে নিলাম।
ধাপ 3️⃣
এরপর ছোট ছোট চিকন দুইটি ককশিটের উপরে এই কাটা ককশিট গুলো ব্লু গান দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম স্টেপ বাই স্টেপ।
ধাপ 4️⃣
তারপরে একটা বক্স নিলাম। একটা ককশিট বক্সের সমান করে কেটে ভেতরের অংশে ঢুকিয়ে দিলাম।
ধাপ 5️⃣
এরপর গোলাপী রঙের রঙিন কাগজ নিলাম। তারপরে ডিজাইন করে কেটে দুই পাশে এবং উপরের অংশে গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ 6️⃣
তারপরের রঙিন কাগজ দিয়ে দুটি লাঠি তৈরি করে জোড়া লাগিয়ে নিলাম। এরপর দুটি ককশিট কেটে নিলাম ছোট বড় দেখে। তারপরে ছোট ককশিট টি লাঠিগুলোর নিচের অংশে এবং বড় ককশিটটি লাঠির উপরের অংশে জোড়া লাগিয়ে নিলাম। তারপরে বক্সটির এক পাশে গামের সাহায্যে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ 7️⃣
এরপর বক্সটির ভিতরে ককসিটের উপরে নীল রঙের জল রং দিয়ে আমার বাংলা ব্লগ লেখাটি লিখে নিলাম। তারপরে লাল রং দিয়ে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি লেখাটি লিখে নিলাম। সর্বশেষে কালো রং দিয়ে উদযাপন লেখাটি লিখলাম।
ধাপ 8️⃣
এরপর লেখাটার একপাশে কয়েকটা বেলুন এঁকে নিলাম রং দিয়ে। তারপরে লেখাটার একপাশের নিচের অংশে লোগো এঁকে নিলাম সবুজ রং দিয়ে। তারপরে লাল রং দিয়ে লোগোর ভিতরে 2 এঁকে নিলাম। এরপর গোলাপি রঙের রঙিন কাগজের উপরে চারিপাশে বিভিন্ন রকমের ডিজাইন এঁকে নিলাম সবুজ রং দিয়ে।
ধাপ 9️⃣
এরপর একটা বড় কার্ডবোর্ড নিলাম। তারপরে সমান করে অনেকগুলো কার্ডবোর্ড ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম।
ধাপ 1️⃣0️⃣
এরপর অন্য আরেকটা কার্ডবোর্ড থেকে কিছুটা বড় দেখে উপরের অংশে একটু গোল করে কার্ডবোর্ড গুলো বেশ কয়েকটা কেটে নিলাম।
ধাপ 1️⃣1️⃣
এরপর অন্য আরেকটা কার্ডবোর্ড থেকে আরো একটু ছোট দেখে কয়েকটা কার্ডবোর্ড কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম।
ধাপ 1️⃣2️⃣
এরপর একটা কার্ড বোর্ডের দুই পাশে গ্লু গান দিয়ে দুই পাশে দুটি কার্ডবোর্ড লাগিয়ে নিলাম। এবং পেছনের অংশে আরেকটা কার্ডবোর্ড লাগিয়ে, একটা চেয়ার তৈরি করে নিলাম।
ধাপ 1️⃣3️⃣
এভাবে দুটি চেয়ার তৈরি করলাম। তারপরে চারটি এবং আস্তে আস্তে ছয়টা চেয়ার তৈরি করে নিলাম।
ধাপ 1️⃣4️⃣
তারপরে আরো কয়েকটা কার্ডবোর্ড দিয়ে খুব সুন্দর করে মোট নয়টা চেয়ার তৈরি করলাম।
ধাপ 1️⃣5️⃣
এরপর একটা ছোট কার্ডবোর্ড নিয়ে, পেন্সিল দিয়ে কার্ডবোর্ড এর উপরে একটা মানুষ এঁকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিলাম। তারপরে কালো মার্কার কলম দিয়ে চোখ মুখ চুল এঁকে নিলাম। এভাবে অনেকগুলো মানুষ তৈরি করে নিলাম।
ধাপ 1️⃣6️⃣
এরপর স্টেপ বাই স্টেপ যে ককশীটটি জোড়া লাগিয়েছিলাম তার উপরে চেয়ারগুলো জোড়া লাগিয়ে নিলাম। তারপরে তৈরি করা মানুষগুলো প্রত্যেকটা চেয়ারের মধ্যে বসিয়ে দিলাম।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের ব্লগ অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | DIY |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি ৭আই |
পোস্ট তৈরি | #narocky71 |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
https://twitter.com/NARocky4/status/1666778572617564160?t=ePDUFFnqx5XR52lhbhiHGw&s=19
আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কনটেস্ট অনেক সুন্দর এবং ইউনিক হয়েছে। আপনি কাল্পনিক একটি হ্যাংআউট স্টেজ শো তৈরি করলেন বেশ ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয় সেজন্য অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি ইউনিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কাল্পনিক হ্যাংআউট স্টেজ শো তৈরি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়, সেজন্য আমার কাছেও খুব ভালো লাগে।
অসাধারণ সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন ভাইয়া।কাল্পনিক হ্যাংআউট স্টেজ শো তৈরির প্রক্রিয়াটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনার এই ডাই প্রজেক্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ১৫ নাম্বার এবং ১৬ নাম্বার ধাপকে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে চেয়ারে উপর বসানো মানুষ গুলো দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। খুবই সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাল্পনিক স্টেজ শো করে দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন, এটা দেখে ভালো লেগেছে। আমার চেহারার উপরে বসানো মানুষগুলো দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
অতি চমৎকার হয়েছে আপনার আজকের অংশগ্রহণ। খুব সুন্দর ভাবে আপনি দেখিয়েছেন হ্যাংআউটের বিষয়টা। যদি হ্যাংআউটে এভাবে অংশগ্রহণ করতে পারতাম সবাই একসাথে না জানি কতই মজা হত।
ঠিক বলেছেন, যদি হ্যাংআউটে এভাবে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। আপনার কাছে হ্যাংআউটের বিষয়টা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এমন ইউনিক একটি ডাই প্রোজেক্ট এর মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। কাল্পনিক হ্যাংআউট স্টেজ শো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুব নিখুঁতভাবে সম্পূর্ণ প্রোজেক্টটি তৈরি করেছেন। আশা করি বিজয়ী হতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।