শুক্রবারের ঘোরাঘুরি
নমস্কার সবাই কে।কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়।
আজ শুএবার।আর শুক্রবার মানে মেয়ের বাবা বাড়িতে থাকে,এবং বাড়ির টুকিটাকি কাজগুলো দুজন মিলে একসাথে করি । যাতে তাড়াতাড়ি কাজগুলো শেষ হয় এবং মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে নিয়ে আসা যায়।এখন অবশ্য কোথাও বেড়াতে গেলে কুহু কোথায় যে মজা পাবে সেখানেই যাওয়াটা পছন্দ করি। তাই সাধারণত শিশুপার্কই থাকে প্রথম পছন্দ।
দুপুরেরে খাবারের পর্ব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে কুহুুকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। দুপুরে আবার না ঘুমোলে মেয়েটা বাইরে যেয়ে ঘুমিয়ে যাবে।মজাটাও করতে পারবেনা। তাই এক ঘন্টা মতন ঘুম পাড়িয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম শিশু পার্কের উদ্দেশ্যে। অল্প ঘুম ঘুমানোর কারণে কুহু চুপচাপ ছিল। কিন্তু যেই না আমরা পার্কে পৌছালাম অনেকগুলো বাচ্চা কে দেখে ওর চোখে মুখে আনন্দ দেখতে পেলা। বিভিন্ন ধরনের দোলনা, স্লিপার, ঘুরনি এসব দেখে ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। কোনটা ছেড়ে কোনটাতে উঠবে।
প্রথমেই ওর বাবাওকে স্লিপার এ চড়ালো।প্রথমে একটু ভয় ভয় করছিল মেয়েটা। কিন্তু তারপর বেশ মজা পেল।এবার বায়না দোলনায় উঠবো। আর আমারও মনটা চাচ্ছিল দোলনায় উঠি।
মাঝে মাঝে ছোটদেরকে দেখলে নিজেদেরও ছোট হয়ে যেতে মন চায়।
কুহুুর বাবাও দোলনায় ওঠার সুযোগটা মিস করলো না। এবার মেয়ের বায়না ঘূর্ণিতে উঠবে।
অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি আর খেলাধুলার পর কুহু অনেকটা হাঁপিয়ে গিয়েছিল। এবার আমরা পার্কের ভেতরে একটা জায়গায় কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিলাম।
বসে বসে কিছু সময় তাকিয়ে দেখলাম কত শত বাচ্চার মা বাবারা তাদের ছেলেমেয়েদের পার্কে নিয়ে এসেছে।পার্ক মানেই খোলামেলা জায়গা। বাচ্চারা ইচ্ছে মতোন ছোটাছুটি করছে।মন খুলে হাসছে।আজকাল শহুরে বাচ্চাগুলোন তো খেলার তেমন জায়গাই পায় না।আশেপাশে কোন ফাঁকা জায়গা নেই। সব খালি উঁচু উঁচু দালান।
এসব নিয়ে কথা বলতে বলতে দেখলাম সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। তাই সেখান থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। আজ এই পর্যন্ত লিখছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
শুক্রবারে দেখছি ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে শুক্রবারে ফ্রি থাকি তখন এদিক ওদিক ঘুরতে অনেক ভালই লাগে। আপনি খুব চমৎকারভাবে কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার ঘুরাঘুরির অনুভূতি ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। হ্যা মেয়ের সাথে সাথে আমাদের বড়দের ও শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে বাইরে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুগঠিত একটি ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
ছুটির দিনগুলোতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাহিরে গেলে তারা মন খুলে আনন্দ করতে পারে। আসলে শহরের বাচ্চারা তো সেভাবে সময় পায়না কিংবা কোথাও যেতে পারে না। তাইতো পার্কে নিয়ে গেলে তারা অনেক খুশি হয়। কুহুুকে দেখতে কিন্তু ভারী মিষ্টি লাগছে। ঘোরাঘুরির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন শহুরে বাচ্চাগুলো যেমন ঘোরার সময় পায়না পড়াশোনার অনেক চাপ তেমনি খোলা জায়গার অভাবের কারণে তারা ঠিক মতন ঘুরতেও পারেনা। তাই শহুরে বাচ্চাদের জন্য পার্কই ভরসা।
শুক্রবার কমবেশি সবাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়। আপনিও পরিবার নিয়ে শিশুপার্ক গিয়ে বেশ ভাল আনন্দ করেছেন তা আপনার শেয়ার করা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কুহুকে অনেক কিউট লাগছে। স্লিপার, দোলনা এগুলো বাচ্চাদের খুব পছন্দের। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুক্রবারে আপনারা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। আসলে ছুটির দিনগুলোতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাহিরে ঘুরে বেড়াতে খুবই ভালো লাগে। কারণ বাচ্চারাও একটু বাইরের খোলামেলা প্রকৃতি উপভোগ করতে বেশ পছন্দ করে। আপনার মেয়ে কুহু বেশ মিষ্টি দেখতে । ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। চেষ্টা করি ছুটির দিনগুলোতে কুহুকে নিয়ে বাইরে বের হতে।কুহু বেশ মজা পেয়েছিল।
আপনার টাইটেলের বানানটা ঠিক করুন। আপনার পোস্টে মার্ক ডাউনের তেমন কোনো ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি না। আপনি যেহেতু লেভেল থ্রি কমপ্লিট করেছেন। আপনার পোস্টটা দেখতে আরো ভালো হওয়া কথা ছিলো। চেষ্টা করবেন এরপর থেকে মার্ক ডাউন ব্যবহারের মাধ্যমে পোস্টটা আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। তাছাড়া এই ধরনের পোস্টে অবশ্যই লোকেশন উল্লেখ করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দাদা এবং একই সাথে অনেক দুঃখিত। আসলে আমার ফোনের প্রবলেমের কারণে। আমার পোস্টটিকে আমি সুন্দরভাবে গোছাতে পারছি না। তবে খুব দ্রুত আমি নতুন ফোন কিনে বিষয়গুলো অবশ্যই শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।