পাড়ার ক্রিকেট 🏏
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
খেলাধুলা আর আগের মত হয় না। এখন সবাই ব্যাস্ত যে যার মতো। খেলাধুলা করে অযথা সময় নষ্ট করার সময় কার আর আছে এখন। এখন সবাই কর্মব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট ছেলে গুলাও এখন দুনিয়া বুঝে উঠার আগেই কাজে লেগে পড়ছে। কেউ নিজে থেকে যাচ্ছে কেউবা পরিবারের চাপে কারণ ভবিষৎ গোছাতে হবে। আর কিছু কিছু পোলাপাইন সারাদিন মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে পড়ে আছে ওদের আর মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় কই।
এইতো গত কয়েকবছর আগেও ঠিক আমাদের জেনারেশন এর কথা বলছি কিন্তু। সবার হাতে হাতে আজকালকার মত মোবাইল ছিল না, ছিল না ভবিষ্যতের চিন্তা। ছিল শুধু খাওয়া দাওয়া,ঘুম আর স্কুল করা তাছাড়া বাকিটা সময় ব্যাট বল নিয়ে মাঠে পড়ে থাকা। আর স্কুল ছুটির দিন মানে তো আলাদাই ব্যাপার ওইদিন ভুলেই যেতাম যে,বাড়ি ঘর বলে কিছু আছে। বিশেষ করে আমার খেলার প্রতি এত আগ্রহ ছিল যে,খেলার জন্য পড়ার সব প্লেয়ারকে ডাক দিয়ে মাঠে নিয়ে আসতাম। তখন অবশ্য মোবাইল ছিল না সবাইকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডাকতাম। স্কুল ছুটির দিন অন্য পাড়ার সাথে খেলা নেওয়ার জন্য একদিন আগে গিয়ে তাদের সাথে ডিল করে আসতাম এরকম আরো কত্ত কি। আর এখন ছেলেপেলে আছে অনেক কিন্তু খেলার মাঠে কাউকে পাওয়া যায় না। আর যেগুলা থাকে সেগুলা আবার খেলা পারে না।
যাইহোক আজকে অনেকদিন পর হটাৎ করে দুপুরে দেখি সব ছেলেপেলে ব্যাট বল নিয়ে বিশেষ মাঠে হাজির। বিশেষ বলছি কারণ আমাদের দুই তিনটা মাঠ আছে। একটা হচ্ছে বড়ো মাঠ যেখানটায় আমরা বড়ো ম্যাচগুলো খেলি বা অন্য দলের সাথে খেলি কিন্তু যখন নিজেদের মধ্যে খেলি তখন বাগান মাঠে খেলি। আসলে বড়ো মাঠে রোদ থাকে তো এই জন্য সবসময় ওই মাঠে খেলা হয় না।
তারপর নিজেরা নিজেরা দুটো দল ভাগ করলাম। আমাকে দেওয়া হলো এক দলে। আর আমাদের খেলা হয় মূলত সুপার সিক্স। সুপার সিক্স খেললে অল্পসময়ে ম্যাচ উঠে আর অনেকগুলো ম্যাচ খেলা যায়। তবে আজকে দুটো ম্যাচ খেলছি মাত্র। আসলে সবাই রোজা ছিল তো তাই বেশি ম্যাচ খেলা হয় নি। দুটো ম্যাচ খেলছি তিন অভার বল করেছি। বল করার সময় মনে হচ্ছিল হাত ছিঁড়ে যাচ্ছে তবে এতদিন পর বল করায় ও বলার লাইন লেন্থ ঠিক ছিল বেশি ওয়াইড দেই নি হাহা। তবে ব্যাট হাতে যাচ্ছে তাই অবস্থা দু ম্যাচে 20 রান ও করতে পারি নি মনে হয়। আর দুটো ম্যাচের একটিতে আমরা জিতেছি আর একটা ওরা জিতেছে। তবে খেলা অনেক হাড্ডা-হাড্ডি হয়েছে। আর খেলেও অনেক মজা পেয়েছি,তবে এখন শরীর প্রচুর ব্যাথা করছে ডান হাত তো নাড়ানোই যাচ্ছে না হাহা😅।
কি আর বলবো ভাই ডিজিটাল যুগ এসে সব কিছু ডিজিটাল করে দিলো। এখন আর কাউকে তেমন ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় না। আগে তো পাড়ায় পাড়ায় দেখা যেত ক্রিকেট খেলা। এখন তো সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন । তাই মনে হয় সবাই এখন একটু বেশীই স্মার্ট হয়ে গেছে। হি হি হি
আসলেই আপু😁।
দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ তত অলস হয়ে যাচ্ছে। এখন মাঠে খেলার থেকে বাচ্চারা মোবাইলে খেলাই পছন্দ করে বেশি।
ভাই আপনি আজকে দারুন একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন । পাড়ার ক্রিকেট কথাটা শুনলেই মনের মাঝে কেমন আবেগ কাজ করে। আগে যখন গ্রামে থাকতাম ছোটবেলার দিকে তখন প্রায় সব সময়ই খেলাধুলা করতাম। প্রত্যেকদিন বিকেলে এক পাড়া আরেক পাড়ার সাথে আমরা খেলা করতাম। এখন সেই সব ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন থাকার কারণে আর সেসব খেলাগুলো হয় না ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাই সেই দিনগুলো এখন আমাদের কাছে আবেগ। এখন চাইলেও আর সেই সব দিনগুলোয় ফেরত যাওয়া সম্ভব নয়।😅
তবে ঠিক বলেছেন আরো আগে জেনারেল লোকগুলোর হাতে মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিস ছিল না। খাওয়া দাওয়া স্কুলে যাওয়া আর বিকেল বেলা খেলা করাইছিল তাদের জীবনের প্রথম অংশ। আমি নিজেও অন্য দলের সাথে খেলা হলে সবাইকে ডেকে একসাথে খেলা খেলতে যেতাম। কিছুদিন আগে আমি আপনার মত ক্রিকেট খেলেছিলাম। পরে রাতে আমার হাতে অনেক ব্যথা এবং গায়ে জ্বর এসে গেল। তবে আপনার পোস্টটি দেখে আরো অনেক আগে খেলা খেলতাম তার কথা মনে পড়ে গেল। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন।
হ্যা ভাই হুট করে খেললে শরীর এখন প্রচুর ব্যাথা করে। তবে রেগুলার দুই একদিন খেললে সেটা আবার ঠিক হয়ে যায়।😅
এখনকার সময়ে ছেলেগুলো ক্রিকেট খেলা তেমন খেলে না। তারা মোবাইল এবং অন্যান্য গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে আপনাদের সময়ে ছেলেগুলো ক্রিকেট খেলা নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতো। তবে ছোট কালে আমি নিজেও বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতাম। অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আরেহ বাহ আপনিও ক্রিকেট খেলতেন😅।
আসলে সময়টায় এখন এমন হয়ে গেছে। সবার হাতে হাতে ফোন। আবার ফোন ছাড়া চলেও না হাহা।