এক ঢিলে দুই পাখি😁
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তো সেদিন কলেজে প্রজেক্ট এর কাজ শেষ করে মেসে আসি।এসে সাগরের বলি কই হৃত্বিক নাকি আসছে (আরেকটা ফ্রেন্ড)? প্রতিউত্তরে বললো ওয় এখানে নাই ও ওর কলেজ থেকে পিকনিকে আসছে ওরা এখন রামসাগরে আছে।আমরা ওখানে যাবো ওর সাথে দেখা করতে। তো আমিও যেহেতু এর আগে রামসাগর যাই নাই তাই ভাবলাম যাওয়াই যায়।এক ঢিলে দুই পাখি এদিকে রামসাগর ও দেখা হবে আবার বন্ধুর সাথে দেখাও হবে।আর দিনাজপুরের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী একটি জায়গা হচ্ছে রামসাগর। তো আমি আবার সাগরকে বললাম,দেখ আমার কাছে কিন্তু টাকা পয়সা নাই তুই যদি আমার টাকা দিস তাইলে যাবো। ওর কাছেও অবশ্য বেশি টাকা ছিল না,কিন্তু বন্ধু তো বন্ধুর ছেড়ে কি আর একা যাইতে পারে। ও কইল আমার কাছে যা আছে ঐটা দিয়েই হবে পেরা নাই চল।
দুইজনে মিলে একটা ভ্যান ঠিক করলাম ভাড়া ঠিক হলো 60 টাকায়।আর আমাদের মেস থেকে রামসাগর অবশ্য বেশি দূরেও না।আমাদের পৌছাইতে সময় লাগলো 30 মিনিট এর মত।তারপর গেটে গেলাম গিয়ে দেখি ভিতরে ঢুকার টিকেট 50 টাকা করে।কিন্তু এদিকে আমাদের কাছে নাই টাকা🤣। পরে লোক গুলোকে বুঝায় দুইজন মিলে একটা টিকেট করে ভিতরে গেলাম।আর ভীতরের অবস্থা হইলো চারদিকে উচুঁ পাড় আর সবুজ গাছ পালায় ভর্তি।কয়েকটা ফুচকার দোকান ও চোখে পড়লো আবার সাথে নামকা ওয়াস্তে একটি চিড়িয়াখানা ও আছে যেখানে কিছু হরিণ আর বানোর ছাড়া কিছুই নাই।আর দীঘিতে কিছু নৌকা চলছে এই আরকি।তবে এখানে দেখার মত তেমন কিছু নাই,তবে হ্যা উপভোগ করার মতো একটা পরিবেশ পাবেন।যাইহোক এই পুরো দীঘিটি প্রায় 5.5 কিলো জায়গার উপর নির্মিত।এই জায়গার ইতিহাস তেমন করে জানা নাই।তবে সেখানে লোকমুখে শুনলাম কোনো এক সময়ের রাজা এই পুকুরটি খনন করেছিলেন।এবং এই পুকুরটি মানুষেরাই খনন করেছিল।
যাইহোক ভিতরে ঢুকে হাঁটতে হাঁটতে হৃত্বিক কে ফোন দিলাম।তারপর হৃত্বিকের সাথে দেখা আর দুই একটা সেলফি তোলা।তারপর তিনজন মিলে একটা ভ্যান ঠিক করলাম পুরো দীঘিটা ঘুরে দেখার জন্য।কারণ এত বড় দীঘি পায়ে হেঁটে শেষ করতে গেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।তো ঘুরতে ঘুরতে আমরা চিড়িয়াখানায় গেলাম।ওখানে গিয়ে বানর দেখতেছি সাগর আবার ওদের সাথে ফাজলামো করা শুরু করছে।এক পর্যায়ে সাগর কাছে গেলে বানরটা হটাৎ করে ওর দিকে তেড়ে আসে কপাল ভালো ওর ফোনটা নিয়ে যায় নাই😁।
আর এটা হইলো সেই দীঘি। দীঘিটা এত বড় যে একদিক থেকে আরেকদিকে দেখাই যায় না ভালো করে।
এরপর ঘুরতে ঘুরতে হৃত্বিকের পিকনিক স্পট এর কাছেই চলে এসেছি মোটামুটি।ঘুরতে ঘুরতে একটি মন্দির চোখে পড়লো মন্দিরটি বেশ পুরাতন।আমি ভ্যান ওয়ালা মামাকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে কি এখনও পুজো হয়।উনি মাথা নাড়িয়ে বললো হুম হয়।তারপর চলতে চতে ভ্যান ওয়ালা মামা একটি পুরাতন ভাঙ্গা চুরা বাড়ি দেখিয়ে বললো এটা নাকি সেখানকার রাজার বাড়ি ছিল।যাইহোক এরকম ভুতুড়ে বাড়ি দেখে যাওয়ার ইচ্ছে হলো।তারপর গেলাম তিজন মিলেই।বাড়ির ভিতরে যখন ধুলাম অন্যরকম একটা ফিল পাচ্ছিলাম,মনে হচ্ছিল কোনো অ্যাডভেঞ্চারে এসেছি।পুরাতন বাড়ি তারউপর গাছপালায় ভর্তি আর শুনশান একটা পরিবেশ যেনো ভূতের বাড়ি।তারপর সাগর আবার বললো তুই দাড়া তোর কিছু ছবি তুলে দেই।তারপর ছবি তুলা শেষ হলে হৃত্বিক এর বাসের কাছে যাই।তখন বাজে প্রায় 6 টা আবার ওদেরকে ওইদিনই রংপুর ব্যাক করতে হবে।তারপর ওদেরকে বিদায় দিয়ে আমরাও মেসে ফিরলাম।তবে যাইহোক একসাথে দুইটা কাজ হয়ে গেলো বন্ধুর সাথেও দেখা হলো সাথে রামসাগর ও।
যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি।দেখা হবে আবার কাল তবে অন্যকোনো পোস্ট নিয়ে।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
অবস্থান | রামসাগর |
এক ঢিলে দুই পাখি যেটা দারুন ব্যাপার আসলে বন্ধুত্বের বন্ধন অনেক বড় একটি বিষয়। বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যি ই অসাধারণ হয়ে থাকে ।টাকা না থাকলে কি হবে বন্ধু থাকলে সবই করা সম্ভব। সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করাও সম্ভব। যাইহোক, রামসাগর জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ভুতুড়ে পরিবেশের দৃশ্যটি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো কারণ এরকম পরিবেশ অনুসন্ধান করতে আমি পছন্দ করি।
একদম ভাই বন্ধু মানেই ভালোবাসা।তবে একদিন হয়তো টাকা থাকবে ঠিকই কিন্তু এমন দিন আর কখনো আসবে না😓
রামসাগর এ আমাদের এখান থেকেও অনেকে পিকনিক এর উদ্দেশ্যে যায়। তবে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে পুরনো এমন বাড়ি গুলো দেখতে সত্যি অনেক ভাল লাগে। আবার আফসোস ও লাগে তাদের জন্য। এক সময়ের প্রাতপশালী রাজাগণ অস্তিত্বহীন।
যদি জায়গাটা উপভোগ করতে চান তাহলে আসতে পারেন।তবে প্রকৃতি ছাড়া আর তেমন কিছু উপভোগ করার মতো কিছুই পাবেন না।
রামসাগর এই স্থানে আমি কখনো ভ্রমনে যায়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে এবং আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটিতে অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে যেগুলো দেখতে আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। আর বন্ধুদের সাথে ভাবে বেড়ানোর এবং ঘোরাঘুরি করার মজাটাই আলাদা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যা জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর।
আর আপনি যদি একজন প্রকৃতি প্রেমী হন তবে অবশ্যই আসতে পারেন।
সত্যি ভাই এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো। বন্ধুর সঙ্গে দেখাও হলো রামসাগর ঘোরাও হলো দারুণ। বেশ চমৎকার ছিল আপনার সময় টা।
একদম ভাই🥰
ঘুরা তো হল হলোই সাথে কোনো টাকাও খরচ হলো না হিহি🤣
আমারে কিন্তু বেনিফিশিয়ারি দিতে পারতি।
তোর সাথে কথা নাই, ব্রেক আপ। 😂😂🤣