ঈদ স্পেশাল ক্রিকেট ম্যাচ || সিনিয়র vs জুনিয়র || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তারপর কেমন কাটলো ঈদ এর পরের দিন।আমার দিনকাল তো খুব ভালই কাটছে।এলাকায় সব ভাই ব্রাদার এসেছে সবার সাথে ক্রিকেট খেলায় সেই ব্যাস্ত সময় পার করছি☺️।এবং আশা করি আপনাদের সবার ভালই কাটছে।তবে সব ঠিকঠাক থাকলেও পোস্ট করাযর সিডিউল একটু এলোমেলো হয়ে গেছে আমার।ব্যাস্ত সময় পার করছি বুঝতেই পারতেছেন।প্রত্যেক সপ্তাহে আমার প্ল্যান করা থাকে কোনদিন কি পোস্ট করবো কিন্তু এই সপ্তাহ একটু এলোমেলো হয়ে গেছি।সামনে যা পাচ্ছি সেগুলোই গুছিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।তবে আমি আশাবাদী সামনের সপ্তাহে সব ব্যস্ততা কাটিয়ে পূনুরায় পূর্ণ উদ্যমে ফিরবো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম যদিও এখন সকাল বেলা বলতে আর কাছে 12 টা বেজে যায়।উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরে একটু বের হলাম।বাইরে বের হয়ে দেখি সব ভাই ব্রাদার এক সাথে হয়েছে।এদিকে এক ছোটভাই চ্যালেঞ্জ করে বসলো তারা নাকি আমাদের সাথে সিনিয়র জুনিয়র ক্রিকেট খেলবে।আমি সাথে সাথে বললাম এত বড় সাহস তোমাদের।আসলে ওদের সাহস একটু বেশি হওয়ার কথাই।কারণ ওরা এখন আমাদের থেকে বেশি খেলে আর খেলেও ভালো।বলা চলে আমাদের গ্রামের জাতীয় টিমকে ওরাই প্রতিনিধিত্ব করছে।তাই বলে আমরা কম নাকি একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছি পুরো এলাকা।এখনো সেই নাম ডাক আছে আমার।এখনো বাইরে খেলতে গেলে সবাই আমাকে দেখলে একটু ভয় পায়😎।যাইহোক চ্যালেঞ্জ যখন করে বসেছে সেটা অ্যাকসেপ্ট না করেও কোনো উপায় নেই,একটা মানসম্মান বলে কথা আছে না।তো বাইরে আজকে ভালই রোদ ছিল তাই সবাইকে বললাম আমাদের যে স্পেশাল মাঠ আছে ওখানে চলো সবাই।কারণ বড়ো মাঠে বহুত রোদ।এদিকে সিনিয়রদের স্কোয়াড দেখে আমারও একটু ভয় লাগলো।সব গুলায় আগুন প্লেয়ার,আর আমাদের গুলা সব সিনিয়র সিটিজেন🤭।আমি আর একজন কেবল এখনো খেলার মধ্যে আছি বাকি গুলা সবাই কর্ম জীবনে ব্যাস্ত।আর প্লেয়ার ভাগ করার ব্যাপারটি ছিল ইন্টার থেকে নিচ পাশে যারা তারা জুনিয়র আর যারা উপরে তারা সিনিয়র।শেষমেষ প্লেয়ার ভাগ বণ্টন শেষ,এরপর জুনিয়র পোলাপাইন রা টাকার ডিক্লেয়ার দিলো 500 টাকা প্রতি ম্যাচ।যেহেতু সিনিয়র রা সবাই কর্মজীবী তাই টাকায় ওরা আমাদেরকে হারাইতে পারবে না।এরপর খেলা শুরু যেহেতু মাঠটা ছিল বাঁশবাড়িতে সেইজন্য ওভার নির্ধারণ করা হলো পাঁচ।আর ঢিল বল খেলেছিলাম কারণ জায়গাটা একটু অন্ধকার আর পেচ বল খেললেও সমস্যা।আর যেহেতু আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলব তাই পেচ বল বাদ।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
খেলা শুরু আর যেহেতু জায়গাটা গাছ আর বাশে ভরা সেই জন্য রান যে খুব একটা বেশি হবে না সেটা আমরা আগে থেকেই বুঝে গেছি।কিন্তু সমস্যা হলো পোলাপাইন দৌড়াইতে ও পারে না।প্রথম ম্যাচ টসে জিতে ব্যাট নিলাম।প্রথম ম্যাচ পাঁচ ওভারে টার্গেট দিলাম 48 রান।সবাই বেশ আত্মবিশ্বাস পেলাম কারণ বাঁশবাড়িতে এইটা সর্বোচ্চ রান।কিন্তু মনে একটা ভয় ছিলো কারণ ওদের যে ব্যাটিং লাইনআপ আর বড়ো কথা হলো ওরা এই মাঠে খেলে খেলে অভ্যস্ত আর এমনিতেও ওরা রানিং প্লেয়ার ওরা দৌড়ায় সব রান নিয়ে নিবে এইসব বিবেচনা করে নিশ্চিত হতে পারছিলাম না আসলেও ম্যাচ জিতবো কি না।কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো আমাদের বয়স্ক দুর্দান্ত বোলারদের বোলিং এর তোপে ওরা প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় একটু ব্যাকফুটে চলে যায়।পরের অভার আমি বল করে ওদের আরেকটু চাপের মুখে ফেলে দেই।কিন্তু যেটা ভয় করেছিলাম সেটাই শুরু হতে শুরু করে তৃতীয় ওভার থেকে।ওদের হার্ড হিটাররা শুরু করে সেই মাইর,কপাল ভালো শুধু ওদের ভাগ্য সহায় ছিল না।এমন মাইর শুরু করলো বাঁশের কঞ্চি ছিঁড়ে গিয়েও বাউন্ডারি হচ্ছে। এদের এই প্রলয় তান্ডবে রান প্রায় সব হয়েই গেছে।শেষ লাস্ট ওভারে প্রয়োজন মাত্র দশ রান দায়িত্ব দিলো আমাকে।তবে এরকম বহু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাই বেশি চাপ ছিল না।আর টাকার অঙ্ক ও কম তাই কিছু মনেই হচ্ছিল না।প্রথম বল করলাম ডট তারপর ধাপ করে এক বিগ শট মেরে দিল কিন্তু আমার কপাল এতই ভালো বল এদিক সেদিক গাছে লেগে আমার হাতে এসে পড়ল। ব্যাস অনেকটাই ম্যাচ আমাদের হাতে এখন এরপর রিল্যাক্স এ ম্যাচ বের করে ফেললাম,যদিও তিন রানে ম্যাচ জিতেছি 🤭।এরপর তাদের সাথে লাগাতার আরো তিনটি ম্যাচ খেললাম তিনটি ম্যাচ প্রচুর টাফ ছিল কিন্তু তারপরেও তিনটি ম্যাচেই আমরা নিজেদের করে নেই।প্রায় চার ম্যাচে দুই হাজার টাকা হাতায় নিলাম ছোট বসদের কাছে।কিন্তু ওরা এখন সেই খিপ্র অবস্থায় আছে ,আবার কালকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলছে আমাদের।আল্লাহই জানে কাল আমাদের কি হাল করবে।☺️
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এরপর টাকা পয়সা দিলো অনেকটাই মুখ কালো করে😁।হবারই কথা চ্যালেঞ্জ দিয়ে মারা খেয়ে গিয়েছে তারা নিজেরাই।ওদেরকে আবার আমি একটু খোঁচা মেরে বললাম বাপ হামেশা বাপ হোতা হ্যায়,এই ডায়লগ এর পর ওরা খালি বলছে কালকে আসিও ভাইয়া দেখা যাবে কে বাপ।তারপর সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম।আর ওদেরকে ঠান্ডা খাওয়ায় বিদায় করে দিলাম।তবে সত্যিই কথা বলতে ঈদের সময় আমাদের এই ধরনের সিনিয়র জুনিয়র কিংবা বিবাহিত অবিবাহিতদের মধ্যে যে খেলাগুলোর আয়োজন করে সেগুলো সত্যিই আমি অনেক উপভোগ করি।তবে যারা শহরে থাকে তারা কিন্তু এই মজা গুলো উপভোগ করতে পারে না।সেই হিসেবে আমি বলতেই পারি আমি অনেক ভাগ্যবান,আমি প্রচন্ড ভালোবাসি আমার গ্রামকে।হাজারো ধুলো মাটি আর কাদা থাকুক না কেনো হোক মানুষগুলো একটু অশিক্ষিত কিন্তু তারপরও এই সবকিছু আমার কাছে সোনার টুকরো🖤🤟।
যাইহোক অনেককিছুই বকবক করলাম।জানি এই ধরনের ব্লগ অনেটাই বিরক্তিকর লাগতে পারে।কিন্তু সময় মেলাতে পারছি না বলে এমনটা হচ্ছে ইনশাল্লাহ সামনে সপ্তাহ থেকে ফিরবো পুরনো রূপে।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ🌿
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV5Xa3hG15t22KLgTWahqC6vy99pJroRPzFeQqGDKZMg7/IMG_9503.jpg)
ক্রিকেট, নামটা শুনলেই আমার ভেতর একটা আবেগ আপনা-আপনি চলে আসে।পড়াশুনার চাপ আর নানা কারণে সময়ের অভাবে খেলাধুলা থেকে দূরেই থাকতে হয়।তবে কোনো খেলা দেখা মিস দেইনা।
আগের অনেক পুরোনো স্মৃতি মনে পরে গেলো ভাই🙂।কালকের ম্যাচও পোস্টে আনবেন,আশায় থাকলাম।ইনশাল্লাহ জিতবেন🥰
আমারও একই অবস্থা।তবে একটা সময় ধীরে ধীরে এই আবেগ অনেকটাই ম্লান হয়ে যাবে।আর পোস্ট টা ইতিমধ্যে করেছি ভাই,চাইলে ভিসিট করতে পারেন।😍🖤
আসলেই এরকম ঈদ উদযাপন অনেক ভালো লাগে। যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন স্কুল মাঠে ঈদের দিন এরকম আয়োজন করা হতো বিভিন্ন ফুটবল এবং ক্রিকেট এর মাধ্যমে। আমরা সবাই গিয়ে তখন উপভোগ করতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে এখনো হয় আপু।আমাদের গ্রামেরই তো হয়,এই ঈদে চলে ক্রিকেট আর কুরবানীর ইদে চলে ফুটবল😍।আর গ্রামে সবাই এই ধরনের খেলাগুলো বেশ উপভোগ করে।
এই ধরনের খেলার আয়োজন আমাদের এলাকাতেও প্রায়ই হোতো। আমরা কখনো বন্ধু-বান্ধবদের ভেতরে দুই ভাগ হয়ে আবার কখনো এলাকার ছোট ভাইদের সঙ্গে এই ধরনের ম্যাচ খেলতাম। সেই খেলাগুলিতে হার জিতের চাইতে মজা হতো অনেক বেশি। আপনারা অনেক মজা করেছেন বুঝতে পারছি। ম্যাচের ধারাবিবরণী পড়ে ম্যাচের অবস্থাও কিছু বুঝতে পারলাম। দেখা যাক সামনের দিন ছোটদের সাথে আপনাদের কি অবস্থা হয়? ছোটখাটো কিছু ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাহা, এইটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই।তবে কালকে।ছোটদের সাথে খেলে একদম নাস্তানাবুদ হয়েছি ভাই।সিনিয়রদের শোচনীয় অবস্থা হয়েছে😍
পূর্বের দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যেহেতু আমরা অনেকগুলো বন্ধু ছিলাম,তাই নিজেরা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিতাম ঈদ এলে পারে ঈদ উপলক্ষে ক্রিকেট খেলব অথবা ফুটবল খেলবো অর্থাৎ যেকোনো খেলার আয়োজন করতাম ঈদ উপলক্ষে। তাই খুব ভাল লেগেছে আপনার এত সুন্দর পোস্ট সামনে পেয়ে। আশা করি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন।
আমাদের অবশ্য একটু ভিন্ন।ঈদুল ফিতরের চলে সিনিয়র জুনিয়র ক্রিকেট আর ঈদুল আজহায় চলে বিবাহিত অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ।আসলেই এই ধরনের খেলাগুলো দারুন মজা হয়।
ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেট খেলা দেখতে অনেক মজা লাগে। খেলতে অনেক মজা লাগে। তারমধ্যে জুনিয়র প্লাস সিনিয়র ক্রিকেট খেলা অনেক মজা হয়। বড় ভাইদের সাথে ক্রিকেট খেললে খুব ভালো লাগে। বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইদের সাথে ক্রিকেট খেলতে পারেনা। পোস্টে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কিন্তু কালকে তো জুনিয়ররা আমাদের সাথে পাত্তাই পেলো না এখন কি বলবেন😁।যাইহোক তারপরেও এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।🖤
ঈদে বাড়িতে আসলে আমরাও অনেক জুনিয়র সিনিয়র ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি। সময়টি অনেক মজাদার ও আনন্দদায়ক হয়। অনেক টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। আপনার গড়া এই পোস্টে আমাকে আবার সুদূর অতীতে নিয়ে গেল। ভালো লেগেছে ভাই। ভালো থাকবেন সময় এই কামনা করি।
জুনিয়র দের সাথে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি প্রত্যেকটি অনেক টান টান হয়েছে।তবে সত্যিই কথা বলতে এই।ম্যাচগুলোতে জয় পরাজয়ের চেয়ে আনন্দ টাই বেশি হয়।
ঈদ স্পেশাল ক্রিকেট ম্যাচটি দারুণ হয়েছে। সিনিয়র vs জুনিয়র ম্যাচটি চমৎকার ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য।আশা করি সবসময় পাশে থেকে এভাবে উৎসাহ দিবেন।😍
আপনাদের সিনিয়র বনাম জুনিয়র ক্রিকেট ম্যাচের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে ঈদের পরে এই খেলা গুলো অনেক রোমাঞ্চকর হয়। আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে আমি অনেক অতীতে চলে গিয়েছিলাম। আমি ছাত্র জীবনে যখন গ্রামে ঈদ করতে যেতাম সে সময় গ্রামে ফুটবল খেলার প্রচলন বেশি ছিল। আমরা তখন বিবাহিত ও অবিবাহিত দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা করতাম। কিন্তু আমরা সব সময় অবিবাহিতরাই ফুটবল ম্যাচ জিতে নিতাম। অনেক মজার ছিল সেই দিনগুলি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে রোমাঞ্চকর হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাইরে যারা থাকে তারা সবাই এইসময় বাড়িতে থাকে আর এ জন্য খেলাগুলো বেশি জমে উঠে।আমাদের এখানেও এমনটাই ঘটে,সামনের কোরবানির ইদে এই খেলা হবে,ইনশাল্লাহ তখন এই খেলা শেয়ার করবো।
ঈদ উপলক্ষে আপনারা খুবই সুন্দর একটি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছিলেন ভাইয়া। এই ক্রিকেট খেলায় আপনারা বিজয়ী হয়েছেন এটা জেনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। গ্রাম অঞ্চল গুলোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কেন্দ্র করে এই ধরনের খেলার আয়োজন করা হয় ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এগুলো অনেক ভালো লাগে।
কিন্তু পরেরদিন তো তাদের কাছে লজ্জাজনক ভাবে হেরে গিয়েছি🤭।ছোটরা ভালো খেলে বলেছিলাম না।শুধু সেদিন তাদের ভাগ্য সহায় ছিল না দেখে হেরে গেছি।আর মাঠ টা একটু ঘনো জঙ্গল তো এই জন্যে।তবে ফাঁকা মাঠে হলে অবশ্য ওরাই আমাদের সাথে।পারতো না😍