সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফেরা 😍 || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
আজ থেকে ঠিক তিনমাস আগে মেসে এসেছি কিন্তু এর মধ্যে বাড়ি একদিনও যাওয়া হয় নি।আসলে বাড়ি যাওয়ার জন্য তেমন একটা আগ্রহ ও ছিল না।আসলে দিনাজপুর থেকে আমার বাড়ি খুব বেশি দূরেও না,মাত্র এক ঘণ্টার পথ।তারপরেও বাড়ি যাওয়ার প্রতি অতটা ঝোঁক থাকে না।আসলে মেসে বন্ধুবান্ধবের সাথে বেশ আনন্দঘন সময় পার করি তো এই জন্য বাড়িটি শূন্যতা অতটা অনুভব করি না।কিন্তু যখন রমজান শুরু হলো তখন প্রথম বার বাড়ি যাওয়ার জন্য মনটা টান দিয়েছিল । আমার বাড়িতে আমার মা আর বাবা ছাড়া আপাতত কেউ নেই।বড়ো বোন আছে কিন্তু ও এখন শ্বশুর বাড়িতে।আর আমি এখন পর্যন্ত কোনো রমজানে বাইরে থাকি নি।প্রত্যেকবার বাড়িতে আব্বু আম্মুর সাথেই সব রোজা করেছি।কিন্তু এবার তাদের থেকে দূরে থেকে রোজা করতে বেশ খারাপ এই লাগছিল,আর বাড়িতে যাওয়ার জন্য মনের আকুলতা বেড়েই যাচ্ছে।কিন্তু করার তো কিছু নেই,সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হয়েছে এখন পরীক্ষা ছেড়ে বাড়িতে যাওয়ায় সম্ভব নয়, অপর দিকে বাড়িতে থেকে পরীক্ষা দেওয়ায় সম্ভব নয়।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:দিনাজপুর জেলা
যখন পরীক্ষা শেষের দিকে ধরুন আর দুই তিনটা পরীক্ষা আর বাকি আছে।আর পরীক্ষা শেষ হলেই আপনি বাড়িতে যাবেন?এরকম ফিলিংস কখনো হয়েছে আপনার?আর বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে লেখাপড়া করে,আর অপেক্ষার প্রহর শেষ করে যখন বাড়িতে ফিরে তখনকার এই আনন্দটা ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি মনে হয় আমার কাছে।তো সাগর আর আমি একসাথেই থাকি,এবং একসাথেই মেসে আসছি কিন্তু এর মাঝেই ও দুইবার বাড়ি গিয়েছিল।আর আমি একবারও যায় নি।তাই ওর বাড়ি ফেরার অনুভূতি যতটা না বেশি ছিল আমার বোধয় তার চেয়ে বেশি ছিল।কিন্তু বাস্তবে উল্টা ওরি বাড়ি যাওয়ার ঝোঁক বেশি ছিল ,ওর তাড়া দেখে তাই মনে হচ্ছিল।সকালে আমার পরীক্ষা ছিল।তাই সারারাত আর ঘুমানো হয় নি। সকাল নয় টায় পরীক্ষা ছিল এবং পরীক্ষা শেষ হয় এগারো টায়।আমি এসে দেই একটা ঘুম,কারণ আমাদের যাওয়ার কথা ছিল 6 টার সময়।কিন্তু হঠাৎ করে যে কি হলো এদের আমাক তিনটার সময় ঘুম থেকে তুলে বলে রেডি হও।বাড়িত যাবো এখন। অথচ আমাদের বাড়ি যাইতে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা লাগে।আমি কইলাম আরেহ এইখানে একসাথে ইফতার করেই যায়।আমার কথা আর কে শুনে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:দিনাজপুর জেলা
তারপর আর কি করার ঘুম থেকে তরিঘরি করে কোনো রকম উঠে ফ্রেশ হলাম।আর কাপড় আগেই গুছানো ছিল তাই পেরা নিতে হয়নি বেশি।এখন যেহেতু ট্রেনে আর যাওয়া হচ্ছে না তাই বাধ্য হয়ে অটোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।আর বাইরে যখন বের হলাম যে রোদ আর বাতাসটাও লাগছে ভেফসা গরম।আমি তো ওদের উপর সেই রাগ,ওরা আমাকে বুঝায় রাগ করিস না বেটা বাড়ি যাচ্ছি খুশি হও 😃।তারপর আর কি অটো ঠিক করে পাড়ি জমালাম।পার্বতীপুর এর উদ্দেশ্যে।আর পার্বতীপুরে এসে ইফতার এর ও সময় হয়ে গেল।সাগর কে বললাম এখনো আদা ঘণ্টার মতো সময় আছে তোরা যা,বাড়ি যাইতে পারবি বাড়িত যায়ে ইফতার টা করিস।অবশ্য আমার বাসা আরেকটু দূরে তো আমি যাইতে যাইতে ইফতার নাও পেতে পারি।আর ওরাও বা এতক্ষণ থেকে কি করবে। সে যাইহোক ওরাও ওদের বাড়ি পথ ধরলো আর আমিও একটা ভ্যান ঠিক করে বাড়ির পথ ধরলাম।আর যাওয়ার সময় রাস্তার ধারের সেই রুক্ষ মত গাছ গুলো বৃষ্টির আগমনে বেশ প্রান্ত বন্ত হয়েছে।রাস্তার দুই ধারে গাছ আর চতুর্দিকে সবুজ শস্যের ফসলে ভরা মাঠ।আর দৃশ্য গুলও চোখে পরে মনে হচ্ছে শরীরে একটু একটু করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছি।সত্যিই কথা বলতে শহরে থেকে থেকে অনেকটা রোবোটিক টাইপ হয়ে যাচ্ছিলাম।সারারাত জেগে সারাদিন ঘুমাতাম।আর রাতে যখন ঘুম আসত না কিনে অসহ্য লাগতো।মনে হতো পাগল হয়ে যাবো বোধয় আমি😭।কিন্তু কালকে বাড়িতে আসার পর সুন্দর শান্ত ঠান্ডা নিরিবিলি পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিল শরীরটা এলিয়ে দিলেই বোধয় ঘুমিয়ে পড়বো। যে ছেলে আমি সেহেরী খাওয়ার আগে এখন পর্যন্ত একদিনও ঘুমাইনি সেই আমি কালকে রাত 10 টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছি।আর ঘুম থেকে উঠার পর নিজেকে এতটা রিল্যাক্স মনে হচ্ছিল যেটা বিগত তিনমাসে হয় নি।আর সত্যিই দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন বাড়িতে ফিরি মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠে।আমি জানি না সবার এরকম হয় কি না।তবে আমার বিশ্বাস যেসকল ছাত্র বাইরে থাকে তাদের অনুভূতিটা ও ঠিক আমার মতই হয়।
দিনাজপুর থেকে আপনার বাড়ি ফেরার ভ্রমণের গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার বাড়ি ফেরার গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
হ্যা অনেকদিন থেকেই বাড়ি ফেরা হয় না।আর এত উদ্দীপনার সাথে কখনোই এর আগে বাড়ি আসি নি তাই শেয়ার করলাম আরকি।আর ধন্যবাদ আপনাকে।
দিনাজপুর থেকে আপনার বাড়ী ফেরার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে শহর থেকে নিজের বাড়ী ফেরার আনন্দটাই অন্য রকমের। আপনার গল্পটি পড়তে গিয়ে মনে মনে গান গিয়েছিলাম "স্বপ্ন যাবে বাড়ী'ই আমার".
আপনার বাড়ী ফেরা হউক আনন্দময়।
জি ভাই ঠিক বলেছেন।তবে এরকম অপেক্ষার প্রহর শেষে বাড়ি ফেরা সবসময় একটু বেশি স্পেশাল হয়।ভালো ছিল ভাই আপনার মন্তব্য।ভালো থাকবেন
বাড়িতে ফেরার মজাই আলাদা। আপন জনদের কাছে পাওয়া। বাড়িতে ফেরার সময় একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে মনের ভেতরে। চেনা মুখ গুলো কে আবার কাছে পাওয়া যায়। বাড়িতে ঘুমটাও যেন একটু ভালই হয়। হাহাহা। সকলের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান এইকামনা করছি ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা।তবে বাড়ি ফেরার সময় মনটা একটু খারাপ ও হয় বটে।বন্ধুদের ফেলে রেখে আশা সেই হাসি আড্ডার কথা গুলো মনে পড়া।কিন্তু তারপরেও বাড়ি ফেরার একটা আলাদা স্বস্তি।
মেসে থাকার অভ্যাস আমারও আছে লেখাপড়ার জন্য আমিও ম্যাসে থেকেছি কিন্তু টানা তিন মাস এভাবে মেসে থাকার অভিজ্ঞতা নেই। আপনার মত আমার বাসাও দেড় ঘন্টার পথ 15 দিন পর পরই বাড়ি যেতাম ।আপনি অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছেন সে জন্য আলাদা অনুভূতি কাজ করছে সেটা ভালোই বুঝতে পারলাম।
আসলে ভাই সময় করে উঠতে পারি নাই বাড়ি যাওয়ার।এক মাস যেতে না যেতেই ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়।তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে হলাম পরীক্ষা শেষ করে একবারই যাবো বাড়িতে এই জন্যে এতদিন থাকা।
"স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার" এই গানটি ছাড়া কোন ঈদ এই পূর্ণতা পায়না। জীবিকার তাগিদে আমাদের বাসা থেকে বাইরে থাকা লাগে। এবং ঈদ এ আবার বাড়িতে ফেরা সকলের সাথে দেখা করা এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। অনেক ভালো লাগলো আপনার বাড়ি ফেরার পোস্টটি পরে।
একদম,তবে অনেকদিন পর বাড়ি ফিরে মনে হচ্ছিল বিদেশ থেকে দেশে আসলাম🤪।আর বাড়িতে আসার পর থেকে সবার সাথে বেশ ভালই সময় পার করছি।ভালই লাগতেছে।
নাড়ির টানে আপনি বাড়িতে ফিরে এসেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে আপনার পোস্টে। আসলে বাড়ি ফিরে আসার মুহূর্তটি কি যে আনন্দের তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দীর্ঘপথ অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আপনি বাড়িতে এসেছেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। বাড়িতে প্রিয়জনদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করবেন এই আশাবাদ কামনা করছি। ভাল থাকবেন ভাই।
বাড়িতে আপাতত বাবা আর মা ছাড়া কেউ নেই।তবে এলাকায় ছোট ভাইরা বেশ আছে আর সবার সাথে আড্ডা জমে একদম খির।তবে আপনার সময় ও ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা।
আমিও আপনার মত তিন মাস পর ঢাকা থেকে টাংগাইল এসেছি। আপনার মতো যদি কাছাকাছি বাসা থাকতো তবে এতদিন দেরি করতাম না। যাইহোক বন্ধুদের সাথে থাকলে এমন ই হয়। অনেক ভাল লাগলো আপনার বল্গ টি পড়ে। ধন্যবাদ ভাই
আসলে কাছাকাছি বাড়ি তো তাই মনে হয় বাড়িতেই আছি😁।আর বন্ধুদের সাথে থাকলে আসলেই ভালো একটা সময় অতিবাহিত হয়।এই জন্যে খুব একটা মিস করি নি বাড়ির দিনগুলোকে।
বাড়িতে আসতে ইচ্ছে করে না। দিনাজপুরের নিকটেই বাড়ি, এর পরেও যেতে মন চাইতো না। তবে রমজানের সময় আবার প্রচন্ড গরমের সময় এর মধ্যে থেকেও আপনি নাড়ির টানের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই শুভযাত্রা দেখে। আশা করি আরও সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে এভাবেই উপহার দিবেন।
হুমম ভাই।বাড়ি আর কলেজ একটু কাছাকাছি তো এই জন্য।মেসে থাকলে মনে হয় বাড়িতেই ত আছি।আর আমরা মেসে থাকি নাতো,আমরা কয়েকজন মিলে বাসায় থাকি,তাই বাড়ির শূন্যতা অতটা ও অনুভব হয় না।
দারুণ মজার কথা বলেছেন ভাইয়া।আসলে বাড়ির বাইরে থাকলে বাড়ির জন্য মন খুবই খারাপ হয়।তবুও কর্মসূত্রে কিংবা লেখাপড়ার জন্য বাইরে থাকতে হয়।আপনার বাড়ি আসার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো, তবে এবার জমিয়ে আম মাখা খাবেন ভাইয়া।😊😊ধন্যবাদ আপনাকে।
কালকেই সেই ঝড় সাথে শীলা বৃষ্টি হয়েছে,অনেক গুলো আম কুড়িয়েছি,এবার ঠিক আপনার মত করে আম মাখা বানাবো☺️
👍