মজাদার জলখাবার
নমস্কার সবাই কে। আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।বাইরে অবশ্য বেজায় গরম আবহাওয়া। আর তাই আমাদের শরীরকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
আর এই ঠান্ডা গরম ঠান্ডা আবহাওয়াতে কুহুর শরীর টা খুব একটা ভালো নেই। মুখের রুচি অনেকটা কমে গেছে। খাওয়া নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
আর তাই ভাবলাম কিছু মুখরোচক বানিয়ে দিই ওকে।
আর মুখরোচক খাবারের সাথে টমেটো সস ছাড়া কিন্তু চলেনা।আর বাজারে টমেটো এখন অনেক সস্তা।
আর তাই পাঁচ কেজি টমেটো দিয়ে সস্ বানালাম।
পাঁচ কেজি টমেটো থেকে সস্ হইছে তিন কেজি।
খবরে দেখলাম টমেটো সস্ এ নাকি টমেটো ছিটা ফুটাও থাকে না।এই জন্য নিজেই বানিয়ে ফেললাম।
টমেটো সস বা কেচাপ যেটাই বলেন না কেন বানানোর রেসিপি টা খুব সহজ। ওটা না হয় আরেকদিন শেয়ার করব। আজকে ঝটপট তৈরি করলাম আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
প্রস্তুত প্রণালী:
১।প্রথমে আলু গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে নিলাম
২।তারপর লম্বা লম্বা করে কেটে নিলাম।
৩।তারপর কাঁটা আলু গুলোকে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলাম।
৪।বেশ কয়েক বার জল পরিবর্তন করে আলু গুলো কে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
৫।এবার আলু গুলোকে ডুবন্ত গরম তেলে ভেজে নিতে হবে।
৬।কালার চেঞ্জ হলেই বুঝতে পারব আলুগুলো ফ্রাই হয়ে গেছে। এবার একটি ছাকনির সাথে ছেকে ছেকে টিস্যু পেপার এর উপর তুলে রাখব।
ব্যাস হয়ে গেল আমাদের মজাদার আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
আপনারা অবশ্যই বাড়িতে একবার হলেও চেষ্টা করে দেখবেন। বাইরের রেস্টুরেন্টে চেয়ে কোন অংশে কম টেস্ট হয়না।
আজ এ পর্যন্ত লিখছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। বেশি বেশি করে জল পান করবেন।
বাসায় তৈরি যে কোন খাবারই খুবই স্বাস্থ্যসম্মত হয়। বিশেষ করে বাজার থেকে কেনা টমেটো সসের চেয়ে বাসায় তৈরি টমেটো সস অনেক অনেক মানসম্মত। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও টমেটো সস যেন একে অপরের পরিপূরক। কেননা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টমেটো সস ছাড়া খেতে একদমই ভালো লাগেনা। যাইহোক মজাদার জলখাবার নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। বাসায় ছোট্ট বাচ্চা থাকায় চেষ্টা করি বাড়িতে তৈরি খাবার দিতে।
অনেক সুন্দর একটি জলখাবার নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এমনিতে বাসায় তৈরি করতে ভালো লাগে এ জাতীয় খাবার গুলো। আশা করি পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে খুব আনন্দঘন মুহূর্তে এই খাবার গ্রহণ করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই পরিবারে মানুষকে নিয়ে খুব আনন্দ ঘন মুহূর্ত কাটিয়েছি।আর বাসায় তৈরি খাবার গুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্য সম্মত হয়ে থাকে।