অতিথী আপ্যায়ন।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন
সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম। বেশ কিছুদিন আগে আমার ননদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পর তার শশুর বাড়ি থেকে কিছু মেহমান আসে। অতিথি আসলে সবারই ব্যস্তময় দিন কাটে। সে ব্যাস্তময় দিনটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
মেহমানরা প্রায় বারোটার দিকেই চলে এসেছে। তাই তাদের জন্য শরবত প্রস্তুত করেছিলাম। এখন কিন্তু রাতে ও সকালে প্রচুর ঠান্ডা পড়লেও দিনে প্রচুর গরম পড়ে। তাই সামান্য ঠান্ডা শরবত প্রশান্তি এনে দেয়। সবাইকে শরবত দেওয়া ফাঁকে ফাঁকে সব মহিলারা একটু একটু দুষ্টামিও করেছে, কথাবার্তা ও গল্পগুজব করেছে । শরবত দেওয়ার পরপরই তাদের জন্য নাস্তা রেডি করা শুরু করলাম। ফলের মধ্যে আপেল আঙ্গুর কমলা আনার রেডি করলাম। হাতেরও সামান্য কিছু নাস্তা রেডি করা ছিল। ডিমের পান্তুয়া পিঠা, সুজির পিঠা, নুডুলস, নুডুলস পাকোড়া রেডি করেছিলাম। আর সাথে ছিলো রসমালাই।
নাস্তা দেওয়ার পর সবাই নামাজ পড়ে পেলে। তারপরপরই আমরা দুপুরের খাবারের আয়োজন শুরু করলাম। ছিল পোলাও,মুরগির রোস্ট, মাছ, মাংস, মুরগি, ডিম, সস, বর্তা ও সবজি। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর সবার মাঝে আবার মিষ্টি বিতরণ করলাম। আসরের পর আমার ননদ কে নিয়ে সবাই আবার তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বিয়ে হওয়ার পর বাড়িতে বেশ কিছু মেহমান ছিল। তাই তেমন একটা সময় হাতে ছিল না। যতটুকু সম্ভব ছিল ততটুকুই করেছি । যাই হোক আপনাদের সকলের দাওয়াত রইলো আমার বাড়িতে।
🛑আজ এই পর্যন্তই । আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
আমি জান্নাতুল নাঈম। আমার ইউজার আইডির নাম @naimuu. আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি। বাংলায় লেখালেখি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। ব্লগিং করতে আমার বেশ ভালো লাগে। বাংলায় লেখালেখি পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি অর্থাৎ ইউনিক রেসিপি তৈরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ অর্থাৎ আঁকাআকি করতেও ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি আমার অনেক বড় একটি সখ। আমি পড়াতে বেশ ভালোবাসি। স্টুডেন্টদের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক আমার। নিজের সুপ্ত প্রতিভা গুলো প্রকাশ করার জন্যই মূলত ব্লগিং করি।
শশুর বাড়ি মেহমান বলে কথা আদর করতেই হবে। যার কারণে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তাদের আদর যত্ন করলেন। প্রথমে শরবত দিয়ে শুরু করলেন। আসলে আপনার পরিবেশনগুলো অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন আর রেসিপিগুলো ফটোগ্রাফি দেখেই খুবই ভালো লেগেছে আমার ।
জিজি ভাই একদম ঠিক বলেছেন শ্বশুরবাড়ির মেহমান বলে কথা আদর তো করতেই হবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমি জানি নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষজন বেশ অতিথি আপ্যায়ন করতে পারে।
আমি নিজেও বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে বেশ অতিথি পরায়ণতা পেয়েছি। অতিথিদের দেয়া নাস্তাগুলোর মধ্যে পানতোয়া ডিমের পিঠাটা আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ এটা খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। প্রথম প্রথম আমি সত্যিই অবাক হতাম এই পিঠার ভিতরে কিভাবে ডিম দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আমার স্ত্রী এবং শাশুড়ির কাছ থেকে দেখে নিয়েছিলাম যে এই পিঠার মূল রহস্যটা কি। যাইহোক অনেকগুলো খাবার চোখের সামনে দেখে এত রাতে খিদে পেয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু চমৎকার অতিথি আপ্যায়নের বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে পোস্টটি উপস্থাপনা করার জন্য।
নোয়াখালী তেভাগ কুমিল্লায় আসা হলে আপনার অবশ্যই ছিলাম যোগাযোগ করবেন ভাইয়া। সত্যিই আপনাকে আমন্ত্রণ জানাই।
আচ্ছা আপনাদের বাসা কোথায় নোয়াখালী..?? না,আত্মীয়তা তাহলে তো দেখতে নোয়াখালীতেই পড়তে হবে আসলে ব্যাপারটা মাথায় থাকে হাহাহা। যাই হোক অতিথি আপ্যায়ন দেখে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগলো। ননদের বিয়ের পরে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু অতিথি এসেছিল আপনাদের বাসায় বেশ ভালোভাবেই তাদেরকে আপ্যায়ন করেছেন, অতিথি আসলে বাসার সকলেই একটু ব্যস্ত সময় পার করে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে অতিথি আপ্যায়নের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
জি ভাইয়া আমার বাড়ি নোয়াখালীতে। চলে আসবেন ভাইয়া দাওয়াত রইলো আপনার।
বাহ আপনি তো দেখতেছি ননদের শশুর বাড়ির লোকদেরকে খুব সুন্দর করে আপ্যায়ন করেছেন। তবে কিছুদিন আগে রাতে ঠান্ডা দিনে একটু গরম পড়েছে। তবে মেহমানদের জন্য অনেক ধরনের নাস্তা আয়োজন করেছেন। আর নতুন মেহমান আসলে অনেক ধরনের নাস্তা আয়োজন করে থাকে। তবে মেহমদের সাথে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। এবং মেহমানগণ মনে হয় খুব খুশি হয়েছে আপনাদের উপর আপ্যায়ন দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নতুন মেহমান আসলে আয়োজন এরকমই থাকতে পারে না। মেহমানরা আসলে হাসিখুশি তাদের সাথে সময় কাটাতে ও ভীষণ ভালো লাগে।।
ওরে বাপরে, এত খাবার-দাবারের আয়োজন করেছেন আপু! কোন কিছুই তো বাদ দেননি যা দেখছি। হাতে সময় নেই তাই এত খাবার তৈরি করেছেন, আর হাতে সময় থাকলে কি কি তৈরি করতেন, সেটাই চিন্তা করছি আমি🤔। যাইহোক, আপনার দাওয়াত গ্রহণ করলাম আপু, তবে কোনদিন দাওয়াত রক্ষা করতে পারবো কিনা জানিনা।
চেষ্টা করবেন দাওয়াত গ্রহণ করার ভাইয়া। বাংলাদেশে আসতে অবশ্যই আমাদের নোয়াখালীতে ঘুরে যাবেন। এখানে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরবেন এবং আমাদের বাড়িতে অবস্থান করবেন আশা করি।
ঠিক আছে আপু, এর পরের বার বাংলাদেশে গেলে আপনাদের শহরে যাওয়ার চেষ্টা করব।
আপু সত্যি বলতে আপনার খাবারগুলো দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। বিশেষ করে আপনার পাকোড়াগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনার রান্নাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটি দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আশা করি সব সময় এমন উৎসাহ মূলক মন্তব্য করবেন