মুচমুচে ও সুস্বাদু আলু পাকোড়া।
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজকে সারাদিনই আবহাওয়া মেঘলা মেঘলা ও ঠান্ডা শীতল বাতাস। শীতেও বৃষ্টি হচ্ছে । মনে হচ্ছে বৃষ্টিটা কেটে গেলেই ঠান্ডা খুব জোরেশোরে পড়বে । এই ঠান্ডা দিনে গরম গরম পাকোড়া খেতে খুবই ভালে লাগে৷ তাই পাকোড়া রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম।
রেসিপিটি হলো মুচমুচে ও সুস্বাদু আলু পাকোড়া রেসিপি😋। এটি পারফেক্ট ভাবে তৈরি করতে পারলে রেসিপিটি টেস্ট বোঝা যায়। রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো৷ তাই এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিতে যাওয়া যাক।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
---|
- আলু- বড় ২টি
- আটা
- চালের গুঁড়ো
- হলুদের গুঁড়ো
- মরিচের গুঁড়ো
- জিরার গুঁড়ো
- পেঁয়াজ কুঁচি
- কাঁচামরিচ
- লবন
- তেল
- প্রথমে আমি একটি পিলার দিয়ে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর একটি গ্রেটারের সাহায্যে আলুগুলোকে গ্রেট করে নিলাম ।
- এখন গ্রেট করে নেওয়া আলু গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিলাম।
- এখন আলুর সাথে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচ কুচি, হলুদের গুঁড়ো ও মরিচের গুড়ো দিয়ে দিলাম।
- এখন ডিম ভেঙে দিলাম চাউলের গুড়ো ও আটা সামান্য পরিমাণে দিলাম।
- তারপর পরিমাণ মতো লবণ ছিটিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
- চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম ও পাতিলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে আসলে আলুর ডো থেকে গোল গোল করে পাকোড়া সেফ করে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- আলো গুলো ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার পর তেল ঝরিয়ে আলাদা করে নিয়ে নিলাম।
রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
মুচমুচে ও সুস্বাদু আলু পাকোড়া অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। তেলে ভাজা খাবার গুলো আমার ভীষণ পছন্দের। আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলুর পাকোড়া তৈরির রেসিপিটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের আলুর পাকোড়া খেতে খুবই মজাদার লাগে। আলুর পাকোড়া তৈরিতে ডিম দেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। তবে এ ধরনের তেলেভাজা পাকোড়া গ্যাস্টিকের সমস্যা যাদের আছে তাদের না খাওয়াই ভালো। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার আলুর পাকোড়া গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।পরিবেশটাও খুবই সুন্দর ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হায়রে আপু কি যে করেন না। এমন করে কেউ মজাদার খাবার মুখের সামনে ঝুলিয়ে রাখে। বেশ স্বাদও ছিল মনে হয় আপনার তৈরি করা পাকোড়া গুলো। আপনার উপস্থাপনা দেখে তো আরও বেশী বেশী খেতে মনে চাচ্ছে। সব মিলিয়ে দারুন ছিল আপনার রেসিপিটি।
ঠিকানা দিন আপু আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনার জন্য একটি পার্সেল।
কেমন হয়েছে রিভিউ দিবেন আমাকে।
আসলে আপু এমন রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি আপু এই পাকোড়া গুলো সকাল বা বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে অনেক মজার। আপনি পাকোড়া তৈরি করেছেন আগে বললে চলে যেতাম হা হা হা। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপু মুচমুচে করে আলু পাকোড়া করেছেন দেখছি অনেক লোভনীয় লাগছে। ফাস্টফুড খাবার আমি এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দ করি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে এ রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
খেতে ইচ্ছে করলে অবশ্যই ঝটপট তৈরি করে ফেলুন ভাইয়া।
আবহাওয়া মেঘলা হওয়ায় কিন্তু এই রেসিপিগুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি তো আজকে দেখছি ঠান্ডা দিনে গরম গরম পাঁকুড়া তৈরি করেছেন। আপনার তৈরির মাধ্যমটি অনেক সুন্দর ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই এমন ঠান্ডা আর বৃষ্টিময় দিনে গরম গরম আলুর পাকোড়ার স্বাদ পুরোই অন্যরকম হবে ৷ এমন ওয়েদারে এসব খাবার খেতে ভীষন ভালো লাগে ৷ দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ এমন ঠান্ডা আর বৃষ্টিময় ওয়েদারের সাথে বেশ মানিয়েছে ৷ আপনার তৈরি রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন মজাদার একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
এমন ঠান্ডা আর বৃষ্টিময় দিনে গরম গরম আলুর পাকোড়ার স্বাদ পুরোই অন্যরকম হবে ৷ এমন ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদারে এসব খাবার খেতে ভীষন ভালো লাগে ৷
আজকে কয়েকদিন বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টির মধ্যে এ ধরনের রেসিপি দেখে লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন। ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে এই ধরনের আলুর পকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
বৃষ্টিতে এমন মুচমুচে পাকোড়া খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.