চলেন চা খাইতে যাই 😁
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার? আশা করি সবাই ভালো আছেন, যদিওবা আবোয়াহাটা একটু খারাপ সবাই জর সর্দি তে ভুগতেছে তবুও আশা করি সবাই ভালোই আছেন। তবে আমার অবস্থা বর্তমানে নাঝেহাল একদম যাচ্ছে তাই অবস্থা। এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ ভয়ংকর জর বোধয় এই প্রথবার হলো আমার। বিশেষ করে গলা ব্যাথা,সর্দি সাথে শরীর আর মাথা ব্যাথা এত প্রচন্ড পরিমাণে ছিল যে গত দুইদিন ধরে রোজা পর্যন্ত রাখতে পারি নাই। এমনকি শুক্রবারে অর্ধেক রোজা রেখে শেষমেশ বাধ্য হয়েছি রোজা ভাঙতে। যাইহোক দোয়া করবেন দ্রুত যেনো সুস্থ হয়ে যাই।🙏
যাইহোক অনেকদিন আগে থেকে একটা প্ল্যান করতেছিলাম যে চা খেতে যাবো। কিন্তু সময় আর সুযোগ এর অভাবে যাওয়াই হচ্ছিল না। সত্যি কথা বলতে চায়ের প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে আমার। বিশেষ করে দিনাজপুর যখন থাকতাম তখন বন্ধুদের সাথে চা রাতে চায়ের আড্ডা বা কোথাও ভালো চা পাওয়া যায় জানলে সেখানে চা খেতে যাওয়া এগুলা প্রায় রোজকার কাজ ছিল আমাদের। কিন্তু বাড়িতে আসার পর এখন চা খাওয়া প্রায় বন্ধ।
সেদিন এক ছোট ভাই দড়ি-খামার নামে একটা জায়গার নাম বললো। এই জায়গাটা আমাদের এলাকা থেকে বেশ দূরে কিন্তু সেখানে নাকি বেশ ভালো চা পাওয়া যায় আর ওদের চায়ের কোয়ালিটি এত ভালো যে অনেক দূরদূরান্ত থেকেও নাকি চা খেতে আসে সবাই। যাইহোক কথাটা সোনার পর বেশ ইন্টারেসটিং লাগলো কি এমন আছে তার চায়ে যে এত নাম ডাক যদিও এর আগে এই চায়ের গল্প কারো কাছে শুনি নাই।
প্রথমে চা খেতে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের তিনজনের পরে ভাবলাম একটু দলবল ভারী হইলে গল্প আড্ডা মারতে যাওয়া যাবে। পরে একটা ভ্যান রিজার্ভ করে মোট 7 জন বেরিয়ে পড়লাম চা খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমার এলাকা থেকে "দড়ি খামার" এর দূরত্ব প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার এর মত হবে আর এটা হচ্ছে পার্বতীপুর উপজেলার একটি অংশ। আর ওখানটায় যাওয়ার পর দেখি চারপাশে গ্রাম আর মাঝখানে ওই দোকানটা। দোকান ও তেমন আহামরি না আর জায়গাটাও ব্যাকসাইড কিন্তু তারপরে দোকানের ভিতরে মানুষজনের আনাগোনা দেখে আমি একটু অবাক এই হইছিলাম।
এরপর চা অর্ডার করলাম। প্রতি কাপ চায়ের মূল্য ছিল মাত্র ১৫ টাকা। চা খাওয়ার পর বুঝলাম আসলে মানুষ কেন এতদূর থেকে টাকা খরচ করে চা খেতে আসে আবার কেউ কেউ তো বোতলে করে চা ঢুকায় বাসার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক এতদূর থেকে চা খেতে যাওয়া আসলে লস হয় নি,একদম পয়সা উশুল ছিল।
ক্যামেরা | মোবাইল |
---|---|
অবস্থান | পার্বতীপুর |
প্রথমেই মহান আল্লাহতালার কাছে আপনি সুস্থতা কামনা করি। আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন ভাই। আসলে ভাই বন্ধুদের সাথে চা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমিও প্রায় সপ্তাহে দুই এক দিন যাই বন্ধুদের সাথে চা খেতে। আপনি বন্ধুর সাথে বেশ ভাল সময় পার করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে ওরা বন্ধু ছিল না ওরা ছিল ছোট ভাই।
যাইহোক চা একটা নেশার মত যাদের চায়ের নেশা আছে তারা ব্যাপারটা ভালো জানে।যাইহোক আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।🖤
চা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।তবে রমজান মাসে আমি চা খাই না এটা কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়। আর আপনি যেহেতু অসুস্থ ছিলেন তাই শুক্রবারে রোজা ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন। আসলে এটা কোন ব্যাপার না সুস্থ হওয়াটাই আগে। আপনার বন্ধুরা সহ চা খাওয়া দেখে আমারও চা খেতে ইচ্ছে করছে।
এটা কিন্তু ঠিক বলছেন,বিশেষ করে দূধ চায়ে প্রচুর গ্যাস হয়। আর রোজা ভাঙার কোনো নিয়ত ছিল না এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভেঙেছি।🥺
প্রথমে আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি সেরে উঠবেন। এটা কিন্তু ঠিক না রোজার দিন আপনি এভাবে চা খেতে ডাকছেন। নিশ্চয়ই চায়ের টেস্ট অনেক ভালো যার কারণে অত দূর থেকে মানুষ এখানে চা খেতে আসে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চায়ের টেস্ট আসলেই ভালো। আমাকে যদি রেটিং দিতে বলা হয় তবে ৮/১০ নিশ্চিত ভাবে দেওয়া যায়। আর আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।🖤
প্রথমত আপনার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি। জেনে অনেক ভালো লাগলো আপনিও একজন চা প্রেমী। তবে বাড়িতে যাওয়ার পর চা খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে শুনে অনেক খারাপ লাগলো কারণ চা প্রেমীরা চা না পেলে অন্যরকম হয়ে যায়। সাতজন বন্ধু মিলে চা খেতে গিয়েছেন নিশ্চয়ই সেই দোকানের চা অনেক ভালো বানায়।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যা আপু,ওই দোকানে চা যথেষ্ট ভালো বানায় এজন্য ওদের বেশ সুনাম ও আছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।🖤