জীবনটা ব্যাপক বৈচিত্র্যময়,যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে জীবনের গতিপথ
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
জীবনটা ব্যাপক বৈচিত্র্যময়।স্থান ভেদে নির্ভর করে মানুষের সুখ-দুঃখ ।আর জীবনের পথচলায় কার পথ কখন থমকে দাড়ায় বলা মুশকিল।আজকে দুপায়ে হাঁটছি কাল হুইলচেয়ারে বসে থাকতে হতে পারে।আর এটা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।এইতো দিন দুই ধরে খুব অস্থিতিশীল একটা অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন পর করছি।একটা বন্ধুকে মেডিকেলে ভর্তি করায় এসে আরেক বন্ধুকে নিয়ে মেডিকেলে দৌড়।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:দিনাজপুর জেলা
মেডিকেলে কখনো এইভাবে যাওয়া হয় নাই।তবে একবার দুইবার গেছিলাম এমনিতেই।কিন্তু কখনও ভাবি নি মেডিকেলে থাকতে হবে।কিন্তু বন্ধুর যখন বিপদ তখন তো থাকতেই হবে।আর থাকাটাই উচিত বন্ধুই যদি বন্ধুর বিপদে পাশে না থাকি তাহলে আবার কিসের বন্ধুত্ব।মূলত বন্ধুর হটাৎ করেই কোমর এর ব্যাথা শুরু হওয়ার কারণে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু মেডিকেলে যাওয়ার পর মাঝে মাঝে নিজেকেও রুগী মনে হচ্ছিল।আর এর আগে যেহেতু কখনো মেডিকেলে থাকার আমার অভিজ্ঞতা নাই।সেইজন্য একটু বেশি অসস্তি লাগছিল।চারদিকে শুধু সবার করুন চেহারা কারো আহাজারি আবার কারো নিস্তব্ধ নিথর দেহ নিয়ে ছোটাছুটি।আহা জীবন কত মূল্যবান সেটা বোধয় মেডিকেলে গিয়ে এক রাত থেকে বুঝে গেছি।আর যেহেতু সরকারি মেডিকেলে অনেকটা সাধ্যের মধ্যে খরচ আর এই জন্যে সাধারণ মানুষ শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে সরকারি মেডিকলেকেই বেছে নেয়।কারণ বেসরকারি মেডিকেল এর জা খরচ একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সেই খরচ বহন করা মোটেও সোজা নয়।কিন্তু এটা ঠিক যে সরকারি মেডিকেলে সবসময় ডাক্তার থাকে এবং যথেষ্ট ভালো মানের ডাক্তার সবাই।এইজন্য ট্রিটমেন্ট টাও বেশ ভালই হয়।কিন্তু পরিবেশটাই একটু সমস্যার।কিন্তু হবেই বা না কেনো। হিসেবের থেকে যদি অতিরিক্ত রোগী হয় তাহলে করার এর কিছু থাকে না। বাধ্য হয়ে মেডিকেলের ফ্লোরেই সিট নিতে হয়।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:দিনাজপুর জেলা
এইখানে রুগী কে সেটা কিন্তু সহজেই কেউ বুঝতে পারবেন না।আসলে বন্ধুরা এমনই হয়,যত বিপদই আসুক না কেন বন্ধুরা যদি পাশে থাকে তাহলে তাহলে হাসতে হাসতে সবকিছু মোকাবেলা করা যায়।কিন্তু বিশ্বাস করেন কালকে মেডিকেলে সারারাত একসাথে সবগুলো বন্ধুই ছিলাম।আর কয়েকজন বন্ধু একসাথে থাকলে কি হয় এটা সবার জানা।কিন্তু বিশ্বাস করেন সেদিন কারো মুখে কোনো হাসি ছিল না।আর থাকবেই বা কি করে আশেপাশে যারা ছিলো সবাই যন্ত্রণায় কাতর।আর একটু পর কানে আসছে কান্নার আহাজারি।চোখের সামনে সেদিন রাতে দেখলাম একজন মহিলা একজন বয়স্ক মানুষের লাশ নিয়ে কাদতে কাদতে চলে গেলো। সম্ভবত ওই লাশের মেয়ে হবে সেই ভদ্র মহিলা।বেচারি একে ছিলেন সাথে ছিলো না কেউ।আর এইসব দেখতে দেখতে পার হয়ে গেলো রাত।আর তারপর সকালে কলজে গেলাম আর ফেরার পথে বন্ধু সজীব এর অ্যাকসিডেন্ট।উপর ওয়ালা সহায় ছিল এইজন্যে হয়তো সে এখনো বেঁচে আছে,কিন্তু তারপরেও কপালে 5 টা সেলাই পড়েছে।যাইহোক সবাই বন্ধুগুলার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।আর আজকের মত আপনাদের মঙ্গল কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbHqqT9yDhtpFAUjXitFwCkBuVzXm41m8xBUNMpzVkLn7/IMG_20220606_232300_039.jpg)
অবাক হলাম। ৯ ঘন্টায় একটিও কমেন্ট নাই। দাদা এনাউন্স করার পর ভাবলাম এখন জেনারেল রাইটিং করলে পাঠক পাওয়া যাবে। এখন দেখি কমেন্ট এ নাই। যাক আসলেই ভাই বিপদে বন্ধুর পাশে থাকাটাই তো বন্ধুত্ব। সরকারি হাসপাতাল গুলোতে আসলেও পরিবেশ টা একটু এমনই থাকে। তবে বিরক্ত লাগে দালাল এর বেপারটা যদিও আপনাদের মনে হয় দালাল ধরতে হয়নি। বন্ধুরা মিলে এক সাথে থাকলে আসলেও রুগি খুজে পাওয়া মুশকিল।
কি আর করার ভাই।হয়তো এই ধরনের লেখায় কারো আগ্রহ নাই এই জন্য সবাই ইগনোর করে গেছে।কিন্তু বিশ্বাস করেন এই পোস্ট গুলোতে যখন কোনো কমেন্ট পাই না তখন বেশি খারাপ লাগে।কিন্তু যাইহোক এই অবস্থার উন্নতি হউক এই কাম্য।