বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতির মাঝে সুন্দর কিছু মুহূর্ত
নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভালো আছেন, আমিও ভাল আছি ভগবানের কৃপায়।ফাল্গুন মাস পড়েই গেল। আকাশে বাতাসে এখন বসন্তের ছোঁয়া। প্রকৃতি যেন বসন্তকালে অন্যরকম এক সাজ সাজে।শীতের রুক্ষতা পেরিয়ে চারিদিকে শুধু ফুলের আমেজ।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হলুদ সবুজের সমারোহ এক সুন্দর মনোরম পরিবেশে যাবার অনুভূতি। অনেকদিন ধরেই কুহুর বাবাকে বলছিলাম চলো না কোথাও থেকে ঘুরে আসি। যেখানে খোলা মাঠ আছে।চারিদিকে গাছ গাছালী থাকবে।
বসাক বাবু ও বললেন ঠিক আছে নিয়ে যাবো। দুপুরে খাবারের পর বললো চট করে একটা হলুদ শাড়ি পরে রেডি হয়ে নাও। আমি ও আর কই যাবো,কিভাবে যাবো এত শত প্রশ্ন না করে চটপট শাড়ি পরে রেডি হয়ে গেলাম।
বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা অটোরিকশা ঠিক করা হলো।আজকাল দিনাজপুরে পায়ে চালিত রিকশা চোখেই পড়ে না।সব ব্যাটারি চালিত যানবাহন।ঠিক আধ ঘন্টার দূরত্বে অটোওয়ালা মামাটা আমাদের শহর থেকে একটু ভিতরে নিয়ে যেয়ে অটোরিকশা টি থামালেন।অটো থেকে নেমে বাইরে চোখ পড়তেই চোখ টা জুড়িয়ে গেল। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল সর্ষের ক্ষেতে যাবার। আর এখন সেটা আমার চোখের সামনে।
চোখের সামনে এতো সুন্দর পরিবেশ দেখতে পেয়ে আমরা কিছু সময় চুপচাপ বসে থাকলাম।মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে দিয়ে গ্রামে এসে বসবাস করি।চারিদিকে খোলা মাঠ,গাছ গাছালী।অপরদিকে শহরে সব যান্ত্রিক। যদি ও বা গ্রামে ও এখন অনেক পরিবর্তনর হাওয়ায় আগের থেকে অনেক কিছুর ই পরিবর্তন হয়েছে।
কিছু সময় পর আমি বললাম চল দেখি আমার কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দাও দেখি যাতে এই সুন্দর দৃশ্য গুলো আপনাদের সাথে ও শেয়ার করতে পারি।বেশ কিছুসময় পার করার পর কুহু বুড়ির খিদে পেয়ে যাওযায় আমরা আশেপাশে দেখলাম কোন খাবারের দোকান আছে কিনা।কিন্ত আমরা আশে পাশে কোন খাবারের দোকান দেখতে না পেয়ে শহরের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
আজ এই পর্যন্ত লিখছি।সবাই ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন সবাই মিলে। শহরের ইট-পাথরের জঙ্গলে থাকতে থাকতে আসলেই একঘেয়েমি চলে আসে। তখন এমন প্রকৃতির সান্নিধ্যের প্রয়োজন হয়।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন শহরের একঘেয়েমি কাটাতে প্রকৃতির আশ্রয় নিতে হয় আমাদেরকে । আর প্রকৃতি আমাদেরকে কখনো নিরাশ করে ন। প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপ সব সময় আমাদের মুগ্ধ করে তোল।
এই ধরনের পোস্টে লোকেশন দিতে হবে। আশা করি এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
দুঃখিত দাদা।আমি পরবর্তী তে অবশ্যই বিষয় টি খেয়াল রাখবো।পাশাপাশি ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে র ভুল টি ধরিয়ে দেওযার জন্য।
হলুদ শাড়ি পরে সরিষার মাঝে বিচরণ করেছেন বসন্তের সময় বিভিন্ন ফুলের সৌন্দর্য সবাই উপভোগ করতে পছন্দ করে । অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাটানো মুহূর্ত দেখে।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।প্রকৃতি তার রূপের বৈচিত্র্য দিয়ে আমাদের সব সময়ই মুগ্ধ করে তবে বসন্তে যেন সবার সেরা এক রুপ ধারণ করে।
আপনার মেয়ের নামটাতো অনেক সুন্দর । ”কুহু” এই নাম প্রথম শুনলাম। এই সময়ে গ্রামের প্রকৃতি আসলেই অনেক সুন্দর থাকে। ছবি থেকে মনে হচ্ছে আমিও ছুটে যাই এমন প্রকৃতির মাঝে ।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মেয়ের নাম টা আসলেই একটু আনকমন। ওর বাবা রেখেছে নাম টা।সচারাচর এই নাম টা শোনা যায় না।তবে বসন্তকালে পাখির ডাকে আমরা প্রায়ই কুহু ডাক টা শুনতে পাই।আর বসন্তে বাইে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি ও অবশ্যই যাবেন পরিবারের সবাই কে নিয়ে।
বসন্তের পরিবেশে আসলেই মুহূর্তটা অনেক সুন্দর লাগে। আপনার মেয়ের নামটাও আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সরিষা ক্ষেতের সাথে আপনার হলুদ শাড়ি টি ও একেবারে মিলে গিয়েছে। তাছাড়া চারপাশের পরিবেশটি আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি যদি পোষ্টের মধ্যে লোকেশন ব্যবহার করতেন তাহলে আরও বেশি ভালো লাগতো। আশা করবেন পরবর্তী পোস্ট এর মধ্যে আরেকটু সুন্দরভাবে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখার জন্য। তাহলে আপনার পোস্ট দেখতে এবং পড়তে আরো অনেক ভালো লাগবে।
সত্যি বলতে এরকম হুটহাট ঘোরাঘুরি করতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে আর মেয়েরা সচরাচর একটু বেশি ঘুরাঘুরি করতে ভালবাসা যার কারণে আপনি কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই দ্রুত রেডি হয়ে গিয়েছেন। আসলে সরিষা ক্ষেতের মাঝে সময় কাটাতে সকলেই অনেক বেশি ভালো লাগে সেই সাথে এখন যেহেতু বসন্তের সময় সেহেতু খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বসন্ত আসলেই যেন চারি পাশে ভালোবাসার ছোঁয়া নিয়ে আসে। যেমন সুন্দর হিমেল হাওয়া বয় গাছে গাছে পাখির কলতান মন ছুটে যায় সরিষার খেতে ফটোগ্রাফি করতে অথবা প্রয়োজনের সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করার জন্য। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বসন্ত কে নিয়ে। যে পোস্ট পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো এবং আপনার অনুভূতি জানতে পারলাম।