চলুন ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব মারি কিছুক্ষনের জন্য (দ্বিতীয় পর্ব) || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সেদিন ছোটবেলার স্মৃতিকে ঘিরে একটি পোস্ট করেছিলাম।পোস্ট এর টাইটেল ছিল "চলুন ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব মারি কিছুক্ষনের জন্য"।আসলে সেই পোস্টটি সবার অনেক ভালো লেগেছিলো।এবং সবাই বলেছিল দ্বিতীয় পার্টটি আপলোড করার জন্য।এবং আমিও কথা দিয়েছিলাম দ্বিতীয় পার্ট নিয়ে আসবো সবার জন্য।তো সেই দ্বিতীয় পর্বটি আজকে সবার সামনে শেয়ার করতে চলছি।যদিও একটু দেরি হয়ে গেলো,কারণ আমি একটু ব্যাস্ত ছিলাম তো তাই।যাইহোক একটু দেরি হওয়ার কারণে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।🙏
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
সেদিন ছোটদের নিয়ে খেলতে খেলতে বেশ অনেক জন জড় হয়ে গিয়েছিল সেখানে।বলা চলে বড়ো ছোট মিলে একাকার।তো তাই ভাবলাম এই সুযোগে ছোট বড় সবাই মিলে সেই সময়টাকে ইয়াদগার করে রাখা যায় কিভাবে।আমি সবাইকে বললাম চল সবাই মিলে "হাড়ি ভাঙ্গা" খেলি।এই খেলাটি আমি মূলত দেখেছিলাম মুরব্বীদের খেলতে।ভালই লাগত দেখতে,তবে এই খেলা গুলো বেশি চলত গ্রামে কোনো খেলাধুলার প্রতিযোগিতা হলে সেখানে।কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই খেলাগুলো এখন হয় না বললেই চলে।এই খেলাটির সিস্টেম হলো, "যে প্রতিযোগী তার সামনে হাড়ি রেখে দিয়ে তার চোখ বেধে দেওয়া হবে।এবং চোখ বাধার পর তাকে চারদিকে এক চক্কর ঘুরিয়ে তার হাতে লাঠি দেওয়া হবে।এখন তাকে আন্দাজ লাগায় সেই হাড়িতে লাঠি দিয়ে মারতে হবে।এবং লাগাতে পারলে সে সেফ জোনে যাবে।এবং ওই রাউন্ডে যদি একাধিক প্রতিযোগিতা সেফ জোনে যেতে পারে তবে তাদের আরেক রাউন্ড হবে।আর এভাবেই বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।"আর আমাদের খেলায় প্রতিযোগিতা ছিল প্রায় 30 জন এর মত।আমি আশা করেছিলাম অনেকেই হয়তো লাগাতে পারবে কিন্তু দুঃখের বিষয় একজন ছাড়া কেউই এই কাজ করতে পারে নি😁।এবং এই খেলার প্রাইজ ছিল যে প্রথম হবে তার পিকনিক এর টাকা আমি দিবো।ওই কিছুদিন আগে যে পিকনিক এর গল্প শেয়ার করেছিলাম সেটাই আরকি।আর পিকনিক এর আগের খেলা হচ্ছে এগুলো😉।আর পিকনিক এর চাঁদা ছিল 200 টাকা।আর এই প্রাইজ এর কোনো স্পন্সর ছিল না,তাই আমাকেই দিতে হবে।খেলা মোটামুটি শুরু, আগে ছোট বাচ্চা গুলোকে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছিল যেহেতু প্রতিযোগী অনেক বেশি।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
ছোটদের অবশ্য একটু ছাড় দেওয়া হয়েছিল।ওদের শুধু চোখ বেধে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যেনো ওরা সোজাসুজি গিয়ে লাঠি দিয়ে হাড়ি ভাঙতে পারে।কিন্তু দুঃখের বিষয় ওরা কাছাকাছি যেতে পারলেও কেউ লাগাতে পারে নি।আর ওদের কথা কি বলব,আমরা বড়ো রাই তো কেউ পারি নাই😆।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এরপর বড়দের পালা। ছোটরা বেশ মুখিয়ে আছে আমাদের খেলা দেখার জন্য।ওরাও দেখতে চায় কে আজকের সেই মহান ব্যাক্তি যে হাড়ি ভাঙতে পারবে।প্রথমে এক ছোটভাই কে চোখ বেধে দু তিনপাক ঘুরিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো।কিন্তু সে তো হাড়ির কাছে যেতে পারে নাই উল্টা মাটি ফাটিয়েছে😁।আর পরের ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সেইটা হলাম আমি,আমিও অংশ নিয়েছিলাম এই খেলায়।কিন্তু কি বলবো হাড়ি তো ভাঙতে পারি নাই উল্টা আমার হাতে যে বাশটি দেখতে পাচ্ছেন ওটা ফাটিয়েছি🤪।তবে সে যাইহোক মজা পেয়েছি এটাই বিশাল😍।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
ইনিয় হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি এই খেলায় বাজিমাত করেছে।উনি অবশ্য আমার বড় ভাই,এনার একুরেসি একদম পারফেক্ট ছিল।যদিও ওনার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছিল😁। সে যাইহোক এতজনের মধ্যে যে উনি চুরি করেও লাগাইতে পারছে সেটাই বা কম কি।নিচে আমি খেলার ভিডিওর কিছু অংশ শেয়ার করছি সেগুলো দেখলেই বুঝবেন আমরা কতটা ইনজয় করেছি ।
খেলায় ধারণ করা ভিডিওর কিছু অংশ:
খেলার ভিডিও গুল করেছিল আরেকজন।আমি অবশ্য খেলা পরিচালনায় ছিলাম টাই ভিডিও করতে পারি না। পরে মেসে চলে আসার কারণে ভিডিও গুলও আর ওর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় নি।আর আমার সংগ্রহে যেগুলো ভিডিও ছিল সেগুলোই দিলাম আপনাদের কাছে।আশা করি ভালো লাগবে।
স্মৃতির পাতার অনেক কিছুই মনে করিয়ে দিলেন। তবে আপনার সেই ছোট্টবেলা ডুব দেওয়ার গল্প গুলো অসাধারণ হয়েছে। এবং আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। ভীষণ ভালো লেগেছে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলে চেষ্টা করেছি লেখাগুলোকে যতটা গুছিয়ে লেখা যায়।যেনো পড়ার সাথে আপনাদের একটা অনুভুতি কাজ করে।তবে আপনার মন্তব্য দেখে কোন হচ্ছে আমি সার্থক হয়েছি।
এই হাড়িভাঙ্গা খেলা বেশ মজার তবে অনেক ঝুকি ও আছে। কখন কার মাথায় বাড়ি দিয়ে বসি তার ঠিক নেই হা হা। সত্যি ছোটবেলার এই খেলাধূলার মূহুর্ত এখন স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে পড়লে মন খারাপ হয় আবার ভালো লাগে।।
আপনার খেলাধুলার আগের পর্ব দেখেছিলাম।
দারুন উপস্থাপনা করেছিলেন।
এবারের পর্ব দারুন হয়েছে।
আসলে এ দিনগুলোর কথা মনে পড়লো কোথায় যেন হারিয়ে যায় মন।
সবমিলিয়ে দারুন পোস্ট 🤗
আসলেই ভাই,এই সেই সোনালী অতীত জা এখন কর্ম ব্যাস্ত জীবনের ফাঁদে পড়ে চাপা পড়ে আছে।যাইহোক ভাই আপনাদের উৎসহতেই কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব লেখার সাহস করেছিলাম😍
ভাই ছোটবেলার স্মৃতি দ্বিতীয় পর্ব আপনি বেশ ভালই লিখেছেন। তবে এখানে হাড়িভাঙ্গা খেলার যে কথা বলেছেন তা সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।যদিও এটি মুরব্বিরা খেলে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আরে খেলা তো খেলাই মুরব্বী বলে কিছু নেই।ওই প্রাচীন কালের কেউ প্রথা চালু করেছিল সেই জন্যে আরকি বললাম।তবে এই এই খেলাটি দেখে ভীষণ মজা পাওয়া যায়।
সত্যি ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কত কানামাছি খেয়েছি। বরফ পানি খেলেছি। কি মধুর দিন ছিল। কেন যে বড় হয়ে গেলাম। এসব ভাবলে ভাল লাগে না। আপনাদের কানামাছি খেলা দেখে অনেক আনন্দ পেলাম ভাই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি কন্টেন্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য
সেটাই তো ভাই।এখন মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা সবাই হুট করে বড় হয়ে যাচ্ছি নিজেরই অজান্তে😁।
আর এটা কানামাছি খেলা না ভাই এটা হচ্ছে হাড়ি ভাঙ্গা খেলা😍