হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️ |
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো বগলির মজাদার রেসিপি😋। কলাগাছের ভেতরের সাদা অংশের সাথে সকলেই কমবেশি পরিচিত। এর নাম হলে বগলী বা আটিয়া। এটিকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এর কয়েকটি উপকারীতা হলোঃ
- এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- এটি শরীরের দূর্বলতা কাটায়।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
- বুগলী/আটিয়া
- চিংড়ি মাছ
- রসুন বাটা
- লবন
- মসুরের ডাল
- পেঁয়াজ কুঁচি
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচেরগুঁড়ো
- জিরে গুঁড়া
- প্রথমে চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে নিলাম। ও পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
- তারপর পাতিলের মধ্যে পেঁয়াজকুচি ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিয়ে দিলাম।
- তারপর পাতিলের মধ্যে রসুন বাটা ও মসলার উপকরণ দিয়ে দিলাম।
- এখন ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছগুলো পাতিলের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এবং মসুরের ডাল দিয়ে দিলাম।
- তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এবং বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।
- তারপর কেটে রাখা বগলে পাতিলের মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর মসলার উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিলাম।
- ১০ থেকে ১২ মিনিট পর্যন্ত এটা রান্না করে নিলাম এবং পরবর্তীতে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম ।
মজাদার রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি। |
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা |
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰 |
আচ্ছা, বুগলী/আটিয়া কী? হয়তো পরিচিত কোন একটি খাবারের নামটা আমার জানা নেই। তবে ফটোতে তেমন একটু ক্লিয়ার বুঝতে পারছি না। যদি জানিয়ে দিতেন তাহলে খুবই খুশি হতাম। তবে আপনার রেসিপিটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে, খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। রান্নার ধরনটা ছিল বেশ।
ভাইয়া আমি পোস্টে বলে দিয়েছি কলা গাছের ভেতরে সাদা অংশকেই বুগলী বা আটিয়া বলে। আর বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল মামার সাথে কথা বলতে পারেন। 😊
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই লোভনীয় সুস্বাদু এবং মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে যদিও এরকম ভাবে রেসিপি কখনো প্রস্তুত করা হয় নাই নাম ও নতুন ভাবে শুনলাম তবে প্রস্তুত প্রণালী দেখে জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে
বগলীর সন্ধান করে তৈরি করে ফেলুন এই নতুন রেসিপি। আশা করি আপনার কাছে খারাপ লাগবে না যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভকামনা রইল।
আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আসলে এই কলা গাছের সাদা অংশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর এর সাথে সাথে এটি যদি ডাল এবং মাছ দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে। আপনার রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
কলার বগলী আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটির জন্য শুভকামনা রইল।
বুগলি আমার তেমন একটা পছন্দ না। তবে আমাদের বাসায় সবাই খুব পছন্দ করে এটি। মাঝে মাঝে এটি বাসায় রান্না করা হয়। আপনি খুব সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ রেসিপি টি উপস্থাপন করেছেন। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেকেরই বুগলি পছন্দ না । যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আজকে আপনি প্রচুর ক্যালরি সম্পন্ন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এবং যেটি আমার খুবই প্রিয়। আর বিশেষ করে চিংড়ি এবং ডালের সমন্বয়ে এটি রান্না করলে আরো বেশি সুস্বাদু হয় ধন্যবাদ।
আমার এই রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শুভ কামনা রইল আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমার প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছিলেন,ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
কলার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই ডাক্তাররা পেট খারাপ হলে কলা খেতে সাজেস্ট করে ।তাছাড়া কলা অনেক শক্তি বর্ধক ।এবং আপনার এই রেসিপিও পোস্টে এই বিষয়গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়াটি খুব সুন্দর ছিল। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে।
আসলেই ভাইয়া কলায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক ডাক্তার এটি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কলা যে শক্তিবর্ধক তা আমি নিজেও জানতাম না। আপনার এই মন্তব্যের ধারা কিছু শিখতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
কলা যে শক্তিবর্ধক তা আমি কলার পুস্টি গুনাগুন থেকে জানতে পেরেছি
চিংড়ি ও ডাল দিয়ে কলার বগলী/আটিয়া রান্নার মজাদার রেসিপি দারুন হয়েছে গ্রামাঞ্চলে কলারে ভগলে অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমি তো প্রায় সময় এভাবেই রান্না করে খাই চিংড়ি দিয়ে বেশি মজা হয় আপু। আপনার রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আমি কি চলে আসবো আপনার বাড়িতে খাওয়ার জন্য।
গ্রামাঞ্চলে আসলেই কলার বগলী অনেক জনপ্রিয়। যদিও অনেকেই এটি পছন্দ করে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য শুভকামনা রইল।
কলার বুগলি আমার খুব পছন্দ। চিংড়ি মাছ দিয়ে মসুর ডাল দিয়ে রান্না করলে তো কোন কথাই নেই। আমি ও মাঝে মাঝে এভাবে রান্না করি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে কলার বুগোলি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কিছু জানতে পেরেছেন তা শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য শুভকামনা রইল আপু। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিও।
আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে থাকেন আপনার এই মজাদার রেসিপি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এভাবেই চেষ্টা করে যান প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি বরাবরই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। যাইহোক আপনার মন্তব্যটি দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।