ব্যস্ততার যুগে আধুনিকতার ছোঁয়া
নমস্কার সবাইকে। কেমন আছেন সবাই। আশা রাখি ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়।
আজকাল আমরা সবাই ব্যস্ত।তবুও কিছু কাজ যেন হাজার ব্যস্ততা ঠেলেও আমাদের করতে হয়।তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাজার করা।বাজার বলতে অনেক কিছু ই বোঝায় ।যেমন ধরুন জামা কাপড় কেনাকাটা, আবার মাসকাবারি চাল,ডাল,তেল বাজার, আবার কিছু আছে নিত্য প্রয়জনিয় জিনিস যেমন কাঁচাবাজার।
আগের দিনে মা বাবাদের দেখেছি পূজোর কেনাকাটা যেমন জামাকাপড় কেনা ছাড়া মা রা তেমন একটা বাজারে যেতেন না।আর তাই অন্য সব বাজারের দায়িত্ব বাবা,কাকা দের ঘাড়েই থাকতো।মা রা ফর্দ করে রাখতেন কিকি লাগবে,কি কি আনতে হবে।বাবা কাকাদের আবার হাজার ব্যস্ততা থাকলেও এগুলো জিনিস টাইম মতন এনে দিতে হতো।একেকটা জিনিস তখন এক এক দোকানে পাওয়া যেত। কিছু জিনিস কাঁচাবাজারে আবার কিছু জিনিস মুদিখানার দোকানে। তাই বাজার করাটা কিছুটা সময়ের ব্যাপার ছিল। কিন্তু দিনবদলের পালাক্রমে এসব ব্যাপারে অনেকটাই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আর সেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বাজার এখন চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। যার নাম এখন দেওয়া হয়েছে সুপার শপ।
কি নেই সেই সুপার শপে?? হাতের নাগালেই সবকিছু।বাজারে সেই ভ্যাপসা গরম নেই, মানুষের ঠেলাঠেলি নেই। হাতে বাজারের থলি নিয়ে এ দোকান ও দোকানে যাওয়ার বালাই নেই। এক দোকানে সবকিছু পাওয়া যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রসাধনী, কাঁচা বাজার, মশলাপাতি, মাছ মুরগির মাংস, জামা কাপড়, আবার এক্সট্রা মুখরোচক খাবার ও পাওয়া যায়। আর তাই দিনবদলের পালাক্রমে এসব বাজারে শুধু পুরুষ রা যায় না। নারী পুরুষ উভয়ইরি সমাগম সুপার শপে। আর তাইতো আমার সংসারে আমার কাছেও দায়িত্বটি পড়ে।মাসকাবারি বাজারটি করতে দুজন মিলে চলে যাই সুপার শপ থেকে আনতে। আর পুচকি টাও বেশ খুশি হয়। একটা ট্রলি নিয়ে নিতে হয় যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও দরকারি জিনিসপত্র ফর্দ মিলিয়ে তুলে রাখবেন এবং বিল পরিশোধ করে শপ থেকেই আপনাকে ব্যাগে করে বুঝিয়ে দিবে। তাই সেদিন আমাদের এখানে যে সুপারশপটি আছে সেখানে গেলাম এবং ভাবলাম আপনাদের সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করব।
তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় আগেই ভালো ছিল। কাঁচাবাজার গুলো যদিও এখনো সেই হাটবারেই করা হয়। ওটা অবশ্য কর্তা মশাই করে থাকেন। আমি ফর্দ লিখে দেই সে মিলিয়ে মিলিয়ে এনে দেয়।আর এভাবেই চলে আমাদের দিনকাল।ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
আপনারা কে কিভাবে বাজার করেন আমার সাথে শেয়ার করবেন। সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই রাখছি*
বাহ্ দিদি অনেকদিন পর তোমার পোস্ট দেখছি। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত পোস্ট করবে। লেখাটা তুমি বেশ ভালোই লিখো। তবে চেষ্টা করো আরেকটু গুছিয়ে সব কিছু উপস্থাপন করার। এই জন্য অন্য সবার পোস্ট একটু বেশি বেশি পড়বে কেমন। ট্যাগ টা চাইলে আরো বাড়িয়ে দেওয়া যেত হয়তো। ব্যাপার গুলো এরপর থেকে খেয়াল রেখো কেমন।
আর সুপার শপে যেতে আমারও খুব ভালোই লাগে। সব কিছু এক জায়গাতেই। বউ সংসার নেই তাই অত কিছু তো গুছিয়ে কিনতে হয় না। এসির বাতাস খেয়ে দুই একটা কিছু ভালো লাগলে নিয়ে নেই , এই যা 😅।
ধন্যবাদ ভাই। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আর ও গুছিয়ে লেখার জন্য। কুহু অনেক খুশি হয় রে সুপার শপে গেলে। তাই প্রায়ই ওকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে ইদানীং খুব দুষ্টু হয়েছে।খুব বায়না ধরে বাইরে যাওয়ার জন্য। আর বাইরে গেলে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে।আর সুপার শপ গুলো তে নিদিষ্ট জায়গার মধ্যে থাকে তাই ভয় টাও কম লাগে।
সুপার শপগুলোতে মার্কেট করলে বেশ ভালই লাগে। ছোট্ট একটি শপের ভিতরে সবকিছু পাওয়া যায়। যদিও দাম একটু বেশি, কিন্তু আমার মতে এগুলো থেকে কেনাকাটা করলে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না,দর দামাদামি করতে হয় না ,গরম লাগে না। ভালোই করেছেন আপু বাহিরে না গিয়ে এ জায়গা থেকে একসাথে সব কেনাকাটা করতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি ও ঠিক বলেছেন যে দাম টা একটু বেশি থাকে। তবে ওই যে সব এক জায়গায় পাওয়া যায় আর অনেক সময় কিছু ভিন্ন ধরনের জিনিস ও চোখে পড়ে যা সহজে লোকাল মাকের্টে চোখে পড়ে না।আর তাই প্রায়ই ঢু মাড়ি সুপার শপে।
আসলে ঠিক বলেছেন, নিত্য নতুন সবকিছুই পাল্টে গেছে। আগের দিনের মতো এখন আর কিছুই নেই। এখন যেমনটা, আপনি বললেন সুপার সবগুলোতে প্রায় সকল ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বলতে গেলে অপরিচিত জিনিসপত্র ও পাওয়া যায়। যেহেতু এক জায়গায় সবগুলো জিনিস পাওয়া যায় এজন্যই মনে হয় ওরা একটু বেশি দাম নিয়ে থাকে। বাবুটা মনে হয় আপনার মেয়ে, তাইনা আপু। দেখতে অনেক কিউট লাগছে। মনে হচ্ছে ও আপনার সাথে সাথে জিনিসপত্র কিনছে।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।এইতো তো কিছু বছর আগে আমারা হয়তো এমনটা ভাবিওনি কিন্তু এখন এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের জেনারেশনের কাছে এগুলো খুবই নরমাল।দিন বদলের হাওয়ায় অনেক কিছু সহজলভ্য এখন আমাদের কাছে। জি আপু ওটা আমার মেয়ে। আমাকে সাহায্য করছে এটাওটা এগিয়ে দিয়ে।