দশের লাঠি একের বোঝা।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন
সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম।।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা !আজকে চারদিকে বেশ ঠান্ডা পড়ছে ঠান্ডার কারণে একেবারে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আসলে রোদ দেখা যাচ্ছে না বলেই এত বেশি ঠান্ডা লাগছে। আর যেহেতু আমি গ্রামে থাকি তাই একটু বেশি ঠান্ডা লাগে। চারদিকে হিমহিম বাতাস বইছে যার কারণে একটু বেশি ঠান্ডা লাগছে। এ অবস্থায় চারদিকে মানুষ অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছে । বিশেষ করে বয়স্ক এবং ছোট শিশুদেরকে বেশি আক্রান্ত হতে হচ্ছে । তাই যে যেখানে আছেন আশা করি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,সাবধানে থাকবেন।
আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি পোস্ট করব একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে। সেটা হলো দশের লাঠি একের বোঝা এই টপিকের উপর। ছোট্টবেলা এটি ভাব সম্প্রসারণ পড়েছি, কিন্তু দুদিন আগে নিজ চোখে দেখেছি।
বন্ধুরা দুদিন আগে আমি আমার এক আপুর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। আসলে আমি একা বললে ভুল হবে আমার ফ্যামিলির সবাই এবং আমার আন্টিরা সহ অনেকেই গিয়েছে। আপুদের বাসায় দাওয়াত ছিল।
আমি সকালে নাস্তা করে প্রায় সকাল দশটার দিকে গিয়েছি। যাওয়ার পরপর আপুর শশুর বাড়ির লোকেরা একে একে সবাই এসে আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করলো। কিছুক্ষণের ভিতরেই আপু আমাদেরকে নাস্তা খেতে দিল। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে নাস্তা করলাম।
আসলে প্রথমে খেয়াল না করলেও পরে খেয়াল করলাম আপু একা একা রান্না বান্না ঘর গোছানো ঝাড়ু দেওয়া আপু করছে। যার ইচ্ছে হচ্ছে হাতে হাতে একটা করছে বা করছে না। কিন্তু আপুতো ওই বাড়ির বউ না করে আর পারছে না। আমরাযে আপুর সাথে গল্প করবো কথা বলবো সে সুযোগটুকু পাচ্ছি না। এত মানুষের রান্না বান্না সব আপু একা একা করছে তাই।
যদিও আপু খুব ফাস্ট কাজ করে তাই সবার খুব একটা চোখে পড়ছে না। ওই বাড়িতে কিন্তু আপু একা না আপুর ননদ আপুর শাশুড়ি ছোট জা সহ অনেকেই আছে। আপুর জা আপুকে এটা ওটা এনে দিচ্ছে জাস্ট এতোটুক। কিন্তু আপু একা হাতে সবকিছু সামলাতে সামলাতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা।
এরপর আপু সবার জন্য খাবার দাবার রেডি করে প্লেট গুছিয়ে আপু গেল গোসল করতে। আপু গোসল করে রেডি হয়ে আসতে আসতে সবাই খাবার খেতে বসে গেল।আপু নামাজও পড়তে পারেনি ।নামাজ না পড়ে এগুলো এনে দিচ্ছে, সবাইকে খেতে বসাচ্ছে, একে ডাকছে ওকে ডাকছে। সবাইকে খাবার দিয়ে যখন সবার খাওয়া-দাওয়া মোটামুটি হয়ে আসছিল ,তখন আপু শুধুমাত্র দু-তিন লোকমা ভাত খেলো যা আমি নিজে দাড়িয়ে খেয়াল করছি। সবার খাওয়া শেষ হলে আপু সব হাড়ি পাতিল গুছিয়ে, প্লেট গুছিয়ে রেখে নামাজ পড়তে গেল। এরপর নামাজ শেষ করে এসে আপু হাড়ি পাতিল ধুতে গেল। তখন আমি হাঁড়ি-পাতিল ধুয়ে দিতে আপুকে সাহায্য করলাম ।যদিও আপু বারবার বলছিল লাগবে না লাগবে না।
হাড়ি পাতিল ধুয়ে শেষ করে আপু আবার সবার জন্য নাস্তা বানাতে গেল। এত মানুষের ভিতরে আপুকে একটা সেকেন্ডও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম না। আপু এত কাজের ভিতরেও কত হাসিখুশি ভাবে সকল কাজকর্ম শেষ করছে ,মনে হচ্ছে যেন আপুর কোন কষ্টই হচ্ছে না। এভাবে হাসিমুখে থেকে যেমন কাজ করে যাচ্ছে ,তেমন সবার সাথে হেসে বেড়াচ্ছে।
আমার আপু কাজ করছে আমার এখানে কষ্ট হচ্ছে না, কারণ কাজ সবাইকে করতে হয়। কিন্তু যেহেতু ঘরে আর লোকজন ছিল সবাই মিলে যদি হেল্প করত সবাই মিলে যদি একসঙ্গে কাজ করতো তাহলে অল্প কিছুক্ষণের ভিতরে খুব সহজে এগুলো হয়ে যেত। আপু একা এত কষ্ট হতো না। এমনিতে আপুর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা সবাই খুবই ভালো। আসলে এভাবে হাসি মুখে কলুর বলদের মত খাটতে পারলে সবার কাছে ভালো হওয়া যায়😁😥।
এসব কাজ যদি সবাই হাতে হাতে হেল্প করত ।কেউ রান্না করে দিচ্ছে, কেউ হাড়ি পাতিল ধুয়ে দিচ্ছে, কেউ খাবার এর জন্য সব রেডি করছে । কেউ নাস্তা রেডি করছে ।তাহলে কাজগুলো একেবারে সহজ হয়ে যেত ।একজনের উপর এত চাপ পড়তো না।
আপুকে দেখে আমার সেই ছোট্টবেলা ভাব সম্প্রসারণ এর কথা মনে পড়ে গেল দশের লাঠি একের বোঝা একেই বলে। যাইহোক ভুলতে পারছিলাম না আপু ওই দিনের কথা । ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি।
🛑আজ এই পর্যন্তই । আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সবার মধ্যে শেয়ারিং মনোভাব না থাকার কারণে আপনার আপুকে একাই কাজ করে যেতে হচ্ছে। ছোট থেকেই বাচ্চাদের শেয়ারিং মনোভাব তৈরি ও নিজের কাজ নিজে করতে হয়, সে শিক্ষা দিয়ে বড় করলে কেউ কাজ এড়িয়ে চলতোনা। অন্যের কাজে হাতে হাত লাগিয়ে সাহায্য করত। আপনার বোনের জন্য শুভ কামনা। লেখাটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আমরা দিন দিন শিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু সুশিক্ষিত হচ্ছি না।
আসলেই আপনার আপুকে যেভাবে কলুর বলদের মতো খাটায় উনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন, এতে করে আপনার আপুর সাথে সবাই ভালো ব্যবহার করবে, আর এটাই স্বাভাবিক। কয়েকদিন কাজ না করে আরাম করতে বলেন,তখন বুঝা যাবে উনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কতোটা ভালো। এতোটা ভালো হলে আপনারা এতো মানুষ যাওয়ার পর, আপুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন অবশ্যই সাহায্য করতো। তাহলে তো আপুর এতো কষ্ট হতো না এবং কাজও তাড়াতাড়ি করা হয়ে যেতো। আপুও ঠিকমতো নামাজ পড়তে পারতো এবং খাওয়া দাওয়া করতে পারতো। যাইহোক এখনকার বেশিরভাগ মানুষ আসলেই স্বার্থপর। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে সবাই স্বার্থপর নিজেরটাই বুজে শুধু।
কি বললেন এটা, কিছুই তো বুঝলাম না আপু😂।
🤣🤣