রামসাগর ভ্রমণ
নমস্কার সবাই কে। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়। গত পোস্টে আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করেছিলাম ঈদের দিনে পরিবারের সবার সাথে ঘোরাঘুরির মুহূর্তটা। আর আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঈদের পরের দিন সবাই মিলে প্ল্যান করে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম রামসাগরে।
ঈদের দিন মোটামুটি কোন প্ল্যান ছাড়াই বেরিয়ে পড়েছিলাম আমরা কাছাকাছি কোন এক জায়গায় ঘুরতে। কিন্তু দিনাজপুরে বেশ অনেক বড়সড়ো জায়গা রয়েছে যেগুলো একটু সময় নিয়ে ঘুরলে বেশ ভালো লাগে।
তার মধ্যে উল্লেখ্য হচ্ছে রামসাগর,কান্ত জিও মন্দির, রাজবাড়ী, সুখ সাগর, রাবার ড্যাম,স্বপ্নপুরী ও আরো অনেক নাম না জানা জায়গা। প্ল্যান করলাম আমরা রামসাগর যাব। অটোতে করে রামসাগর যেতে লাগে ৪০ মিনিট প্রায়।
আমরা মোট তিনটি অটো ঠিক করলাম। অটোতে ঠিকমতন ওঠার পর আমরা সবাই মিলে খুব মজা করতে করতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামসাগর পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম এত মানুষের ভিড়।সবাই তাদের পরিবার, প্রিয়জনদের সাথে বেড়াতে এসেছে। খুব ভালো লাগলো দেখে। আমরাও অটোভিতরে নেওয়ার পারমিশন নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় দেখে অটোটা থামালাম।
পাশেই একটা পুকুর ছিল এমন দেখে একটা জায়গা ঠিক করলাম। বেশ হাওয়া চালাচ্ছিল। আমরা সবাই খুব মজা পাচ্ছিলাম। আমরা যে যার যার মতন নেমে বেশ কয়েকটা ছাতা রাখা ছিল ছাতার নিচে বসলাম। আমাদের ব্যাগগুলো ওখানেই রাখলাম। তারপর আমরা ছবি তুলতে লাগলাম।
কুহু ও ঋদ্ধি বেশ ভালই পোজ দিয়ে ছবি তুলল তার বাবা আর কাকুর সাথে।
খাবারদাবারের ব্যবস্থা অবশ্য সেখানে কিছুই ছিল না। আমি,আমার জা,দেবর,রিদ্ধি,কুহু,কুহুর বাবা সবাই একসাথে বসে একটা ফ্যামিলি ফটো তুলে নিলাম।
ছোট্ট কুহু তার ঠাম্মির সাথে ছবি তুলতে চাচ্ছিল না।খুব দুষ্টুমি করছিল।
যাই হোক অনেক টা সময় সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার পরে এবার ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।আজ এই পর্যন্ত লিখছি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ঈদের পরের দিন টা খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে এরকম সুন্দর পরিবেশ বিকেল মুহূর্তে গিয়ে উপভোগ করতে ভালই লাগে। রামসাগর জায়গাটি দেখে অনেক ভালো লেগেছে তার পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।আর রামসাগর সত্যি বলতে অনেক সুন্দর একটা জায়গা। কখন সময় করে দিনাজপুর আসবেন।ভালো লাগবে অনেক।