আমাদের চাহিদা//আয়ের অধিক ব্যয়।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা,উপস্থিত হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরব ।

image.png

উৎস

আমার আজকের পোষ্টের বিষয়বস্তু হচ্ছে আয়ের অধিক ব্যয় করোনা

আসলে বর্তমান সময়ে আয় করাটাই যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে ব্যয় করা তো দূরের কথা। প্রতিটি মানুষই অর্থ উপার্জন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তবে কেউ হয়তো বেশি অর্থ উপার্জন করছে কেউ হয়তো কম। কিন্তু অনেকে ই মাথায় রাখে না যে তার আয়ের উৎস কতটুকু এবং কি পরিমান খরচ করা প্রয়োজন। আমার কাছে মনে হয় যে মানুষ যত বেশি অর্থবিত্ত তার সুখ কেনার ক্ষেত্রে তত বেশি খরচ। বুঝলেন না তো,,, ঠিক আছে বুঝিয়ে বলছি। আমরা যখন ছোটবেলায় ছিলাম তখন আমাদের হাতে কেউ দশ টাকা দিলে প্রচুর পরিমাণ খুশি হতাম। দিন যতই যাচ্ছে তত আমরা অর্থের পেছনে ছুটছি, এখন যদি আমাদের হাতে কেউ এক হাজার টাকার একটি নোট দেয় সেই ১০ টাকা পাওয়ার আনন্দ টুকু এখন এক হাজার টাকা পাওয়ার আনন্দের মতো হয় না। কারণ বর্তমান সময়ে অর্থের মূল্যটা খুবই কম।

যদিও অর্থ উপার্জন অনেক কঠিন। এই অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মানুষকে কতই না শ্রম দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই শ্রমের টাকা খরচ করার বেলায় কিছু মানুষ মনেই থাকে না যে কতটা কষ্টে থাকে এই টাকাও উপার্জন করতে হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা দিনে যত টাকা তো উপার্জন করে ঠিক তত টাকাই খরচ করে ফেলে। কারণ তারা জানে আজকে যা মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে নিয়েছি কাল ঠিকই আবার কারো না কারো কাছ থেকে হাত পেতে নিয়ে নেব তাই আজকের দিনটাকেই ভালোভাবে উপভোগ করে ফেলি। এতে করে দেখা যায় তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছে। নিজে উপার্জন না করে অন্যের কাছ থেকে যতটুকু পেয়েছে তার কিছু অংশ যদি জমিয়ে রাখতো তাহলে হয়তো নিজেই ভালো করে পজিশনে যাওয়ার সক্ষমতা রাখত। কিন্তু তারা তা না করে একইভাবে দিন কাটায় এবং তাদের দিন এভাবেই চলতে থাকে। খুব কম সংখ্যক মানুষই নিজের পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।

অর্থ উপার্জন করাটা কতটা কষ্টের সেটা শ্রমজীবী মানুষটাই ভালোভাবে জানে। প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ চাহিদা থেকে কিছুটা হলেও সংকীর্ণ হয়ে আসলে তাই বুঝি ব্যয় করতো। যে মানুষ আজ দশ হাজার টাকা ইনকাম করছে সে কিন্তু এই 10 হাজার টাকা দিয়েই দিব্যি সংসার চালিয়ে দিচ্ছে। একই মানুষ যদি এক লক্ষ টাকা ইনকাম করে মাস শেষে দেখা যাবে এই এক লক্ষ টাকায় খরচ হয়ে গেছে।। কেননা তার উপার্জনের সাথে সাথে চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকের দেখা যায় লাগামহীন চাহিদা বেড়ে যায়। কিছু মানুষ ভাবে যে আমি তো আয় করছি এখন বেশি খরচ করলেও সমস্যা নেই তাই সে আয়ের অতিরিক্ত খরচ করে ফেলে। একসময় দেখা যায় এই অতিরিক্ত খরচের কারণেই সে বিপদে পড়ে যায়। তাই আই যেমনই হোক মানুষ তাদের চাহিদাটাকে কিছুটা হলেও সংকীর্ণ করা উচিত।

আজ এই পর্যন্তই। আশাকরি সকলেই বিষয়টি বুজতে পেরেছেন। ভু্ল হলে ক্ষমাশীলব দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা
@naimuu
❣️❣️ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য।❣️
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আপু খুব সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে টাকা উপার্জন করতে যে কত কষ্ট তা একমাত্র শ্রমজীবী মানুষই জানে। আসলে টাকা পরিশ্রম করাটা সবচেয়ে কঠিন কাজ অনেকে টাকা হাতে ফেলে খুব সহজে খরচ করে ফেলে ভবিষ্যতের কোন ভালো মন্দের কথা চিন্তা করে না। সাধারণ মানুষদের কোনভাবে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করা উচিত নয়। চাহিদা যত বেশি থাকুক না কেন তা সংকীর্ণ করা উচিত । এত সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

যারা টাকা উপার্জন করে তারাই একমাত্র কষ্ট বোঝে। আমাদের আয়ের টাকা সামান্য পরিমাণ হলেও সঞ্চয় করা প্রয়োজন। আয়ের থেকে ব্যয় যেন কখনোই বেশি না হয়।

 last year 

যারা উপার্জন করে তারাই একমাত্র জানে দুটো টাকা রোজগার করতেও কত কষ্ট করতে হয়। আবার এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক আছে যারা টাকার মূল্য বোঝে না যা আয় করে তার পুরোটাই ব্যয় করে ফেলে। পরদিন কিভাবে চলবে এটা তারা চিন্তা করে না। খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আরো উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

এখন তো সমাজের দিকে তাকালেই দেখা যায় সবার চাহিদা গুলো দিন দিন বেড়েই চলছে। মাসে একদিন হলেও লং টুরে যেতে হবে, রিসোর্টে থাকতে হবে, বড় বড় চাইনিজে খেতে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যদি এসব চাহিদা কে সীমিত করা যেত তাহলে কত স্বচ্ছন্দেই না থাকা যেত। আবার তো এখন ঘরে ঘরে খাওয়ার টেবিলে কয়েক পদের খাবার না হলে স্ট্যাটাস থাকে না। এ মানুষিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা দরকার।

 last year 

আমাদের চাহিদাগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা রাশ না করলে আমাদের পরবর্তী অবস্থা আরো শোচনীয় হবে।

 last year 

আপনি কিন্তু সমসাময়িক আলোচনাটা অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মানুষের আয় যেমন তেমনি ব্যয় আপনি যথার্থই বলেছেন। মানুষ যত বড় হতে থাকে তখন চাহিদাও বড় হতে থাকে। সেটা মানুষের বয়সের ক্ষেত্রে কিংবা ইনকামের ক্ষেত্রে দুইটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বড় হলে মানুষের চাহিদা ও বেড়ে যায়। তাছাড়া মানুষের ইনকাম বেড়ে গেলে চাহিদার ধরনের পরিবর্তন হয়। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার আলোচনা আমার কাছে।

 last year 

আমাদের সকলের চাহিদাগুলোকে সীমিত করতে হবে। আয় এর ভিতর নিজেদের ব্যয় করতে হবে। আয়ের ঊর্ধ্বে যেন আমাদের ব্যয় না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

 last year 

আপু আপনার আজকের ব্লগের বিষয়টা দারুন ছিল। একটা মানুষ যত পায় তত চাই। যে যত টাকাই ইনকাম করুক না কেন তার শর্ট থাকে। ১০ হাজার ইনকাম করলে শর্ট আবার এক লাখ টাকা ইনকাম করলেও শর্ট। যত ইনকাম তত চাহিদা। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 86273.50
ETH 3305.14
USDT 1.00
SBD 2.81