হারিয়ে যাওয়া মৃৎশিল্পী -১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
শনিবার | বসন্তকাল
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
আমি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ থেকে বলছি
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমাতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমাতে অনেক ভালো আছি। যারা গ্রামের বাড়িতে বড় হয়েছেন তারাই জানেন গ্রামে বাংলার খেলা দুলার ব্যাপারে। ছোট কালে যে কতো ধরনের খেলা দুলা করেছি সে গুলো বলতে গেলে অনেক কথা। যাইহোক বেশি কিছু বলবো না। শুধু একটা খেলার কথাই আপনাদের কাছে শেয়ার করবো।
আপনাদের মাঝে আমি বরাবরই গ্রাম বাংলার কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফির পোস্ট করছিলাম। গ্রামে আমি প্রায় দীর্ঘদিন ছিলাম। গ্রামের অনেককিছুই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আজকে আমি ভিন্ন এক ধরনের জিনিস শেয়ার করব।আপনাদের অনেকের কাছেই হয়তো অনেক ভালো লাগবে। কারন গ্রামবাংলায় থাকতে ছোটকালে এই কাদামাটি নিয়ে আমরা অনেকেই খেলাধূলা করেছি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই গ্রামবাংলার ছোট কালের কাদা মাটি নিয়ে খেলা দুলা করার কিছু আনন্দ ময় মুহূর্ত শেয়ার করবো।
কাদা মাটির তৈরির চুলাটা কিন্তু বেশ ভালোই সুন্দর দেখাচ্ছে। বিশেষ করে এটা তৈরি করতে কিন্তু খুবই পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি আগে দেখতাম আমার মা আগে চুলা বানাইতো খুবই সুন্দর হইতো।অনেক সাদনা কষ্ট করে এই চুলা বানাইতে হয়। আপনারা জানেন গ্রাম বাংলার মানুষ এই চুলায় রান্না বান্না করে।আর মাটির তৈরি চুলায় রান্না করলে সেটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয় শহরের তুলনায়।
কাদা মাটি দিয়ে ছোট বেলায় অনেক খেলা দুলা করতাম।
সেই দিন গুলো আর ফিরে আসবে না।তবে ফিরে না আসলেও আমি সেদিন গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ছোটদের নিয়ে অনেক খেলাধূলা করেছি। এই কাদামাটি দিয়ে খুবই ভালো লেগেছে খেলা দুলা করতে।বিশেষ করে কাদা মাটি দিয়ে অনেক কিছুই বানান যায়। তো এখানে আপনারা দেখতে পারছেন একটি গোলাপ ফুল বানানো হয়েছে কাদা মাটি দিয়ে। ছোট বেলায় যেমোন কাদা মাটি দিয়ে সুন্দর করে অনেক কিছুই বানাতে পারতাম। কিন্তু আগের মতো আর সুন্দর করে বানাতে পারি না। যাইহোক আপনারা অবশ্যই বলবেন কেমন হয়েছে কাদা মাটির তৈরি গোলাপটি।
আপনারা যারা এই গ্রামের বাড়িতে থেকেছেন। তারা অবশ্যই ছোটবেলায় এমন কাদামাটি দিয়ে খেলাধুলা করেছেন। ছোটবেলায় কাদামাটি দিয়ে সবাই মিলেমিশে খেলাধুলা করতে আনন্দই অন্যরকম। ছোটবেলায় আমরা কাদামাটি দিয়ে আরেকটা খেলাধুলা করতাম সেটা ঠাস ঠুস খেল । এই ঠাস ঠুস খেলাটা খুবই আনন্দ বয়ে আনে। মোট কথা কাদা মাটি দিয়ে যতো ধরনের খেলা আছে সব থেকে আমার কাছে এই ঠাস ঠুস খেলাটা পছন্দের। যাইহোক আজকে আর আমি কথা বারাইতে চাই না এ পর্যন্তই।
আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা রইলো। আমার মধ্যে যদি কোন ভুল হয় তবে সবাই আমাকে ক্ষমা করবেন।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের সুস্থতা কামনা রেখে আজকে আমার লেখা শেষ করছি আলহামদুলিল্লাহ।
Name :@mustafiz
Device :Vivo AI2Y
Photography : mobile photo
❤️ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ❤️
সত্যিই মৃৎশিল্প গুলো হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে। আমি গ্রামে বাস করি আজকাল গ্রামেও সবকিছু ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সবাই আধুনিকতার সবার দিকে সম্মুখীন হচ্ছে। আর আমরাও ছোটবেলায় কাদামাটি নিয়ে খেলা করতাম। আর একটু ঝগড়া হলেই কাদা দিয়ে ঢিল ছোড়া খেলতাম। সেই স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন কাদা ছুরা ছুরি খেলতাম খুবই ভালো লাগদো।
ভাই আপনি খুবই সুন্দর একটি কারুকাজ সম্পন্ন করেছেন। মৃৎশিল্প দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো ধরে রাখার প্রয়াসে আপনার এই কাজটি অনেক কার্যকরী। মাটি দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে চুলা বানিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই চুলা ধাপে ধাপে বানিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও ছোটবেলায় এসব কাদামাটি দিয়ে অনেক খেলাধুলা করতাম ভাই । আপনার উপস্থাপন করা এই কাদামাটির পোস্টটা আমার কাছে দারুন লেগেছে আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে অনেক ভালোবাসি সব মিলিয়ে আপনি পোস্টটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি মৃৎশিল্প এর কাজ করেছেন এটি আমাদের এদিকে এখনো চলমান রয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গুছিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য
আপনার পোষ্টের থাম্বেল এর ছবিটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও ছোটবেলায় কাদা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র তৈরি করতাম। ওই দিনগুলো খুব মিস করি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মাটি দিয়ে চুলা তৈরি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনি ছবি দিলেন কি আর ভেতরে দেখালেন কি? এই ঠুসঠাস খেলা ছোটবেলায় আমি অনেক ফেলেছি। কতই না মজা হতো এই খেলাগুলোতে। প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটা স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ছবিটি দেখে অনেক পুরনো দিনের কিছু কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম ছোট ভাই বোনেরা মিলে পিকনিক খাওয়ার জন্য খুব সকালেই পুকুর থেকে কাদা মাটি তুলে এনে এরকম করে চুলা বানাতাম। তারপর সেই চুলা রৌদ্রে কিছুটা শুকিয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করে ভেজে চুলায় রান্না করে পিকনিক খেতাম। যাই হোক আপনার কাদা মাটির তৈরি গোলাপটি খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনার কাঁদা মাটির আপনার আজকে কিছু তৈরি এই জিনিসগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও ছোটবেলায় এগুলো অনেক তৈরি করেছি। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা তো এগুলো আর চোখে দেখে না। কারণ তারাতো শহরে থাকে। যদিও তারা গ্রামে থাকে তারা হয়তো দেখে। এক কথায় আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দেখে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি মৃৎ শিল্প এখনো ধরে রেখেছেন। এটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে প্রায়। দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক সময় হয়তো এসব আর দেখা যাবেনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই যদিও আমি গ্রামে বড় হয়নি,তবে আমি মাটি নিয়ে অনেক খেলেছি।মাটির হাড়ি, পাতিল বানিয়েছি।মনে পরে গেলো, আপনার এই ছবিগুলো দেখে। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।