হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️ |
- শুভ সকাল সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে গেলাম। কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সাথে যে পরিমাণ শীত পড়ছে 🥶।
যাই হোক ভাবলাম সকাল সকাল পোস্টটা করে ফেলি। শীতকালের দিনের সাথে তাল মিলিয়ে পাওয়া যায় না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো চিংড়ি দিয়ে কচুর লতির মজাদার রেসিপি😋। এটি খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামে কচুর লতি একটু বেশি পাওয়া যায়। পাশাপাশি পুকুরে চিংড়ি মাছের অভাব নেই।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
- কচুর লতি
- চিংড়ি মাছ
- লবন
- রসুন বাটা
- পেঁয়াজ কুঁচি
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচেরগুঁড়ো
- জিরে গুঁড়া
- সরিষার তেল
- প্রথমে আমি চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম পাতিলটা গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে দিলাম।
- এখন পাতিল এর মধ্যে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিলাম। পেচকুচে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
- এখন পাতিল এর মধ্যে হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, রসুন বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
- তারপর চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম। এবং মসলার উপকরণ গুলোর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
- তারপর পাতিলের মধ্যে দুই কাপ পানি দিয়ে দিলাম।
- এখন পরিষ্কার করে রাখাল লতির টুকরোগুলো পাতিলে দিয়ে দিলাম।
- তরকারির ঝোল ঘন হয়ে আসলে এবং লতি নরম হয়ে আসলে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
মজাদার রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি। |
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা |
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰 |
আপু বাসায় আসবো কিনা তাই আগে বলেন😜।চিংড়ি দিয়ে লতির রেসিপি বেশ,দারুণ হয়েছে।কালারটাও বেশ সুন্দর এসেছে। কচুর লতি দিয়ে ইলিশ খেতেও ভালো লাগে আমার কাছে।
প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আপু দ্রুত চলে আসুন নোয়াখালী। বাড়িতে আমি আর শুধু আম্মুই থাকে। বিন্দাস মুডে এখানে থাকতে পারবেন। আমারও একা একা বোর লাগছে। কচুর লতির অভাব নেই এবং পুকুরে চিংড়ি মাছের অভাব নেই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম ঠিক বলেছেন আপু শীতের দিনে কেন যেন সময়ের সাথে পেরে ওঠা যায় না। বিশেষ করে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর কখন যে সন্ধ্যা হয়ে যায় বোঝাই যায় না। যাই হোক গ্রামের আশেপাশ থেকে কচুর লতি নিয়েছেন তাহলে এই লতিগুলো খেতে মনে হয় অনেক বেশি সুস্বাদু। তাছাড়া একদম কুঁচো চিংড়ি দিয়ে কচুর লতি রান্না করেছেন। কুঁচো চিংড়িগুলো এমনিতেই খেতে ভালো লাগে। তাছাড়া আপনার রান্নার পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
সকালে তো ঠান্ডার জন্য কম্বলের নিচ থেকে বের হওয়া যায় না। গ্রামে নয়টা, দশটা পর্যন্ত কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যায় না। দুপুরের তোর তো মনে হয় সময় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ☹️
যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালে দিন ছোট হওয়াতে একটু অসুবিধা হয় বটে, তবুও ভালোই লাগে শীতকালে। চিংড়ি দিয়ে কচুর লতি আমার সবথেকে প্রিয় তরকারির মধ্যে একটি। খেতে ভীষণ সুস্বাদু, আর কচুর লতির পুষ্টিগুণ অনেক। তাই এই তরকারিটা আমার কাছে বেশ মূল্যবান। খুব দারুন উপস্থাপনা করেছেন আপু। দোয়া রইল।
ঠিক বলেছেন দিন ছোট হলেও ভালই লাগে শীতকাল। তবে সত্যি বলতে শীতকালে সোয়েটার পরে স্টাইল করতে ভালো লাগে 🤣🤣।
শীতের দিন খুবই সংকীর্ণ রাতটা অনেক বড় ঠিকই বলেছেন আপনি দিনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুব কষ্ট করে এখন। চিংড়ি মাছ খেলেও এলার্জির সমস্যা কত লতি খেলেও এলার্জির সমস্যা এজন্য এ ধরনের খাবার থেকে আমি সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করি।। তবে আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখতে কিন্তু খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হবে।।
এলার্জি সমস্যা থাকলে লতি এবং চিংড়ি দুটো থেকেই দূরে থাকা উচিত। যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কচুর লতির সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে এটি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর লতিগুলো দেখে মনে হচ্ছে একদম ফ্রেশ আর নিজস্ব ক্ষেতের লতি। যাইহোক রান্নাটা দারুন হয়েছে। তবে এটা ঠিক বলেছেন শীতের দিনের সাথে তাল মিলিয়ে উঠা যায় না। কারণ সকাল হতে হতে যেন বিকেল গড়িয়ে যায়। কাজ হাতে উঠে না। ভালো লাগলো আপনার আজকে রেসিপিটি।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন একদম ফ্রেশ এবং নিজেদের খেতের লতি। আর ঠিক বলেছেন আপনি আপু শীতকালে দিনের সাথে তাল মিলিয়ে পাওয়া যায় না। কখন যে সকাল হতে হতে বিকেল গড়িয়ে যায়।
আপু সকাল সকাল খুবই মজার রেসিপি শেয়ার করে দিলেন। আমার কাছেও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি আমাদের মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কচুর লতির রেসিপি গরম ভাতের সাথে লেবু দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বেশ ভালো বলেছেন আপু লেবু দিয়ে গরম ভাতের সাথে কচুর লতি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কচুর লতি ডাল দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।চিংড়ি দিয়ে এভাবে খাওয়া হয়নি কখনো।আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপি টি খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্যে।
আপনি দেখছি আমার মত, আপু কচুর লতি রান্না করার পর ডাল দিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক সুন্দরভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি যাতে সকলে বুঝতে পারে। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি দিয়ে কচুর লতির মজাদার একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে কচুর লতি যে কোন মাছ দিয়ে রান্না করলেই সেটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আমিও বেশিরভাগ সময় প্রচুর লতি চিংড়ি মাছ দিয়েই খেতে পছন্দ করি।
কারণ লতির সাথে চিংড়ি মাছটা একটু বেশিই যায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে শুভকামনা রইল।
বাহ্!আপু কচু লতির রেসিপি দেখে আমার জিহ্বে জল এসে পড়লো। লোভ যেন আর সামলানো যাচ্ছে না🤤।রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর। আসলে গ্রামে এ লতি বেশি পাওয়া যায়। যাই হোক আপনার বানানো রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সত্যি বলতে মাছ-মাংসের থেকেও এমন তরকারি বেশি পছন্দ আমার। গ্রামে প্রচুর পরিমাণে লতি পাওয়া যায়। সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হয় বাজারের লতির চেয়েও বেশি সুস্বাদু হয় এগুলো।