প্রতিযোগিতা -০৬ //বর্তমান অথবা বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য //মৃৎশিল্প
হ্যালো বন্ধুরা ।
কেমন আছেন আপনারা সবাই ??
আশা করি সকলে সুস্থ এবং ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এবারের প্রতিযোগিতাটি হলো বর্তমান অথবা বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য। আর আজকে আমি আমার এলাকার বিলুপ্তির পথে যাওয়া মৃৎশিল্প নিয়ে আলোচনা করব।
তো চলুন শুরু করা যাক:
বাড়ি তৈরি জিনিসপত্র একসময় ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দিন দিন এর চাহিদা প্রায় কমে আসছে।
মৃৎশিল্পের সামগ্রী তৈরি করার জায়গাটি আমার বাসা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে আমি সাইকেলে করে গিয়েছিলাম।
আজকে আমি সেখানে সকালবেলা গিয়ে ছিলাম আর আজকে ছিল হাটের দিন। এই দিনে মাটির জিনিসপত্রগুলো বিক্রি করার জন্য দোকান বসানো হয়। আমি একজন কুমারের বাসায় গেলাম এবং সে সময় তিনি ছোট কলসি তৈরি করছিলেন আমি সেগুলোর ছবি তুলে নিয়েছিলাম। আমি তার ছোট একটি কলসি বানা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কি সুন্দর হাতের কারুকার্যের মাধ্যমে তিনি একটি মাটির মন্ডকে কলসিতে পরিণত করলেন।আগে এই এলাকায় ১০থেকে ১৫ টি বাড়ি ছিল।
কিন্তু যত সময় সামনের দিকে যাচ্ছে তত বাড়ির সংখা কমে যাচ্ছে। বর্তমানে মাত্র দুই থেকে তিনটি বাড়ি রয়েছে এলাকায়। তারা শুধুমাত্র দিন যাপন করার জন্য এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।তারা ছোট থেকে এই কাজ শিখে এসেছে অন্য কোন কাজ করতে পারেনা বলেই এখনও এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের সাথে কথা বললাম। তারা জানালেন তাদের মৃৎশিল্প থেকে খুব একটা লাভ হয় না।
বর্তমানে মাটি এবং মাটি পোড়ানোর সামগ্রিক দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তাদের বর্তমানে খুব একটা লাভ হচ্ছে না আর বিক্রিও সেরকম ভাবে হয় না। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে আমাদের এটিকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। এটি কালক্রমে হারিয়ে যাবার আগেই এর ব্যাপক প্রচার এর মাধ্যমেই এই সংস্কৃতি তাকে ধরে রাখা সম্ভব। না হলে অদূর ভবিষ্যতে এটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আজ এ পর্যন্তই আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ততক্ষন পর্যন্ত সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকবেন।
বাংলার মানুষের হাতের তৈরি শিল্প সাংস্কৃতি বিলুপ্ত প্রায়। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সেগুলো দেখতে পেলাম।খুবই সুন্দর হাতের কারুকাজ। অনেক সুন্দর পোস্ট।
আমি দাঁড়িয়ে থেকে তৈরি করা দেখছিলাম খুবই ভাল লেগেছিল আমার। এগুলো ভবিষ্যতের ছেলেমেয়েরা আর হয়তোবা দেখতে পারবেনা।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য
এখন তো এগুলো আর দেখাই যায় না। ভালো লাগল দেখে।
হ্যা ভাই।
আমাদের এখানেও আর অল্প কিছু বাড়ি আছে। এগুলো মনে হয় থাকবে না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানের প্রেক্ষাপটে এই সব কিছু এখন দেখাই যায় না।আপনি সেই সব বিলুপ্তীপ্রায় আসবাসামগ্রী তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।আপনার জন্য অভিন্দন রইল ভাই
হ্যা ভাই।এই মৃৎশিল্প ধরে রাখতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য।
আপনার তুলে ধরা হাতের কাজ মাটি দিয়ে পাতিল তৈরির কাজটা একদম বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে।বর্তমান এর কদর অনেকটা কমে গেছে।বিভিন্ন স্টিলের আসবাব পত্রের কারণে মাটির তৈরি জিনিস পত্রের কদর কমে গেছে।অথচ এই মাটির পাতিলে ভাত খেয়েই আমাদের পূর্ব পুরুষ রা জীবন যাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা ভাই।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই।আগে এগুলোর অনেক ব্যবহার ছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।