কচুর মুখি ভর্তার মজাদার রেসিপি😋

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️

সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো কচুর মুখি ভর্তার মজাদার রেসিপি😋। এটি খাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। ভিন্ন ভিন্ন রেসিপির স্বাদ ভিন্ন হয় যেমনঃ কচুর মুখি রান্না করলে এক টেস্ট পাওয়া যায় আবার কচুর মুখে ভর্তা করলে ভিন্ন টেস্ট পাওয়া যায়। সবজির মধ্যে কচুর মুখে আমার একটু বেশি পছন্দের। আমরা সকলেই কচুমুখী রান্না করে খাই, বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে ‌
কিন্তু আজ একটু ভিন্নভাবেই কচুর মুখী রেসিপি উপস্থাপন করব । তো চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিতে যাওয়া যাক ।

আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
রেসিপিটির ফাইনাল লুক

GridArt_20230712_233635211.jpg

GridArt_20230712_233705267.jpg

GridArt_20230712_233814604.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • কচুর মুখী
  • রসুনের কোষ
    *শুকনো মরিচ
  • বিলাতি ধনিয়া
  • পেঁয়াজ কুঁচি
  • সরিষার তেল
  • লবণ

IMG-20230712-WA0026.jpg

GridArt_20230712_225727363.jpg

প্রথম ধাপ:
  • প্রথমে আমি কচুর মুখিগুলোকে একটি পাতিলে নিলাম ও পানি দিয়ে দশ মিনিট ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম।

দ্বিতীয় ধাপঃ
  • এখন কচুর মুখি গুলো আলাদা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ঠান্ডা করে নিলাম। তারপর কচুর মুখির ছাল ছাড়িয়ে নিলাম।

তৃতীয় ধাপ:
  • এখন আমি একটি ফ্রাইপ‍্যান বসিয়ে নিলাম ও সামান্য তেল দিয়ে দিলাম। তারপর রসুনের কোষ গুলো দিয়ে দিলাম।

চতুর্থ ধাপ:
  • তারপর রসুনের খুশির সাথে পেঁয়াজ ও শুকনো মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।

পঞ্চম ধাপ:
  • ভেজে নেওয়া উপকরণ গুলোর সাথে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। কচুর মুখি গুলো হাত দিয়ে ম্যাশ করে নিলাম।

ষষ্ঠ ধাপঃ
  • এখন আবার শুকনো মরিচ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে সবগুলো উপকরণ মেখে নিলাম।

সর্বশেষ ধাপ:
  • তারপর মেখে নেওয়া কচুর মুখী গুলো তেলের মধ্যে পাঁচ মিনিট ভেজে নিলাম। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম ও পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম।

মজাদার রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি।

GridArt_20230712_233848811.jpg

GridArt_20230712_233917704.jpg

GridArt_20230712_233905208.jpg

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা
@naimuu
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰
Sort:  
 last year 

কচুর মুখি ভর্তার খেতে খুবই মজাদার। ভর্তা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আজ আপনি খুব চমৎকার কচুর মুখি ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। ভর্তার তৈরিতে রসুনের ঘ্রাণ বেশ দুর্দান্ত। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year (edited)

হোসেনের কোষ ভেজে দেওয়ার ফলে সুঘ্রাণ একটু বেশি ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার মন্তব্য করুন উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

কচুর মুখী দিয়ে ভর্তা করে খেতে আসলেই অনেক মজা লাগে ।আমার আম্মু মাঝে মাঝে এ রেসিপিটি তৈরি করে। বিশেষ করে আঠালো ভাবটা একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে।

 last year 

আপনার আম্মু মাঝে মাঝে রেসিপিটি তৈরি করে। তাহলে তো আপনি অবগত আছেন রেসিপিটির টেস্ট সম্পর্কে।

 last year 

কচুর মুখি রান্না করে খাওয়া হয়েছে কিন্তু কচুর মুখী ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। যেকোনো ভর্তা গরম গরম ভাতের সাথে খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইউনিক একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার রেসিপি থেকে আপনি কিছু শিখতে পেরেছেন শুনে ভালো লাগলো। ইউনিক কিছু শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।

 last year 

কচুর মুখি রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভর্তা করলেও খেতে ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে যে কোন ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। এছাড়া ইলিশ মাছ দিয়ে এই কচুর মুখি রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

ভালোই বলেছেন গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যটির জন্য।

 last year 

শুকনা মরিচ ভাজি দিয়ে কচুরমুখি ভর্তা রেসিপিটি আমরা প্রায়ই খেয়ে থাকি।এছাড়া কচুরমুখি ইলিশ মাছ দিয়ে ‌রান্না করলে দারুণ টেস্টি খেতে হয়।কিন্তু আপনার রেসিপির ছবি দেখে মনে হচ্ছিল যেন আলু ভর্তা।ধন্যবাদ আপু ,টেস্টি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

শুকনো মরিচ ভাজি দিয়ে কচুর মুখে ভর্তা খুবই দারুণ হয় ‌ আর কচুর মুখে ভর্তা ও আলোর মুখে ভর্তা কালার একদম সেইম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

বাহ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু কচুর মুখির আমার অনেক প্রিয় একটি সবজি। তবে মাছের মধ্যে তরকারি হিসেবে খেয়েছি কিন্তু এভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আবার কচুর মুখির ডাল খেয়েছি ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আমার মনে হচ্ছে আপনার এই ভর্তা রেসিপিটি অনেক মজার হবে। একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।

 last year 

কচু মুখে আমারও একটু বেশি প্রিয় একটি সবজি। তরকারি হিসেবে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে আবার এভাবে ভর্তা করে খেলেও গরম ভাতের সাথে খুবই ভালো লাগে। যাই হোক আমার রেসিপি থেকে নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন শুনে ভালো লাগলো।

 last year 

মুখী আমার অনেক প্রিয় একটি সবজি। কিছুদিন আগে আমিও মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি পোস্ট করেছিলাম।যাই হোক, আপনি আজকে খুবই সুন্দর ভাবে মজাদার কচুর মুখী ভর্তা তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

কচুর মুখে দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপিটি আমার দেখা হয়নি আপনার। যাইহোক আসলে ভাইয়া এতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

চিমটি আপু। আমিও না আজ ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছি। তবে আমি করেছি কাঠাঁলের বিচি ভর্তা । অবশ্য কচুর মুখী ভর্তা খেতেও একটা অন্য রকমের স্বাদ লাগে। এভাবে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কচুর মুখী ভর্তা করলে তো তার স্বাদই আলাদা হওয়ার কথা। আর আপনি তো দেখছি প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে উপস্থাপনও করেছেন।

 last year 

উফ আপু বেশ ব্যথা পেলাম এত জোরে কেউ চিমটি দেয়? রসুনের কোষ,পেঁয়াজ, মরিচ ধনিয়া পাতা ইত্যাদি দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করলে আসলে বেশ সুস্বাদু হয়।

 last year 

কচুর মুখি আমার অনেক পছন্দ। তবে বেশিরভাগ সময় কচুর মুখি রান্না করে খাওয়া হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

সত্যি বলতে আমারও বেশিরভাগ সময় কচুর মুখে রান্না করা হয় এভাবে ভর্তা করা খুবই কম হয়। আপনার মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কচুর মুখে ভর্তা রেসিপি। আসলে এই রেসিপি যদি শুকনা ঝাল দিয়ে ভালোভাবে ভর্তা করা যায় তাহলে গরম ভাত দিয়ে খেতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আসলে এই রেসিপি খেতে আমি এবং আমার আব্বু বেশ পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আমার পছন্দের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনি আর আপনার আপু বেশ পছন্দ করেন রেসিপিটি শুনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আর ঠিক বলেছেন শুকনা ঝাল দিয়ে এ ভর্তা তৈরি করলে গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44