গ্রাম বাংলার ধান ভাঙ্গানো মেশিন এখন বাড়িতে বাড়িতে ১০% সাই ফক্স ও ৫% এবিবি স্কুল

আসসালামু আলাইকুম /আদাব


হ্যালো বন্ধুরা

সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও আল্লাহর অশেষ রহমাতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।

IMG_20220502_091813~2.jpg

তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে কথা বলবো। ধান ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে,বা ধান কাটার পর কিভাবে ধান গুলো ভাঙ্গিয়ে লয়।আসলে গ্রামের কথা আর কি বলবো ছোট থেকেই বড় হয়েছি গ্রামের বাড়িতে। তো গ্রামের মানুষ যে কোন কাজের ক্ষেএেই খুবই কষ্ট করে।যেমন মনে করেন একজন চাষি কৃষকরা কতোই না কষ্ট করে।আর তাদের এই কষ্টের ফল দেখা যায় মাঝে মাঝে পায় ও না। কিন্তু শহরের মানুষ,টাকা ওয়ালা মানুষ বুক ফুলিয়ে ঘুমায় আর খায়। যাইহোক আমি যে নিয়ে কথা বলতে চাই আগের কার মানুষ খুবই পরিশ্রম করতো।আগে এইসব কোন ধরনের মেশিন ছিল না যা দিয়ে ধান ভাঙ্গা যায়। আগে ছোট থাকতে দেখতাম, যখন ধান কেটে বাড়িতে আনতো। তখন তো আর ধান ভাঙ্গার মেশিন ছিল না,ছিল না বলতে ছিল খুবই কম।এক এলাকায় একটা মেশিন ও খুজে পাওয়া যেত না যার কারনে খুবই কষ্ট করতো সবাই। তো বাড়িতে যখন ধান কেটে আনতো,তখন পাও দিয়ে ধান মচরিয়ে তার পর ছড়া থেকে ধান বাহির করতো।এভাবে পাও দিয়ে ধান ভাঙ্গা খুবই কষ্ট হতো। তবে এভাবে ধান ভাঙ্গতো বেশির ভাগেই মহিলারা। আমি কিছু মেশিনের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো কারণ তা হলে আপনারা বুঝবেন না। বিশেষ করে শহরের অনেক মানুষেরাই আছে যে এ মেশিন এখন পর্যন্ত দেখেই নায়।

IMG_20220504_195104~2.jpg

আসলে ছবি গুলো রাতে তুলা হইছেতো বেশি একটা ভালো হয় নায়।যাইহোক এখন মানুষ যে কোন কাজ অতি সহজেই করে ফেলতে পারে আগের মতো আর কষ্ট করতে হয় না।ধান যখন মেশিনে ভাঙ্গায় আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে। মেশিনের শব্দটা অনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে ওই সময় আমাদের অনেক আনন্দ হয়।আরো আনন্দের বিষয় হলো ধান ভাঙ্গিয়ে যে কুটা হয়।ওই কুটা দিয়েও আমরা অনেক মজা করতাম ছোট থাকতে।

IMG_20220504_195148~2.jpg


ছোট বেলায় আমরা অনেকেই একসাথে খেলা করতাম। ওই কুটার মধ্যে ঘর বানাইয়া তার পর খেলা করতাম। তার পর আমরা রাতের বেলায় পলাপলি কুক খেলতাম, আরো অনেক কিছুই খেলতাম। বিশেষ করে ছোট বেলায় বাবার সাথে সাথে অনেক ধাটতাম। কিন্তু কি যে বিরক্ত বোধ মনে করতাম,কারণ আমার ভালোই লাগদো না ধান কাটতে।তারপর ও কাটতাম। কারণ তখন তো বাবার হোটেলে খাইতাম,না কাইটা উপায় ছিল না। কিন্তু তখন ভালো লাগদো যখন আমরা চাচাতো ভাইয়েরা মিলে মিশে কাটতাম তখন। কারন তখন সবাই গল্প করতাম কথা বার্তা বলতাম আর ধান কাটতাম।কিন্তু বাবার সাথে কোন আজাইরা কথা তো আর বলা যায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে আবার ভাইগা যাইতাম,পালাইয়া থাকতাম, ধান কাটার ডরে।যখন দেখতাম বাবায় বিলে ধান কাটতে চলে গেছে, তখন আবার বাড়িতে চলে আসতাম।


IMG_20220504_195532~2.jpg


কিন্তু এখন বাড়িতে গেলে আর বাবার আর বলা লাগে না।নিজে নিজেই বাবার সাথে ধান কাটি।কারণ এখন বাবার
কষ্ট বুঝি,তা ছাড়া বাবার এখন অনেক বয়স হয়ে গেছে একা একা পারেও না। তাই আগের মতো আর বলা লাগে না নিজের থেকেই যাই।কিন্তু ধান কাটতে সমস্যা হলো একটা, ধান কাটলে ধানের ইয়া লেগে হাত একদম লাল হয়ে যায়। এই ঈদের সময় যখন বাড়িতে গেছিলাম, তখন কিছু সময় ধান কাটছিলাম আমরা ৪, ভাই মিলে আর বাবা অন্য কাজে গিয়ে ছিলো। আসলে সবাই মিলে মিশে একসাথে যে কোন কাজ করলেই ভালো লাগে। যাইহোক আজকে এপর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।

প্রয়োজনীয় তথ্য


camera : Vivi Yi5s

Catagory : photography

Photographer : @mustafiz99

Location : Barishal

https://w3w.co/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6
.

আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য সকলকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা

আল্লাহ হাফেজ

Sort:  
 2 years ago 

আসলে ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন আগে কৃষকেরা খুবই কষ্ট করে ধান মাড়াই নিত কিন্তু এখন ঘরে ঘরে মেশিং হয়েছে যে কারণে বেশি কষ্ট হয় না। আর আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন যে আসলে সবাই মিলে কাজ করলে কষ্ট কম হয়। আপনার লেখাগুলো আসলে খুবই ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

এটা আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন ধান ভাঙানোর মেশিন বাড়িতে বাড়িতে চলে এসেছে। আম্মুর মুখে শুনেছি আগে নাকি ধান ভাঙানোর জন্য অনেক দূরে দূরে মেশিনের কাছে নিয়ে যেতে হতো। ওইটা আরো অনেক বেশি কষ্টের ছিল। কিন্তু এখন ধান ভাঙানোর মেশিন নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে চলে আসে। যার কারণে ধান ভাঙানোর কাজটা কিছুটা হলেও সহজলভ্য হয়ে এসেছে।

জি আপু এখন আগের মতো কষ্ট করতে হয় না

 2 years ago 

আপনার পুরো পোস্টটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কৃষি এবং কৃষকের জীবন জীবিকা সম্পর্কে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59634.42
ETH 3191.92
USDT 1.00
SBD 2.45